পানি-নৌকা নেই, দলবেঁধে পায়ে হেঁটেই পার হচ্ছেন ব্রহ্মপুত্র নদ
ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি, বালাসী, কাইয়ারহাট–ফুলছড়ি, রতনপুর, আনন্দবাড়ি ও কাটাদারা ঘাটসহ নদীর প্রধান নৌপথগুলো শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে মরে যাচ্ছেঃ নাব্যতা সংকট এতটাই প্রবল যে হাজার হাজার মানুষ এখন দলবেঁধে পায়ে হেঁটেই বালুচর পেরিয়ে পারাপার করছে। এক সময় ব্রহ্মপুত্রনদীর ঢেউয়ে দোলা দেয়া নৌকাগুলো আজ ছেঁড়া-পুরানো দড়িতে বাঁধা পড়ে অচল অবস্থায়—মানুষের একমাত্র “রাস্তা” হয়ে গেছে বিশাল বালুচর।
সরেজমিনে দেখা যায়, কোথাও হাঁটুসমান পানি থাকলেও নদীর অধিকাংশ অংশ এখন অগাধ বালিতে কুসুম—সেই বালুচরই পারাপারের একমাত্র মাধ্যম। বৃদ্ধ–বনিবন্ধী ও অসুস্থরা খাড়া বালুচরের গরম রোদে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত পা টেনে ঝুঁকি নিয়ে পথ পাড়ি দিচ্ছেন।
রতনপুর গ্রামের মিজানুর রহমান মিলন বলেন,
নদীর কিছু অংশে হাঁটুসমান পানি থাকলে দলবেঁধে সেই পানির মধ্য দিয়ে বালুচরের উঁচুনিচু পথ পেরিয়ে পার হতে হয়। কিন্তু শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধীরাই সবচেয়ে বিপাকে—রোগী আনা–নেওয়া করতে গিয়ে ঝুঁকি নিতে হয়।”
নৌকার মাঝি লালু মিয়া অভিযোগ করেন,বলেন যেখানে এক সময় নৌকায় ভাড়া নিয়ে যাতায়াত করতাম, এখন ঘাট নাই নৌকা চালাতে হলে নদীতে পানি লাগে, আর পানি না থাকায় এখন অধিকাংশ লোক নদী পায়ে এটাই পার হয়। প্রায় এক মাস হল নৌকা চালাতে পারি না। সংসার চালাতে এখন আমি ঘোড়ার গাড়ি চালাই। অংশবিশেষে জলের অভাবে মাছ ধরা, মৎস্য আহরণ ও ক্ষুদ্র–মধ্যম পণ্য পরিবহনও থমকে গেছে। মৎস্যজীবী লালচান মিয়া জানান,“বাজারে মাছ পৌঁছে দিতে পারি না, প্রতিদিনই টাকার ক্ষতি হয়।” তাই দুই মাস আমি ঢাকায় রাজমিস্ত্রির যোগাযোগ কাজ করলাম।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন,“উজান থেকে প্রবাহিত পানির পরিমাণ ব্যাপকভাবে কমে যাওয়া, বর্ষার পলিমাটি জমে যাওয়ায় নদী বালুময় হয়েছে এবং ভাঙনে নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা নিশ্চিতের জন্য খনন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এবং উড়িয়া এবং এরেন্ডাবাড়িতে বাঁধ সংস্কার ও নদী ক্ষরণের কাজ চলমান।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও খনন কাজে বারবার সাইনবোর্ড ও লাল পতাকা না থাকায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নকশা বিক্রয় ও নকশা পরিবর্তনের অভিযোগ এনে প্রশাসনের কাছে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করেন—কিন্তু এখনও কোনো তদন্ত বা প্রতিকার পায়নি ।
উল্লেখ্য ব্রহ্মপুত্র নদ, তিব্বতের মানস সরোবর থেকে উৎপত্তি হয়ে চীন–ভারত পেরিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করে, এক সময় ছিল উত্তাল নদী থাকলেও আজ সেটি বালুচরে পরিণত হয়েছে। এবং ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পাড়ের মানুষের জীবনের একমাত্র বাধা হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে মানসম্মত খনন কার্যক্রম শুরু করে নদীর নাব্যতা পুনর্স্থাপন না করা হলে পথ–পথিকের দুর্ভোগ কমবে না, আর্থসামাজিক ক্ষতি বৃদ্ধি পাবে, এবং পরিবেশগত বিপর্যয় বাড়বে। প্রশাসনের এখনই পদক্ষেপ নেয়ার সময়—নৌপথ ফেরাতে হবে নইলে দলবেঁধে পায়ে হেঁটেই পার হওয়া এই কষ্ট অনন্তকাল টিকে থাকবে।
এমএসএম / এমএসএম
রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম তুললেন শরীফ উদ্দিন
রাণীনগরে প্রায় ৮০ লক্ষ্য টাকা ব্যয়ে নির্মান হলো বৌদ্ধভূমিতে স্মৃতিসৌধ
নাজিরপুরে নামওয়াস্তে কাজ করে ৪০ লক্ষ টাকার শিংহভাগ আত্মসাতের অভিযোগ
মধুখালীতে বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে জেলেদের বকনা বাছুর প্রদান
চট্টগ্রামে গিয়াস কাদের ও হুম্মাম কাদেরের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ
মুকসুদপুর পৌর আওয়ামী লীগের দুই নেতার দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ
এবারের নির্বাচন হবে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচন- মনিরুল হক চৌধুরী
শৃংখলার সাথে প্রত্যেক ভোটারের বাড়ি গিয়ে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করুন : মাহমুদ হাসান খান বাবু
তানোরে তিন ফসলি জমি নষ্ট করে হিমাগার নির্মাণ
যশোরে খেজুরের রস ও গুড় বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ১০০ কোটি টাকা
নোয়াখালীতে মাদক-সন্ত্রাস ও কিশোরগ্যাং রোধে ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্ট
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল