জল্পনা-কল্পনা শেষে ঝিনাইদহে স্থগিত ৩টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে স্থগিত তিনটি আসনে অবশেষে, চূড়ান্তভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে বিএনপি সারা বাংলাদেশে মোট ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৬৩টি আসনে চূড়ান্তভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও, শরীক দলের জন্য রাখা ৩৭টি আসন ছিল ধোঁয়াশার মধ্যে। সারাদেশের অংশ হিসেবে সে-সময় ঝিনাইদহের ৪টি আসনের মধ্যে মাত্র একটি আসনে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে বিএনপি। অবশেষে, ঝিনাইদহের চারটি আসনেই চূড়ান্তভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলো দলটি।
তন্মধ্যে, ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনে বিএনপির দুইজন হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন। খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু'র বিপরীতে গণসংযোগ করছিলেন মাননীয় এটর্নি জেনারেল অ্যাড. মোঃ আসাদুজ্জামান। সেখানে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন এটর্নি জেনারেল অ্যাড. মোঃ আসাদুজ্জামান। এক্ষেত্রে, তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এটর্নি জেনারেলের পদ থেকে অব্যাহতি নিবেন। অপরদিকে, একই আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু।
ঝিনাইদহ-২ (সদর-হরিণাকুণ্ডু) আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম. এ. মজিদ। ঝিনাইদহ-২ আসনকে বলা হয় বিএনপির ঘাঁটি। ফলে, এই আসনটি নিয়ে জল্পনা-কল্পনার কোন শেষ ছিল না। কারণ, একই আসনে বিএনপির শরীক দলের প্রার্থী ছিলেন, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বেশ জোরেশোরে প্রচারণাও চালাচ্ছিলেন। এছাড়াও, লাগাতার গণসংযোগ করছিলেন সাবেক এমপি প্রয়াত আলহাজ্ব মশিউর রহমান এঁর ছেলে ডা. ইব্রাহিম বাবু ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। তবে, সাবেক ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান আসাদ দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও, ড্যাবের সদস্য ডা. ইব্রাহিম বাবু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এক্ষেত্রে, বিএনপি কৌশল অবলম্বন করে রাশেদ খানকে ঝিনাইদহ-৪ (কালিগঞ্জ) আসনে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন প্রদান করেছে।
অপরদিকে, ঝিনাইদহ-৪ (কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন হেবিওয়েট সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হামিদুল ইসলাম।
শরীক দলের প্রার্থী হিসেবে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে ঝিনাইদহ-৪ আসনে বিএনপির শরীক প্রার্থী ঘোষণা করার পর দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে, দলের এমন সিদ্ধান্তে অনেকেই হতাশার কথা জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ প্রকাশ্যে ফেসবুক লাইভে এসে দল থেকে পদত্যাগও করার ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপির একজন কর্মী বলেন,
"ফিরোজ ভাই দীর্ঘদিন ধরে কালিগঞ্জ উপজেলা কে আগলে রেখেছেন, নেতা-কর্মীদের বিপদে-আপদে পাশে থেকেছেন। তাকে এভাবে সরিয়ে দেয়ার কোন মানে হয় না। আমরা খুবই হতাশ। দলের এমন সিদ্ধান্ত হিতে বিপরীত ঘটাবে।"
কালিগঞ্জ উপজেলায় রাশেদ খানের মনোনয়ন দেয়া নিয়ে হামিদ গ্রুপের মধ্যেও একই চিত্র ফুটে উঠেছে।
অপরদিকে, ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসনে আগে থেকেই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সাবেক এমপি শহীদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসান রনির নাম প্রকাশ করে দলটি।
এমএসএম / এমএসএম
মুকসুদপুরে মাদক বিরোধী এবং চুরি ও জুয়া প্রতিরোধে আলোচনা সভা
হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে সংঘর্ষ
পাঁচবিবিতে বিজিবির অভিযানে ফেন্সিডিল উদ্ধার
নোয়াখালীতে মোটরসাইকেল আটক করে মিলল ৪ হাজার পিস ইয়াবা
মাগুরায় রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাইকেল ও ভ্যানের পার্সের দোকান পুড়ে ছাই
রায়গঞ্জে ট্রলির সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী কিশোর নিহত
বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢাকামুখী যাত্রায় সকাল থেকেই ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের ভিড়
যশোর-৬ বিএনপি'র মনোনয়ন হারিয়েছেন শ্রাবণ চুড়ান্ত টিকিট পেলেন আবুল হোসেন আজাদ
পিরোজপুর-১ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন পেলেন মোস্তফা জামাল হায়দার
সন্দ্বীপের মুছাপুরে এতিমদের মাঝে ইউএনও’র শীতবস্ত্র বিতরণ
কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা ১১দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
জল্পনা-কল্পনা শেষে ঝিনাইদহে স্থগিত ৩টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা