সাটুরিয়ায় ছনকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ছনকা উচ্চ বিদ্যালয় স্থানান্তরকে কেন্দ্র করে অনিশ্চিত হয়ে পরেছে ওই বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর পড়াশোনা।
রাতের আধারে ধলেশ্বরী নদীর পূর্ব পাড় থেকে বিদ্যালয়টির কাগজপত্র নিয়ে শিক্ষকরা পশ্চিম পাড়ে নতুন করে বিদ্যালরের ক্লাস রুম তৈরি করে নদীর ওই পাড়ে পাঠদান শুরু করে। ফলে প্রায় তিন সপ্তাহ যাবৎ নদীর পূর্ব পাড়ের ২ শতাধিক শিক্ষার্থী ক্লাস করতে পারছে না। বর্তমানে বিদ্যালয়টির এডহক কমিটির সভাপতি নদীর পূর্বপাড়ে শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশনা প্রদান করে নিদের্শনা দিয়ে পত্র দিলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নদীর পশ্চিম পাড়ে ছনকা বাজার সংলগ্ন জায়গায় ক্লাস নিচ্ছেন। নদীর পুর্ব পাড়ে চর এলাকায় আসছেন না। সরেজমিনে বৃহস্প্রতিবার (১৫ মে) দুপুরে সাটুরিয়া উপজেলার ছনকা উচ্চ বিদ্যালয়টিতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে,বিদ্যালয়ের স্থানান্তরের নীতিমালা কে উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ শাজাহান ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম তথ্য গোপন করে চলতি বছরে ১২ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়টি নদীর পশ্চিম পাড়ে স্থানান্তরের একটি চিঠি আনে। স্থানীয় বাসিন্ধা ও নদীর পূর্বপারের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের দাবী বিদ্যালয়টি বর্তমান স্থানেই থাকবে। বিদ্যালয়টি নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারী মাধ্যমিক ১ শাখা থেকে পূর্বের স্থানান্তরের আদেশ বাতিলপূর্বক এবং শিক্ষা বঞ্চিত চরাঞ্চলের স্বার্থরক্ষার্থে পুররায় তদন্তের জন্য চিঠি ইস্যু করা হয়। এ চিঠির আলোকে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছনকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান স্থানে ক্লাস চালিয়ে যাবার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার পরেও পূর্ব পাড়ের বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা আসে নি ক্লাসও নেয় নি। স্থানীয় কয়েকজন যুবক ছাত্রছাত্রীদের কথা চিন্তা করে সাময়িক ভাবে বিদ্যালয়টিতে ক্লাস করাচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চরম উদ্বেগ ও পড়াশুনায় অনিশ্চয়তা।
এদিকে গত ১৩ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর কাজী ফয়জুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে সাটুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে ছনকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি পদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এডহক কমিটির সভাপতি গত ১৩ মে সাটুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমদ স্বাক্ষরিত একটি পত্রে জানানো হয়, মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট নির্শেশনা না পাওয়া পর্যন্ত নদীর পূর্বপাড়েই শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার। এ নির্দেশের পরেও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পূর্বপাড়ে ক্লাস করতে আসেনি।
বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, বিদ্যালয়ের বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পত্র দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখা এবং মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট নির্শেশনা না পাওয়া পর্যন্ত নদীর পূর্বপাড়ে ই শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশনা প্রদান করলেও এখনো কোন শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেনি। বর্তমানে আমরা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।
বিদ্যালয়টির এডহক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমদ বলেন, আমি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ডেকে কথা বলবো, কেন তারা বিদ্যালয়টিতে ক্লাস করাচ্ছেন না। কথা বলার পর পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম
মুকসুদপুরে মাদক বিরোধী এবং চুরি ও জুয়া প্রতিরোধে আলোচনা সভা
হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে সংঘর্ষ
পাঁচবিবিতে বিজিবির অভিযানে ফেন্সিডিল উদ্ধার
নোয়াখালীতে মোটরসাইকেল আটক করে মিলল ৪ হাজার পিস ইয়াবা
মাগুরায় রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাইকেল ও ভ্যানের পার্সের দোকান পুড়ে ছাই
রায়গঞ্জে ট্রলির সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী কিশোর নিহত
বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢাকামুখী যাত্রায় সকাল থেকেই ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের ভিড়
যশোর-৬ বিএনপি'র মনোনয়ন হারিয়েছেন শ্রাবণ চুড়ান্ত টিকিট পেলেন আবুল হোসেন আজাদ
পিরোজপুর-১ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন পেলেন মোস্তফা জামাল হায়দার
সন্দ্বীপের মুছাপুরে এতিমদের মাঝে ইউএনও’র শীতবস্ত্র বিতরণ
কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা ১১দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
জল্পনা-কল্পনা শেষে ঝিনাইদহে স্থগিত ৩টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা