পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মামলা পুরুষ শূন্য গ্রাম

গ্রেপ্তার আতংকে পুরুষ শূন্য হয়েছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার নওটিকা ভাদার পাড়া গ্রামের মানুষ। উপজেলার নওটিকা ভাদার পাড়া গ্রামের দিঘিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এখানে ১৭ জনকে আসামী ও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আতংকে গ্রামের দক্ষিন পাড়াতে পুরুষ শূন্য হয়ে গেছে। গ্রেপ্তার আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।
গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের নওটিকা ভাদার পাড়া পুকুরে মাছচাষী মোঃ আব্দুল আলিম ৩৭৯ ধারায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল আলিম গত এক বছর পূর্বে জনৈক মোঃ খালিদ হাসান সাজ্জাদ এর নিকট হতে বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত নওটিকা মৌজার ২৮ বিঘা ভাদার পুকুড় ১ বছরের জন্য লিজ নিয়ে বিভিন্ন প্রকার মাছ চাষ করছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামী ও পালাতক আসামীরা দীর্ঘদিন যাবৎ তার পুকুরে চুরি করে মাছ শিকার করে আসছেন । সেই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার দুপুর ১২.৩০ টার সময় প্রকাশ্যে জোর পূর্বক ২৮ বিঘা ভাদার পুকুরের মাছ জাল দিয়ে ধরেন ।
বিষয়টি যখন আব্দুল আলিম জানতে পারেন দ্রুত পুকুরে এসে দেখতে পান এজাহার ভুক্ত আসামীরা জাল দিয়ে মাছ ধরছেন। বিষয়টি ক্ষেতলাল থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। এতে মাছ চাষীর ১০ মন মাছে প্রায় ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
আটককৃত আসামীরা হলেন, মোঃ ইমদাদুল হক, তিনি কালাই থানার কাটাহার গ্রামের মোঃ মাহবুবের ছেলে এবং সুভাস চন্দ্র, ক্ষেতলাল থানার নওটিকা গ্রামের গাদু চন্দ্র বর্মনের ছেলে।
এ বিষয়ে নওটিকা গ্রামের আঃ মোমিন বলেন, আমি শুক্রবার নামাজ পড়তে যাই দুপুরে সেদিন আমার মিলাদ মাহফিল ছিল। আমি নামাজ পড়ে এসে শুনি ভাদার পুকুরে গ্রামের মানুষ মাছ মেরেছিল এবং পুলিশ ২ জনেক ধরে নিয়ে গেছে। পরে দেখি এ বিষয়ে একটা মামলা হয়েছে এখানে আমার নামেও মামলা করা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।
পালাতক আসামী রাজ্জাকের স্ত্র্রী (নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক) বলেন, আব্দুল আলিমের নেতৃত্বে গ্রামের মানুষ পুকুরে মাছ ধরতে নামেন এখন তিনিই মামলা দিয়েছেন আমার স্বামীর নামে। পুকুরে মাছ মেরেছে শত শত মানুষ আর মামলা করেছে ১৭ জনের নামে। মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে আমার স্বামী বাড়ি ছেড়েছেন, আমরা ভয়ে আছি এখন।
নওটিকা গ্রামের পুকুরের সাবেক নাইটগার্ড মিনহাজ বলেন, আব্দুল আলিম নামের ব্যক্তি কিছুদিন আগে দুই পাতিল মাছ জোর করে পুকুরে ছেড়ে দেয়। আমরা বাধা দিতে গেলে ধাক্কাধাক্কি হয়। তিনি দাবি করছেন যে পুকুর এক বছর আগে পত্তন নিয়েছেন তিনি কিন্তু সত্য নয়। গত ১৮-৩-২৫ তারিখে খালিদ হাসান সাজ্জাদের কাছ থেকে এক বছরের জন্য লিজ নেন তিনি। তার পুকুর নেওয়ার মেয়াদ ১৫-১৬ দিন হলো কিন্তু তিনি প্রতিদিন মাছ মারেন নিজেই। মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রামের মানুষকে হয়রানি করছেন আব্দুল আলিম।
মাছ চাষী আব্দুল আলিম কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি এক বছর পূর্বে পুকুর লিজ নিয়েছি এবং পুকুরে মাছ ছেড়ে দিয়েছি। গ্রামের লোকজন নিয়মিত আমার পুকুরে মাছ চুরি করে। গত শুক্রবার তারা আমার পুকুরে মাছ ধরা অবস্থায় পুলিশ ২ জনকে জাল সহ আটক করে। আমি এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি মামলা করেছি।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপেন্দ্রনাথ সিংহ জানান , মাছ চুরির ঘটনায় পুকুর থেকে ২ জনকে মাছ ও জালসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম

জয়পুরহাটে গ্রাম আদালত বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঝালকাঠিতে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

মেঘনায় স্পিডবোট ডুবি, অক্ষত উদ্ধার ২৮ যাত্রী

বিয়ানীবাজারে প্রবাসী জামায়াত কর্মীকে হত্যার হুমকি

ত্রিশালে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু

মেহেরপুরে কাব কার্নিভাল ২০২৫ এর উদ্বোধন

বারইয়ারহাটে আন্ডারপাস অথবা ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

বাঘায় বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ আটক ৫

সিংগাইরে শ্রেষ্ঠ ওসি তৌফিক আজম, ওয়ারেন্ট তামিলে এএসআই জলিল পুরস্কৃত

চুয়াডাঙ্গায় কেরুজ পুকুরে বিদ্যুতায়িত জিআই তারে কৃষকের মৃত্যু

পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে আনবেন না: শিক্ষা উপদেষ্টা

কুতুবদিয়ায় তিন দিনে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত
