আখ ক্ষেতে ধানের যৌথ চাষ ঃ চাষাবাদে খরচ কমবে এক-তৃতীয়াংশ

দীর্ঘমেয়াদী এবং অর্থকারী ফসল আখ। এই ফসল উৎপাদনে এক বছরেরও বেশি দিন সময় লেগে যায়। রোপন থেকে মাড়াই পর্যন্ত ১২-১৪ মাস সময় লাগে। দীর্ঘসময়ের পাশাপাশি আখ উৎপাদনে ব্যয়ও হয় অনেক টাকা। গত এক দশকে আখ চাষে লোকসান হওয়ায় পাবনাসহ আশেপাশের জেলায় আশংকাজনকভাবে কমেছে আখের উৎপাদন। ফলে কাঁচামালের অভাবে মাড়াই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হিমশিম খেতে হয় উত্তরবঙ্গের চিনিকলগুলোকেও। এই সংকট দূর এবং আখ চাষ লাভজনক করেতে আখের সাথি ফসল হিসেবে ধান চাষের পরিকল্পনা করেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনিস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। গত তিন বছরে ধারাবাহিক চেষ্টায় পরীক্ষামূলক উৎপাদনে সফলতা আসায় এখন চলছে খুঁটিনাটি পরীক্ষা। সীমাবদ্ধতা দূর করে দ্রুতই কৃষক পর্যায়ে এ পদ্ধতি ছড়িয়ে দেয়ার আশাবাদ গবেষকদের। এ পদ্ধতিতে ধান চাষে সেচ ও জ¦ালানী খরচ প্রচলিত পদ্ধতির এক চতুর্থাংশ। পাশাপাশি জমির বহুমুখী ব্যবহারে উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় লাভবান হবেন কৃষক বলে কৃষি বিজ্ঞানীরা জানান।
বিএসআরআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামস তাবরিজ জানান, সাধারণত উত্তরাঞ্চরে এক কেজি বোরো ধান উৎপাদনে প্রায় আড়াই হাজার লিটার পানি লাগে। কিন্তু আখ খরাসহিষ্ণু ফসল। ধান ও আখ বিপরীত বৈশিষ্ট্যের ফসল হওয়ায় এই দুই ফসলের মিশ্র চাষে পানি সাশ্রয় হয়। ফলে সেচ ও জ¦ালানি খরচ কমে। একই সাথে ধানের জন্য প্রয়োগ করা সার আখেরও কাজে লাগে। একই খরচ ও চাষে দুই ফসল। তাই সার্বিক ভাবে কৃষকের ভালো মুনাফা আসবে।
বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং আখ ও ধানের যৌথ চাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এ পদ্ধতির চাষে কৃষকের খরচ এক তৃতীয়াংশ কমবে। যেহেতু আখ চাষে সময় বেশি লাগে, এ কারণে কৃষক শুধু আখ চাষ করে খুব বেশি লাভবান হচ্ছিলেন না। তাই আমরা খরচ কমিয়ে অর্থনৈতিক লাভের উপায় খুঁজছিলাম। সেক্ষেত্রে আখ ও ধানের যৌথ চাষ খুবই উপযোগী। আমরা এখন চুড়ান্ত পরীক্ষা করছি। দ্রুতই এটি কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, বেড পদ্ধতি ও সরাসরি আবাদ দুইভাবেই আখ ও ধানের যৌথ চাষ করা সম্ভব। এতে ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকায় প্রয়োজন হবে না ভূগর্ভস্থ পানি। ফলে কমবে জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খরচ। নতুন প্রযুক্তির এ চাষাবাদ পদ্ধতি সম্প্রসারিত হলে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারে কৃষি ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, আখ অর্থকরী ফসল। ধান ও আখের যৌথ চাষ নিঃসন্দেহে অর্থনৈতিক বড় সম্ভাবনা চাষীদের জন্য। তবে, এক্ষেত্রে সঠিক সময়ে রোপণ ও পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিয়মে কৃষক আবাদ করতে পারলে লাভবান হবেন।
বাংলাদেশ সুগারক্রপ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. কবির উদ্দিন আহমদ জানান, যেহেতু ধান বাংলাদেশের প্রধান ফসল, সে কারণে আখ ক্ষেতে ধানের চাষ দ্রুত জনপ্রিয়তা পাবে বলেই আমাদের ধারণা। এতে একই খরচে কৃষক বাড়তি ফসল পাবেন।
হিসেব করে দেখা গেছে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে খরচ কমবে এক-তৃতীয়াংশ। এতে লাভবান হবে কৃষক। অল্প পানিতে যদি আমরা ধান আবাদ করতে পারি সেটাই আমাদের জন্য বেশি উপকার হয়। আখের খরচ দিয়েই ধানের দুই-তৃতীয়াংশ খরচ মিটে যায়।
এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখল, ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন

সান্তাহারে ইয়াবা ট্যাবলেট ও প্রাইভেট কারসহ দুইজন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গরুর গাড়ি মার্কা প্রার্থীর সমর্থনে সভা

কাউনিয়ায় এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে গাছের চারা বিতরণ

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করে চটের ব্যাগ ব্যবহার করুন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোনাগাজীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরু চোরসহ গ্রেফতার-০৪, চোরাই গরু উদ্ধার

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ
