ঢাকা মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫

মোংলা বন্দর শ্রমিক সংঘ , রাজনীতির রোষানলে পড়েছে শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা


এম এস রহমান  photo এম এস রহমান
প্রকাশিত: ২০-৫-২০২৫ দুপুর ৩:৫৩

রাজনীতির রোষানলে শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা। বিগত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকারের ১৭ বছর ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত সাধারণ শ্রমিক। ৫ ই আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি মোংলা বন্দর শ্রমিকের জীবন জীবিকা ন্যায্য পাওনা। 
শ্রমিকের ঘাম ঝরানো পরিশ্রমের ফসল ভোগ করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা। 

আওয়ামী লীগের আমলে মুখ্য চরিত্রে যাদের দেখা গেছে আজ তারাই খোলস বদলে জবরদখলের ধারাবাহিকতার পাঁয়তারা করে আসছে। শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা আদায়য়ের লক্ষ্যে বিগত দিনে শ্রমিকের সাথে একাত্মতা পোষণ করে যারা শ্রমিক সংগঠন চালিয়েছিলেন তারাই আজ অস্তিত্বহারা হয়ে দ্বারপ্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন । শ্রম অধিদপ্তর থেকে শুরু করেছে শ্রম মন্ত্রণালয় পর্যন্ত শ্রম অধিদপ্তরের গঠনতন্ত্র ,অনুযায়ী তাদের কমিটি পরিচালনার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন এক দপ্তর থেকে অন্য দপ্তরে। ৩৩ টি চিঠি দিয়েছেন এ পর্যন্ত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, ১৯৫০ সালে মোংলা সমুদ্র বন্দর সৃষ্টি হলে ১৯৮৭ সালে ২৮ ডিসেম্বর মোংলা ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ড  চালু হয়। মোংলাবন্দর শ্রমিক সংঘ চালু হয় ১৯৭২ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরই। মোংলা বন্দর শ্রমিক সংঘ স্থাপিত হয়। সে সময় থেকে মালিক পক্ষের কাছ থেকে এ বন্দরে অবহেলিত শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ ও দাবি-দাওয়া আদায়ের কাজ করছিল সংঘের নেতারা। কিন্তু ২০০৮ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হলে মোংলা বন্দরের শ্রমিক কর্মচারী সংঘ বিলুপ্ত ঘোষণা করে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে কিছু অসাধু নেতাকর্মী সংগঠনটি দখল করে শ্রমিকদের স্বার্থে কাজ না করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছিল বলে দাবি সাধারণ শ্রমিক। 

