রাজশাহীর তানোর বরেন্দ্র অঞ্চলে গমের বাম্পার ফলন, বেড়েছে চাষ

রবি শস্য হিসেবে ঋতু রাজ বসন্তের বাংলা বঙ্গাব্দের শেষ মাস চৈত্রে গমের ফসল ওঠে। ভাত বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য হলেও গমের রুটিও অন্যতম। এই হিসাবে, রুটির প্রধান উপাদান গমেরও গুরুত্ব বেড়েছে। এ কারণে ধান, আলু ও সবজির পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রাজশাহী অঞ্চলে এবার গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে গম কাটা-মাড়াইয়ের কাজ চলছে। কৃষি অফিস বলছে, এবার গত বছরের তুলনায় গমের চাষ বেড়েছে।
রাজশাহী কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গত বছরের তুলনায় এবার ১ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে বেড়েছে গম চাষ। গত বছর রাজশাহী অঞ্চলে গমের আবাদ হয়েছিল ৯২ হাজার ৮৪২ হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদন হয়েছিল ৩ লাখ ৮৮ হাজার ২৬৮ মেট্রিক টন। এ বছর আবাদ হয়েছে ৯৩ হাজার ৮৬৭ হেক্টর জমিতে। এবারের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৪৮ মেট্রিক টন। সেই বিবেচনায়, এবার গমের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি গম উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ জানায়, তুলনামূলকভাবে খরচ কম এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন গমের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন হয়েছে। গম চাষে খরচ কম, এবং অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ার আশায় কৃষকদের গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে। একসময় রাজশাহী অঞ্চলে গম চাষে কৃষকরা আগ্রহ হারালেও, কয়েক বছর ধরে গমের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পবা উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের গম চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া উন্নত জাতের গম বীজ ও সার বিনামূল্যে পেয়েছিলেন। এবার তিনি তিন বিঘা জমিতে গম চাষ করছেন। কাটা-মাড়াই শেষে প্রতি বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ২০ মণ গমের ফলন পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
বড়গাছী ইউনিয়নের কৃষক শরিফুল আলম জানান, এ বছর তিনি ৮ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিয়েছেন। তিন বিঘা জমির গম কাটা-মাড়াই শেষ হয়েছে, যার ফলনে বিঘাপ্রতি সাড়ে ১৫ মণ গম পেয়েছেন তিনি।তানোর উপজেলার আমশো গ্রামের গম চাষি মামুন মোল্লা জানান, তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া উন্নত জাতের গম বীজ ও সার বিনামূল্যে পেয়েছিলেন। এবার তিনি তিন বিঘা জমিতে গম চাষ করছেন। কাটা-মাড়াই শেষে প্রতি বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ২০ মণ গমের ফলন পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
বাঘার খুঁদিছয়ঘটি গ্রামের শাহজাহান আলী, জামু ও হাবিবুর বলেন, গতবারের তুলনায় এবারের গমের ফলন সন্তোষজনক হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় ক্ষেতে সার-কীটনাশকের খরচ কম হয়েছে। তারা বলেন, যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, তাতে তারা খুশি।
পবা উপজেলার পাকুড়িয়ার এলাকার আরেক গম চাষি জসিম উদ্দিন বলেন, গম চাষে এবারে পাঁচ বিঘা জমিতে প্রায় বিঘাপ্রতি সাড়ে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি ধারণা করছেন, গমের ফলন ভালো হবে এবং বাজারে গম বিক্রি করে বেশি দাম পাওয়া যাবে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা সকালের সময়কে জানান, রবি ফসলের মধ্যে গম লাভজনক আবাদ। কৃষকদের গম চাষে আগ্রহী করতে তালিকাভুক্ত চাষিদের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী এবং উচ্চফলনশীল উন্নত জাতের গম বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া, গম চাষ করতে কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, গমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এমএসএম / এমএসএম

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এবং লালন শাহ সেতুতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

কাউনিয়া বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মদন উপজেলা শাখার সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

বিলুপ্তির পথে অনাদর-অবহেলায় বেড়ে ওঠা 'ঢোলকলমি'

উখিয়ায় আপন চাচাতো ভাই বোনসহ নিহত ৩

হাতিয়ায় উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে বাসন্তী দুর্গা পূজা

বাউবিতে "ঈদ পুনর্মিলনী" অনুষ্ঠিত

দুমকীতে ছাগল চুরি ও স্ত্রীকে ভুয়া সনদে চাকরি দেয়া সেই ২ আওয়ামী নেতা আটক

অভয়নগরে পানিতে ডুবে ১২বছরের শিশুর মৃত্যু

ভূরুঙ্গামারীতে কবি আবদুল হাই শিকদারকে সংবর্ধনা

কুড়িগ্রামে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস পালিত

আট দফা দাবি নিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, নোয়াখালী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
