গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ও ধামরাই সড়ক বিভাগকে কব্জা
অবৈধ সম্পদের পাহাড় নিয়ে ওসমান গণির রাম রাজত্ব কায়েম

পতিত স্বৈ^রাচারী সরকারের দোসর ও ডিবি হারুনের আত্মীয় পরিচয় দানকারী ওসমান গণি, তার রাম রাজত্ব এখনো বহাল রেখেছেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সড়ক বিভাগ ও কিশোর গ্যাং নিয়ে কাউকে তোয়াক্কা না করেই মূলতঃ তিনি রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের, নির্ধারিত কোন ব্যক্তি না হয়ে, সিটি কর্পোরেশন তার দখলে রেখেছেন ১৩ বছর। সরকারি সম্পত্তি দখল করে নিয়ে বসিয়েছেন বাজার, গাজীপুরে এসপি থাকা অবস্থায় ডিবি হারুন তার আত্মীয়-স্বজনকে বসিয়েছেন বিশেষ জায়গা, সেখান থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা, ডিবি হারুনের বর্তমান অবস্থান এই ওসমান গণি জানেন কারণ তাঁর সাথে নিয়মিত কথা হয় বলে জানা যায়। ওসমান গনি কোন এক সময় গরীব অবস্থায় থালেও বর্তমানে কি নেই তার জীবনে এখন আলিশান বাড়ি দামী গাড়িতে চড়ছেন। -কে এই ওসমান গণি : জীবন-জীবীকার তাগিদে কিশোরগঞ্জ থেকে ১৭বছর আগে শূণ্য হাতেই গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের জিরানি বাজার এলাকায় আসেন। প্রথমে দিনমজুরের কাজ, পরে শুরু করেন বাসা বাড়ির উচ্ছিষ্ট ময়লা আবর্জলার পরিষ্কারের কাজ। পাশাপাশি শুরু করেন ভাঙ্গারীর ব্যবসা আর হঠাৎ করেই সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আতাঁত করে সড়কের জায়গা জবরদখল করে গড়ে তোলেন ময়লার বিশাল ভাগাড় ও ট্রাকস্ট্যান্ড। এদিকে মহাসড়কের জায়গা ভাড়া দিয়ে মাসে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এছাড়াও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে ময়লার ব্যবসা ও ট্রাকস্ট্যান্ড টিকিয়ে রাখতে গড়ে তুলেছেন সন্ত্রাসী তথা কিশোর গ্যাং বাহিনী। সাথে নিয়েছেন নিজের ২ ছেলেকেও। এমনকি কিনেছেন ৪৩ লক্ষ টাকা দামের লেটেস্ট মডেলের প্রাইভেটকার। শুধু তাই নয়, তার তিনটি সন্তানসহ এলাকার বাড়ি ভাংচুর, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধে নাম জড়িয়ে অদৃশ্য ছোঁয়ায় ধীরে ধীরে জিরানি এলাকার ত্রাস হয়ে উঠেছেন ওসমান গণি। এছাড়াও মানিকগঞ্জ সওজের নয়ারহাট শাখার এসও শহীদ এবং সুপারভাইজার জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে রয়েছে ওসমানকে সহযোগীতা করার অভিযোগ। এমনকি চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের নবী-টেক্সটাইল ও চক্রবর্তী এলাকার মাঝামাঝি স্থানের পশ্চিম পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রায় তিন একর জমি দখল করে ময়লার ভাগার গড়ে তুলেছেন ওসমান গণি। এছাড়াও পাওয়ার ট্রিলার ও ট্রাকসহ প্রায় শতাধিক গাড়িতে করে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন এখানে ময়লা নিয়ে ফেলেন। ময়লা ফেলানোর বিষয়ে গাড়ি চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছোট গাড়ি থেকে মাসিক ৫ হাজার আর বড় গাড়ি থেকে ১০/১৫ হাজার টাকা ওসমান গণি’র হাতে দিতে হয়। এতে প্রতি মাসে ময়লার ভাগাড় থেকেই আসে প্রায় ১০/১৫ লক্ষ টাকা। ময়লার দূর্গন্ধের তীব্রতায় নাক চেপে যাতায়াত করতে দেখা যায় পথচারীদের। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে এলাকার বসবাসরত ভাড়াটিয়ারাও এলাকা ছেড়ে চলে যান। এছাড়াও নবী-টেক্সটাইল এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পূর্ব পাশে সড়ক ও জনপদের উদ্ধার করা জমি দখলে নিয়ে ট্রাকস্ট্যান্ড করেছে এই বাহিনী। এই স্ট্যান্ডে মাসিক ৩ হাজার ৫০০ টাকা চুক্তিতে ৭২টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান রাখা হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া ১৫০ টাকা দৈনিক চুক্তিতেও বেশ কিছু গাড়ি রাখা হয়। আর ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে মাসে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা আসে ওসমানের কাছে। ট্রাকস্ট্যান্ডে লাইনম্যানের দায়িত্বে থাকা সবুজ মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমাদের এখানে মাসিক ৩৫ শত টাকা চুক্তিতে ৭২টি গাড়ি রাখা হয়। আর ১৫-২০টি গাড়ি আছে তাদের কাছ থেকে দৈনিক ১৫০ টাকা করে নিয়ে থাকি। এই জমির মালিক ওসমান ভাই, আমি লাইনম্যানের দায়িত্বে আছি। সমস্ত টাকা পয়সা আমি তুলি। কিশোরগঞ্জ বাড়ী হওয়ার সুবাদে পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে বীরদর্পে চলে সে। আর নবী-টেক্সটাইল এলাকার মৃত মুন্নাফের ছেলে দেলোয়ারের ছত্রছায়ায় এবং সড়ক ও জনপদ এর কতিপয় কয়েক অসাধু কর্মকর্তার পৃষ্ঠপোষকতায় দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ওসমান গণি। ওসমান গনি বলেন, আমার ব্যাপারে ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে দেখেন আমি কেমন মানুষ। ট্রাকস্ট্যান্ডে দিনে গাড়ি রাখিনা, রাতে কিছু গাড়ি রাখি। ওখান থেকে পোলাপানের কিছু খরচ আসে। টিনসেট ঘরে আমার কয়জন লোক থাকে শহীদ স্যারদের কিছু লোক থাকে। আর ময়লার এখানে অনেক খরচ, দুটা ভেকু আছে। লোকজন আছে। তাদের হাজিরা দিতে হয়। সওজের লোকেরা আসে তেমন কিছু বলেনা। এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নয়ারহাট শাখায় যোগাযোগ করে জানা যায় সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেন আমরা বিগত দুইবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নোটিশ দিয়েছি, বলে তার দায়িত্ব এড়িয়ে যান। পরবর্তীতে পরিবেশ অধিদপ্তরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-পরিচালক আরেফিন বাদল সাংবাদিকদের জানান এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য নিষ্কাশন প্রধান মো. সোহেল রানা বলেন স্থানে গিয়ে বিষয়টি দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এমএসএম / এমএসএম

প্রধান প্রকৌশলীর পিএস মুজিবরের মাসিক অবৈধ আয় লাখ টাকা!

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সামাদ ভূঁইয়া দম্পতি বিরুদ্ধে

যাদের কথা হয়না বলা

অভাবির পেটের ভাড়া ৩০ হাজার টাকা

ফ্যাসিস্ট সরকারে প্রতাপশালী জেলার মাহবুবের লাপাত্তা

অবৈধ সম্পদের পাহাড় নিয়ে ওসমান গণির রাম রাজত্ব কায়েম

মিরপুরের ত্রাস তানজিব গ্রেফতার, জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য

১৭ বছর পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তা আমিনুল

বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে আবারো তদন্ত কমিটি গঠন

প্রিমিয়ার গ্রুপের ইকবাল গেছে পালিয়ে, দুর্নীতির দুর্গ আছে দাঁড়িয়ে

অর্থ শাখায় চাকরি করেই শত কোটি টাকার মালিক মাহবুবুর রহমান

ঈদ সামনে রেখে জাল নোট তৈরির কারিগর ব্যস্ত
