রৌমারীতে একটি ব্রীজের অভাবে ৭ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের দূর্ভোগ প্রশাসনের নজর চাল এলাকাবাসি

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নে একটি ব্রীজের অভাবে ৭ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চরম দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে দূর্ভোগে রয়েছে ১০ হাজার মানুষ। শৌলমারী নতুন বাজার হতে মাঠের ভিটা মহাসড়কের যাতায়াতের রাস্তাটি গত কয়েক বছর আগে ভয়াবহ বন্যায় রাকু মিয়া নামের এক ব্যক্তির বাড়ি সংলগ্ন রাস্তটি ভেঙ্গে যায় এবং গভীর পুকুরের পরিণত হয়। একমাত্র রাস্তা হওয়ায় এলাকাবাসির নিজস্ব অর্থায়নে ওই পুকুরের ওপর প্রায় ৯৫ মিটার একটি বাশেঁর সাকোঁ দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে সকল পেশাজীবি মানুষ। বর্ষাকালে নৌকা, আর খরা মৌসুমেও বাঁশের সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।
মঙ্গলবার সকালের দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের মানুষের উপজেলায় আসা যাওয়ার একমাত্র রাস্তা। এ রাস্তাটি দিয়ে বেহুলার চর, ফকিরপাড়া, সবুজপাড়া, শৌলমারী, মোল্লার চর, কলমের চর ও গয়টাপাড়া গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসি ওই পুকুরে মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ বা ব্রীজের দাবি করে আসছে। বিভিন্ন সময় নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতারা একাধিকবার পুকুরের ওপর ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি আজও। কৃষকদের উৎপাদিত জমির ফসল বাজারে নিয়ে যাওয়া, স্কুল কলেজ শিক্ষার্থী, যানবাহন চলাচল, চাকরিজীবি, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণির পেশাজীবি মানুষের অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয়। একটি ব্রীজের অভাবে এই গ্রামের মানুষদের সারাবছর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অত্র গ্রামগুলোর মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতির উন্নয়নের ক্ষেত্রে এখানে ব্রীজ নির্মাণ অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়বাসিন্দা প্রভাষক মো.আশরাফুল ইসলাম বলেন, খালের ওপর ব্রীজ না থাকায় চরম ভোগান্তি আমাদের। শুধু মাত্র একটি ব্রীজের অভাবে আমরা প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হই। আমি প্রশাসনের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সহকারি শিক্ষক মো. শাফি আহমেদ জানান, প্রতিদিন প্রয়োজনীয় কাজে আমাদের রৌমারীতে যেতে হয়। এতে অনেক কষ্ট হয়। আমাদের প্রাণের দাবি একটা ব্রীজ নির্মাণ করা হোক।
শিক্ষার্থী মোছা. কেয়া খাতুন জানায়, জীবনের ঝুকি নিয়ে বাশের সাকোঁ পার হয়ে স্কুলে যাই। আমি দ্রুত ব্রীজটি চাই।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো. নাজমুল হুদা বলেন, ভয়াবহ বন্যায় রাস্তাটি ভেঙ্গে অনেক গর্ত হয়েছে। ওই ভাঙ্গাটি মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করলেও হবে। তা না হলে একটি ব্রীজ দিতে হবে। এইটুকু ভাঙ্গার জন্য অনেক সময়ে আমরা ৩ কিলোমিটার ঘুরে রৌমারী সহ বিভিন্ন হাটা-বাজারে যাই। তাই আমি একটি ব্রীজের দাবী করছি।
শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান , উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হয়েছে। ভাঙ্গাস্থানে মাটি ভরাট করলেও হয়, বা একটি ব্রীজ দিলেও সমস্যা হবে না। তবে আমি চেষ্টা করবো উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য।
উপজেলা প্রকৌশলী মো: মনছুরুল হক জানান, ইতোমধ্যে বিষয়টি জেনেছি। সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল কুমার হালদার বলেন, ওই ভাঙ্গার ব্যাপারে কিছু জানিনা। খোজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম

চসিকের সিইওকে সরাতে মেয়রের ডিও লেটার

নড়াইলে গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচন প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. আবুল হাসনাতের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির অভিযোগ

মুলাদীতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

কামালপাড়া যুব সংঘের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

‘সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর জরুরি’: কানাডা বিএনপি নেতা হুমায়ুন পাটোয়ারী

পটুয়াখালীতে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ৩৫ লক্ষাধিক টাকার মাদক ও জাল নোট জব্দ

কেরানীগঞ্জে চাষের মাগুরকে খাওয়ানো হচ্ছে মরা মুরগি, তীব্র গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

যথা সময়ে নির্বাচন, সহিংসতা প্রতিরোধে জনগণকেও ভূমিকা রাখতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

নুরাল পাগলা’র দরবারে পুলিশের ওপর হামলা, ৩৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় ডেকোরেশন কর্মীর লাশ উদ্ধার

কুড়িগ্রারে রৌমারীতে সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
