মাঠে ধান কাটার উৎসব—সিদ্ধ, মাড়াই আর শুকানোর কর্মব্যস্ততা তুঙ্গে

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় শুরু হয়েছে ধান কাটার ব্যস্ততম সময়। বর্ষা শেষে সোনালী ধানের হাসিতে ভরে উঠেছে মাঠ। কৃষকের কাঁধে ঘামের বোঝা, মুখে আনন্দের হাসি—এই এক অপূর্ব চিত্র ফুটে উঠেছে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ঘেঁষা এই জনপদে। বিশেষ করে উদাখালি ইউনিয়নের কাতলামাড়ি ও দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের মাঠে এখন চলছে ধান কাটা, মাড়াই, শুকানো এবং সিদ্ধ করে চাল বানানোর নিরবিচ্ছিন্ন কর্মযজ্ঞ। যেন গ্রামীণ জীবনের এক ঐতিহ্যময় উৎসব।
ফুলছড়ি উপজেলা প্রকৃত অর্থেই এক নদীমাতৃক অঞ্চল। ব্রহ্মপুত্র নদের পলিযুক্ত উর্বর জমি বছরের পর বছর ধরে কৃষিকে করেছে প্রাণবন্ত ও সমৃদ্ধ। এখানকার মানুষ প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকে থাকেন, আবার তার কাছ থেকেই পান জীবনের রসদ। ধানচাষ এ অঞ্চলের প্রধান জীবিকা যেমন, তেমনি আবহমান বাংলার কৃষি সংস্কৃতির একটি বর্ণিল অধ্যায়ও।
ধান কাটার এই মৌসুমে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণও সমানভাবে দৃশ্যমান। তারা ধান শুকানো, মাড়াই, খড় সংগ্রহ, চাতালে ধান ছাঁটা, এমনকি কাঠের চুলায় ধান সিদ্ধ করায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। নারীদের এমন কর্মচাঞ্চল্য চোখে পড়ে সহজেই, যা বোঝায়—তারা এখন আর কেবল সহায়কের ভূমিকায় নেই, বরং কৃষিকাজের গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি।
উড়িয়া ইউনিয়নের কৃষক মাইদুল ইসলাম বলেন, “এই ধান কাটার সময়টা আমাদের জন্য শুধু কাজের সময় না, এটা এক ধরনের উৎসব। মাঠে সবাই মিলে কাজ করি—নারী, পুরুষ, কিশোর, বৃদ্ধ কেউ বাদ যায় না। এটা আমাদের পরিশ্রম, ঐতিহ্য আর আনন্দের মিলন।”
এই প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার কমিশনের ফুলছড়ি উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ ইব্রাহিম আকন্দ সেলিম বলেন, “নারীরা আজ আর শুধু সহায়ক নন, তারাই বাস্তবিক অর্থে কৃষির চালিকাশক্তি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখনও তাদের শ্রমের ন্যায্য মূল্যায়ন হয় না। এই বৈষম্য দূর করতে হবে।”
অপরদিকে, ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সরকার বলেন, “এই কৃষকদের ঘামে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা গতি পায় তাদেরই অবদানে। তাই এই মৌসুমে সরকারি সহায়তা, ন্যায্য দাম ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।”
এ প্রসঙ্গে ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিন্টু মিয়া বলেন, “সরকার কৃষকদের সহায়তায় নিরলসভাবে কাজ করছে। আমরা বিনামূল্যে বীজ, সার, ও কীটনাশক সরবরাহ করছি। প্রতিটি ব্লকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন এবং কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।”
ফুলছড়ির মাঠে এখন শুধুই ধান কাটার নয়, এটি যেন এক জীবন্ত কৃষিসংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। যেখানে ঘাম ঝরে, হাসি ফোটে, আর বাঁশি বাজে প্রাকৃতিক সুরে। নারী-পুরুষের সম্মিলিত এই প্রয়াস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, খাদ্যের পেছনে রয়েছে একান্ত পরিশ্রমের এক নিঃশব্দ গল্প। সময় এসেছে এই গল্পগুলোর প্রাপ্য মর্যাদা ও স্বীকৃতি দেওয়ার।
এমএসএম / এমএসএম

আল্লাহ ছাড়া এই নির্বাচন আর কেউ ঠেকাতে পারবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ

সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বানে নিসচা’র পথসভা ও লিফলেট বিতরণ

গণঅধিকারের সভাপতি নূরের উপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ

নবীনগরে পূর্ব ইউনিয়ন কৃষক দলের দ্বি বার্ষিক সম্মেলন

এমএজি ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকীতে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ধামইরহাটে আইডিয়াল মাদ্রাসার অভিভাবকদের নিয়ে মত বিনিয় সভা

পটুয়াখালীতে রাতের আঁধারে নদী তীরের মাটি লুট

সুনামগঞ্জের পাথারিয়া বাজারে প্রবাসী ময়না মিয়ার জায়গা জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করছে কুচক্রীমহল

কাপাসিয়ায় সদস্য নবায়ন কর্মসূচি পালিত

ত্রিশালে মাদ্রাসার চারতলা ভিত বিশিষ্ট একতলা ভবনের ভিত্তি প্রস্থার স্থাপন উদ্বোধন

কাঠইর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি এখন আ-লীগসহ জাতীয় পার্টির অনুসারীদের দখলে

উলিপুরে জাতীয় পার্টির আহবায়ক কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময়
