স্বায়ত্তশাসন পুন:প্রতিষ্ঠা সহ ১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে গণ-জমায়েত অনুষ্ঠিত

স্বায়ত্তশাসন পুন:প্রতিষ্ঠা এবং মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপ ও কর্তৃত্ববাদী আচরণের প্রতিবাদে ০৪ মে, ২০২৫খ্রি. রবিবার বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের সর্বস্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে গণ-জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণ-জমায়েত শেষে বিজ্ঞানী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি প্রতিনিধি দল দাবির স্বপক্ষে সংগ্রহকৃত গণস্বাক্ষরের কপিসহ একটি স্মারকলিপি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট দাখিল করেন।
বিদ্যমান সমস্যাদি সমাধানে কমিশনের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে গত ১৫.১২.২০২৪ তারিখে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা মহোদয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উক্ত স্মারকলিপির ব্যাপারে মন্ত্রণালয় হতে কোনো সাড়া এবং আলোচনার সুযোগ না পেয়ে গত ১০ এপ্রিল কমিশনের সকল সংগঠনের পক্ষ থেকে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে অনুরোধ জানিয়ে পুনরায় পত্র প্রদান করা হয়। এরপরও মন্ত্রণালয়ের কোন সাড়া না পাওয়ায় গত ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ঢাকার আগারগাঁও এ অবস্থিত কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে বিজ্ঞানী-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের পক্ষ হতে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয় এবং একই দিন হতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ হতে কমিশনের সকল প্রতিষ্ঠানে একযোগে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এরপর গত ২৭-২৮ এপ্রিল ২০২৫ বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ৪০টি প্রতিষ্ঠানে একযোগে অবস্থান গ্রহণ এবং গণস্বাক্ষর গ্রহণ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। পরবর্তীতে গত ২৯ এবং ৩০ এপ্রিল সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (বাপশক) আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) রীতিনীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, উন্নয়ন, প্রসার, তদ্সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম, সেবা ও শিক্ষা সম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালনা, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সম্পাদনের জন্য ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । এই কমিশনটি ১৯৭৩ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার নং ১৫ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং ২০১৭ সালের আইন নং ২৩ পরিচালিত একটি বিশেষায়িত গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসন আমলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট আমলারা কমিশনের আইনকে উপেক্ষা করে কমিশনের শীর্ষ পদগুলি শূন্য রেখে কমিশনকে দূর্বল করে মন্ত্রণালয়ের আজ্ঞাবহ একটি নতজানু প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিল। ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিলেও সে অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি বরং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আমলাদের কর্তৃত্ববাদী আচরণ ও কমিশনের এখতিয়ারভূক্ত কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপ দিন দিন বেড়েই চলেছে যা কমিশনের স্বায়ত্তশাসনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং কমিশনের কর্মদক্ষতা, মর্যাদা ও মনোবলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ পরিস্থিতিতে কমিশনের গবেষণা কর্মকান্ড ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ পেক্ষাপটে, চলমান আন্দোলন ও ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ না নেয়ায় দাবিসমূহ বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এমএসএম / এমএসএম

মালয়েশিয়ার যে কোন শর্তে শ্রমবাজার খোলার দাবি

গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মুক্ত গণমাধ্যম অপরিহার্যঃ অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী

ঢাকা উত্তরের ২৫টি স্থানে বাতাসের গুণগতমান যাচাইয়ের জন্য ব্লুমবার্গের সহায়তায় আধুনিক যন্ত্র স্থাপন করা হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক

চা শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ ও ১১ দফা দাবী মেনে নিতে হবে –ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ

শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে পুসাবের নির্বাচন

ডেসকোতে এলটি লাইন নির্মাণে চাঁদা না দেয়ায় মুন্নি এখন দিশেহারা

গাবতলী হাটের ইজারা প্রক্রিয়াগত ভুল অনুসন্ধানে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ

স্বায়ত্তশাসন পুন:প্রতিষ্ঠা সহ ১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে গণ-জমায়েত অনুষ্ঠিত

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন

গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মুক্ত গণমাধ্যম অপরিহার্যঃ অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী

এবি পার্টির সাবেক নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, জামায়াতের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

দীর্ঘ ১৬ বছর মানুষের স্বাভাবিক জীবনের স্বপ্ন ছিল দুঃস্বপ্নের মত: দাউদ শিকদার
