ঢাকা শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

অভয়নগরে যএতএ মিলছে মাদক, কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছেনা কারবার


মতিন গাজী, অভয়নগর photo মতিন গাজী, অভয়নগর
প্রকাশিত: ১৩-৪-২০২৫ দুপুর ৪:১৫

সরকার পরিবর্তন হলেও বন্ধ হচ্ছেনা মাদক কারবার। পুরাতনের জাগায় এসেছে নতুন কারবারি। হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, দেশি -বিদেশি মদসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। রয়েছে হোম ডেলিভারিরও ব্যবাস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মাদক কারবারিদের আটক করা হলেও জামিনে মুক্ত হয়ে তারা পুনরায় জড়িয়ে পড়ছে একই কাজে।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও নওয়াপাড়া পৌর এলাকায় মাদকের বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় অভিভাবকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি বৃদ্ধিসহ এলাকা ভিত্তিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে সকল শ্রেণির মানুষ অচিরেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন সূধীসমাজ। 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নওয়াপাড়া পৌর এলাকার ১ থেকে ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মাদকের কারবার অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে রাজঘাট জাফরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ রেলক্রসিং, গাজীপুর বাজার, মাইলপোস্ট, তালতলা রেলস্টেশন এলাকা, একতারপুর বাজার, গ্রামতলা, গুয়াখালা ডিএন মোড়, শাহী মোড়, প্রফেসরপাড়া, স্বাধীনতা চত্তর, গরুহাটা, বেঙ্গল রেলগেট, বুইকারা ড্রাইভারপাড়া, বৌবাজার, মিনি বাজার, কলাতলা এলাকা, ভাঙ্গাগেট পৌর ট্রাকটার্মিনাল, আমডাঙ্গা ও চেঙ্গুটিয়া বাজারসহ পৌর এলাকায় নওয়াপাড়া নৌবন্দরের বিভিন্ন ঘাটে মাদকদ্রব্য সেবন ও বিক্রির ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া উপজলার ৮টি ইউনিয়নের অধিকাংশ বাজারের অলিতে গলিতে হর হামেশা চলে মাদক ব্যবসা।  
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ড্রাইভারপাড়া এলাকার নব্য এক মাদককারবারি জানান, আওয়ামী সরকার পতনের পর মাদক ব্যবসা বন্ধ হয়নি, হয়েছে হাত বদল। স্থানীয় রাজনৈতিক কয়েক নেতার দেওয়া অর্থের মাধ্যমে মাদকের চালান আসছে ড্রাইভারপাড়াসহ গরুহাটা এলাকায়। এরপর তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে অপর এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে। 
অপর এক মাদক কারবারি জানান, স্থানীয় পর্যায়ে মাদকের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে প্রশাসনের কয়েক অসাধু কর্মকর্তাকেউ মোটা অংকের টাকা দিতে হয় তাদের। কেউ সপ্তাহ, কেউ আবার মাসিক হারে টাকা নিয়ে যায় এসব মাদক কারবারির কাছ থেকে। সময় মত টাকা না দিলে গ্রেপ্তারও হতে হয় তাদের। এমন এক জালে জড়িয়ে পড়েছে মাদক কারবারিরা।
অভিভাকরা জানায়, বাড়ি থেকে বেরিয় হাত বাড়ালেই যদি মাদক মেলে, তাহলে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত কি হবে? মাদকের ভয়াবহতা থেকে আমাদের সন্তানদের রক্ষা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী বৃদ্ধিসহ মাদকপ্রবণ এলাকায় ঘন ঘন অভিযান পরিচালনা করার দাবি এ সকল অভিভাবকদের। 
সূধীসমাজের দাবী, প্রশাসনের অপেক্ষায় থাকলে হবে না। প্রতিটি এলাকায় জনসচেতনতা বাড়িয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পুলিশসহ অন্যান্য প্রসাসনিক দপ্তরকে এমন কাজে সহযাগিতা করতে হবে। যেসব কর্মকর্তা বা রাজনৈতিক নেতা মাদক কারবারির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে। এলাকা ভিত্তিক প্রতিরোধ গড়ে তুলে মাদককারবারি ও সেবনকারীদের গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। তাহলেই অভয়নগর থেকে মাদকের এই ভয়াবহতা কমতে শুরু হবে। এক পর্যায়ে তা বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে কারেন তারা।

এমএসএম / এমএসএম

যথা সময়ে নির্বাচন, সহিংসতা প্রতিরোধে জনগণকেও ভূমিকা রাখতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

নুরাল পাগলা’র দরবারে পুলিশের ওপর হামলা, ৩৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় ডেকোরেশন কর্মীর লাশ উদ্ধার

কুড়িগ্রারে রৌমারীতে সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

চৌগাছায় পনিতে ডুবে আড়াই বছরের শিশু আবু বক্করের মৃত্যু

কালীগঞ্জে দুই মাদক কারবারী আটক

হাতিয়ায় চেয়ারম্যান ঘাট-নলচিরা নৌরুটে নতুন সি-ট্রাক উদ্বোধন

‎গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো- মোস্তাফিজুর রহমান

রাজশাহীর সেই বহিস্কৃত এসআই ২ দিনের রিমান্ডে

রাজশাহীতে আদিবাসীদের ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

হাসিনার শাসন ইতিহাসের জঘণ্যতম অধ্যায়: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ছাত্রদলের উগ্র ও সন্ত্রাসী স্লোগানের প্রতিবাদে সাভারে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

পটুয়াখালীর জেলের জালে ৪৪ কেজির কোরাল, বিক্রি ৬৬ হাজার টাকায়