নেত্রকোনা হাওরে ধান কাটা শ্রমিকের সংকটে কৃষক দিশেহারা
হাওর-বাঁওড় পাহাড় বেষ্টিত নেত্রকোনা জেলার হাওরে বৈশাখ মাসের শুরুতেই দেখা দিয়েছে ধান কাটা শ্রমিকের তীব্র সংকট। যে কারণে পাকা ধান কাটতে পারছেন না কৃষকগণ। বৈশাখ মাসে ঝড় তুফান অতিবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কায় দিন কাটছে কৃষকদের। সার ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত টাকার জন্য কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলেও জমিতে ভালো ফসল হয়েছে। এছাড়া হাওরে বাধঁ নির্মাণের অনিয়ম নিয়ে প্রধান উপদেষ্ঠা ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ হাওর বাচাঁও আন্দোলন জেলা কমিটির মানববন্ধন হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাওরে ৭০% কাজ হয়েছে। জমির বিষয়ে হাওরের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় চৈত্র মাসে হাওরে বৃষ্টি হয়নি। বৈশাখ মাসে অতিবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের। রোপণ করা ধান পেকেছে শ্রমিকের সংকটে এসব জমির ধান কাটতে তোড়জোর করছেন কৃষকরা। শ্রমিকসংকটে তা ব্যাহত হচ্ছে। সময়মতো গোলায় ধান তোলা নিয়ে রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। রয়েছে তারা, জেলার বাইরে থেকে শ্রমিক আসলে অনেক উপকার হতো। অল্প সংখ্যক স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না।এ ছাড়া স্থানীয় শ্রমিকরা ধান কাটতে বেশি মজুরি নিচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাওর-বাঁওড় বেষ্টিত নেত্রকোনা জেলার বেশির ভাগ মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। এর ওপরই নির্ভর করে তাদের জীবন-জীবিকা। এর মধ্যে অনেকেই চলে গেছেন গার্মেন্টস ও কলকারখানায়। যে কারণে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। এছাড়া জেলার ১০ উপজেলায় কৃষি অফিসের তথ্য মতে প্রায় ৫,শতাধিক কম্বাইন হারভেস্টার কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে তা লাপাত্তা হয়ে চলে গেছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। যে কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। হাওরে দেখা গেছে জেলার বাহির থেকে কিছু কম্বাইন হারভেস্টার আসলেও চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। বৈশাখ মাস শুরু হলেই ধুম পড়ে ধান কাটার উৎসব আমেজে গোলায় ভরে ধান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে,এবার জেলার ১০ উপজেলায় ১৩৫ টি হাওরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড,উফসি ও বিধান জাতসহ স্থানীয় জাতের ধান আবাদ হয়েছে। এবার জমিতে থেকে ১২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯০ টন ধান উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী বোরো থেকে ৮ লাখ ৪২ হাজার ২৭ টন চাল উৎপাদন হবে। মোহনগঞ্জ উপজেলার পেরিছড় গ্রামের কৃষক চন্দন মিয়া বলেন,হাওরে ধান পেকেছে। তা কাটার জন্য স্থানীয় শ্রমিকের জন্য তিন দিন ধরে ঘুরছি,পাচ্ছি না। শ্রমিকের সংখ্যা কম হওয়ায় তাদের চাহিদা বেশি। প্রয়োজনে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। ঝড় বা শিলাবৃষ্টি হলে পাকা ধানের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। খালিয়াজুরী উপজেলার লিপসা গ্রামের আবুল কাশেম আবাদী বলেন,চাকুয়া ইউনিয়নে সব কয়টা গ্রামে স্থানীয় শ্রমিকের সংকট রয়েছে। যা আছে তা দিয়ে হাওরের সব ধান কাটা সম্ভব নয়। জেলার বাইরে থেকে শ্রমিক না এলে এ সংকট কাটবে না। বৈশাখের শুরুতে জেলার বাইরে থেকে কিছু শ্রমিক এসেছে,তবে তা যথেষ্ট নয়। নগর গ্রামের সুশীল দাস বলেন,এরই মধ্যে তার ও ৫ একর জমির ধান পেকেছে। শ্রমিক না পাওয়ায় কাটাতে পারছেন না। তিনি বলেন, পাকা ধান বেশি দিন জমিতে থাকলে ঝরে যাবে তাই আমি শ্রমিক খুঁজছি। এভাবে জেলার সব কয়টা উপজেলায় শ্রমিক ও হারভেস্টারের সংকট রয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন হাওরে যেসব ধান পেকেছে তা স্থানীয় শ্রমিকরা কাটছেন। হারভেস্টার দিয়েও কাটা হচ্ছে। এবার হাওরে চাহিদার চেয়েও অনেক বেশি ধান উৎপাদন হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
এমএসএম / এমএসএম
আদমদীঘির কাঞ্চনপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম ৯ আসনে শামসুল আলমকে বিএনপি’র মনোনয়নের দাবি ১৫ সংগঠনের
গোপালগঞ্জে গ্রাম আদালত উন্নয়নে ডিএমআইই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
সিরাজদিখানে প্রবাসীর স্ত্রী শিউলি আক্তারের রহস্যজনক মৃত্যু
ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সাবেক ছাত্রনেতাদের মতবিনিময়
নরসিংদীর চরাঞ্চলে খেয়াঘাটে টাকা আদায় নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০
ভোলায় ৬৭৮ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ
মহেশপুরে আলমসাধুর ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক কলেজ ছাত্র নিহত
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান
সংবাদ প্রকাশের পর ডালারপাড়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসনসহ নৌপুলিশ
হাতিয়ায় ৬ হাজার ৪০০ কেজি জাটকা জব্দ করেছে কোস্টগার্ড
আল্লাহ ও রাসূলকে নিয়ে কটুক্তি করায় চাঁদপুরের পুরাণবাজারে বিক্ষোভ মিছিল