ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

তাল গাছের পাতায় ঝুলছে বাবুই পাখির বাসা


এম রাসেল আহমেদ, ক্ষেতলাল photo এম রাসেল আহমেদ, ক্ষেতলাল
প্রকাশিত: ৩-৪-২০২৫ দুপুর ২:৪৫

গ্রাম বাংলার চিরাচরিত  ঐতিহ্য হলো তাল গাছে ঝুলিয়ে থাকা বাবুই পাখির বাসা।  তাল পাতায় নিপুণ কারুকার্য করে বাবুই পাখিরা অপরূপ সৌন্দর্যে এসব বাস তৈরি করে। তাল গাছের পাতায় মেধা শক্তি খাটিয়ে নিজেদের থাকার আবাসস্থল গড়ে পাখি গুলো।

আবহমান গ্রাম বাংলার বাসা তৈরির যে নিঁখুত কারিগর, কবির কালজয়ী ‘স্বাধীনতার সুখ’ কবিতার নায়ক সেই বাবুই পাখি শিল্পের বড়াই করতেই পারে। তবে তাল গাছের স্বল্পতা আর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে বাবুই পাখি আজ নিজেই অস্তিত্ব সংকটে আছে বলে মনে করেন অনেকেই। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বিলুপ্তির পথে প্রকৃতির চিরচেনা বাবুই পাখির বাসা।

তালপাতা, খেজুর পাতা, ঝাউ ও লতা-পাতা দিয়ে বাবুই পাখি উঁচু তালগাছে তাদের বাসা বাঁধেন।এ বাসা দেখতে যেমন আকর্ষণীয় লাগে, ঠিক তেমনি অনেক মজবুত। সহজে  ঝড়-বৃষ্টিতে তাদের বাসা ছিড়ে নিচে পড়ে না। 

জনশ্রুতি আছে,  পুরুষ বাবুই পাখি বাসা তৈরির কাজ শেষ হলে সঙ্গী খুঁজতে বের হয়। সঙ্গী পছন্দ হলে স্ত্রী বাবুই পাখিকে সাথী বানানোর জন্য পুরুষ বাবুই পাখি নিজেকে আকর্ষণীয় করতে খাল, বিল ও ডোবার পানিতে গোসল করে গাছের ডালে ডালে নেচে বেড়ায়।

রাতের বেলায় ঘর আলোকিত করতে বাসার ভিতর এক চিমটি গোবর রেখে জোনাকি পোকা ধরে এনে তার উপর বসিয়ে দেয় এবং সকাল হলে ছেড়ে দেয়।

প্রজনন সময় ছাড়া বাবুই পাখির গায়ে ও পিঠে তামাটে কালো বর্ণের দাগ হয়। ঠোঁট পুরো মোসাকার ও লেজ চৌকা। তবে প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখির রং হয় গাঢ় বাদামি। অন্য সময় বাবুই পাখির পিঠের পালকের মতই বাদামি হয়।

 রাস্তার দুই পাশে তালগাছ, মাঠে তালগাছ আর সেই তালগাছের মধ্যেই অনেক বাবুই পাখির বাসা। কিন্তু আগের মতো এখন আর বাবুই পাখির বাসা চোখে পড়ে না। একসময় পাখির কিচিরমিচির শব্দে আমাদের ঘুম ভাঙতো। কিন্তু এখন আর পাখির সেই কিচিরমিচি শব্দও শোনা যায় না তেমন।

বাসস্থান সংকটের কারণে এ পাখি ধীরে ধীরে প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। বাবুই পাখির বাসস্থানের প্রধান দুটি গাছ হচ্ছে তালগাছ ও খেজুর গাছ। কিন্তু এখন তাল গাছ আর খেজুর গাছ  নির্বিচারে কেটে ফেলায় আগের মতো নেই বললেই চলে। এজন্য পাখিগুলো চরম অস্তিত্ব সংকটাপন্ন হয়ে পড়ায় পরিবেশ থেকে আজ বিলুপ্তির পথে এ বাবুইপাখি। এখন আমাদের সকলের উচিত বেশি করে তাল গাছ ও খেজুর গাছ লাগানো। তাল গাছ হলে যেমন আমরা বজ্রপাত থেকে অনেকটা নিরাপদে থাকবো ঠিক তেমনি খেজুর গাছ হলে আবার আমাদের রস ও গুড়ের চাহিদাও মিটে যাবে।

শুধু বাবুই পাখি না, জাতীয় পাখি দোয়েল, চড়ুই, শালিক, চিল, কাক, কোকিল প্রভৃতি সকল পাখিই আজ অস্তিত্ব সংকটে আছে, এখনোই যদি এ সব পাখি সংরক্ষণের উদ্যোগ না নেওয়া যায়, হয়তো অদূর ভবিষ্যতে এসব পাখি প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাবে। প্রকৃতির সুন্দর এই পাখি রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই। 

এমএসএম / এমএসএম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জনগনের মৌলিক অধিকার নিয়ে কাজ করছেঃ ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

“অদম্য নারী’ পুরস্কারপ্রাপ্ত তিন সদস্যকে  চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফেন্ডস এন্ড ফ্যামেলী সমবায় সমিতির সংবর্ধনা

নড়াইলে পাতিয়ার খালে বিষ দিয়ে মাছ ধ্বংসের প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ মিছিল

নড়াইল ১ আসনে ইসলামি আন্দোলনের গন সমাবেশে প্রসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী

উল্লাপাড়া রামকৃষ্ণপুরে সচিব-প্রশাসকের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ

চাঁদপুরে কাভার্ড ভ্যান চাপায় যুবক নিহত, আহত ২

গাইড বই না কিনলে ফেল করানোর হুমকি

চট্টগ্রাম প্রতিদিন সম্পাদকের বাবার ইন্তেকাল, সাংবাদিক সংগঠনের শোক

মাদকবিরোধী অভিযানে কাউনিয়া থানার সাফল্য: ৪০ পিস ইয়াবাসহ দুইজন আটক

সাজিদের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল, দাফন সম্পন্ন

তেঁতুলিয়ায় আজও তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে

৩২ ঘণ্টা পর গর্ত থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু সাজিদ মারা গেছে

গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে জীবিত উদ্ধার