শ্রমিক সংগঠনের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তিতুমীর চোকদার বলেন। এই শ্রমিক কর্মচারীরা ফখরুদ্দিন থেকে আজকে ডাঃ ইউনুস স্যার পর্যন্ত নির্যাতিত, নিপিড়ীত ও অধিকার বন্চিত।কিন্তু কেন? আমরা শ্রমিক কর্মচারীরা মানুষ নয়? আমাদের কেন সঠিক মজুরী দিবেনা? আমাদের  বাসস্থান কেন বিক্রি করে  খাবে? আমাদের কর্মস্থলের ও জীবনের নিরাপত্তা থাকবেনা।আমারা শ্রমিক কর্মচারীরা কি লুটের মাল হলাম, যে ই ক্ষমতায় বসুক সে ই শ্রমিক কর্মচারী দের  ভাগ্য লুটেপুটে খাবে? দীর্ঘ ১৭ বছর আওমিলিগ শ্রমিক কর্মচারী দের লুটপাট করে খেয়েছে।আওয়ামী দোসরদের দিয়ে বন্দরের শ্রমিকদের অধিকার হরন করছে, এখনও তারা বহাল তবিয়তেই আছে এবং আরও দাপটের সাথে। গত ৫ই আগস্টের পরে মোংলাবন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘে আওয়ামী দোসররা পালিয়ে যাবার পর, সাবেক আওমিলিগের দোসর , আওমিলিগের মেয়র  জুলফিকার এর এর নেতৃত্বে ৪/৫ জনকে দিয়ে শ্রমিক কর্মচারী সংঘে তালা মেরে রাখে।আমি ১৮ই আগস্ট মোংলা বন্দরে গিয়ে তার সাথে আলাপ করলে তিনি জানান আওমিলিগের যে কমিটি আছে সেই কমিটি যাদের লিখে দিবে তারাই শ্রমিক কর্মচারী সংঘ চালাবে বলে আমাকে জানায়।আমি বল্লাম এটা তো সম্ভব না।শ্রমিকদের ডেকে সাধারণ সভার মাধ্যমে একটি নির্বাচন উপ- কমিটি গঠন করে ঐ কমিটি ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিবে এবং যারা নির্বাচনের মাধ্যমে জিতে আসবে তারাই শ্রমিক কর্মচারী দের নেতৃত্ব দিবে।এটা তিনি মানেন না।তিনি শ্রমিক নন।একজন মালিক। মালিক হয়ে কিভাবে শ্রমিকদের সংগঠন তালা মেরে রাখেন।তিনি কি করেছেন শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই খোকন সেরনিয়াবাতের সাথে যারা আওয়ামী লীগ করত তাদেরকে সাথে নিয়ে মংলা বন্দর শ্রমিককর্মচারী  সংঘে ওনার মন মত কমিটি করে শ্রমিকের টাকা শ্রমিকের মজুরি আত্মসাৎ করে চলছে এবং প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে শ্রমিক সংঘের ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে কেউ আসলে তাকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিবো।আমি ভয় না পেয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি বেশ কয়েকবার শ্রমিকদেরকে নিয়ে শ্রমিক সংঘ চত্বরে মিটিং করার আহবান করেও করতে পারিনি তার কারণ এই আওয়ামী লীগের দোষর জুলফিকার তার স্পেশাল গুন্ডাবাহিনী দিয়ে শ্রমিক সাজিয়ে শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতেছে।স্থানীয় প্রশাসন ও তার কথায় ওঠে এবং বসে। তাৎপর্যে বুঝলাম শ্রমিকদের টাকা লুটপাট করে স্থানীয় প্রশাসনকেও ভাগ বাটোয়ারা দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখছে।শ্রমিকেরা কোথায় যাবে কার কাছে বিচার চাইবে।  তাই শ্রম অধিদপ্তরের  ডিজি মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে তিনি পরামর্শ দিলেন আপনারা শ্রমিকদের কে নিয়ে সাধারণ সভা ডাকেন।  ওখানে আমার প্রতিনিধি থাকবে। সাধারণ সভার মাধ্যমে উপস্থিত শ্রমিকদের সমর্থনে  একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করবেন। উক্ত কমিটি তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিবে ওই নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতবে তারাই পরবর্তীতে শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে ভূমিকা রাখবে এবং মংলা বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী সংঘের কার্যক্রম তারাই পরিচালনা করবে। তাই গত ২৯ শে এপ্রিল মংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সঙ্ঘে তলবী সভা আহবান করি। উক্ত দলবি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এনসিপি শ্রমিক উইংয়ের যুগ্ম সমন্বয়কারীমোশারফ হোসেন স্বপন,  আবু আব্দুল্লাহ  যুগ্ম সমন্বয়কারী, সৈয়দ সোহরাফ হোসেন,যুগ্ম সমন্বয়কারী,  যুগ্ম সংগঠক আব্দুল বারেক, কেন্দ্রীয়  সংগঠক রিয়া পারভীন,কেন্দ্রীয়  সংগঠক, মোঃ ইব্রাহিম,কেন্দ্রীয়  সংগঠক সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সংগঠক রহমতউল্লাহ রবিন, কেন্দ্রীয় সংগঠক কামরুজ্জামান ও কেন্দ্রীয় সংগঠক পিপল ভাই।আমি ২০/৪/২০২৫ তারিখ ডিসি মহোদয়, শ্রম পরিচালক খুলনা মহোদয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংলা সহ নৌবাহিনী , ডিজিএফ আই, এন এস আই, ওসি মহোদয় মংলা থানা সহ প্রশাসনের সকল দপ্তরকে অবহিত করি।

কিন্তু জুলফিকার তার দালাল দিয়ে ২৪ তারিখ একটি চিঠি ইস্যু করে মংলা থানায় ওসি সাহেব আমাকে বলে এখানে মিটিং করা যাবে না দুই পক্ষই মিটিং ডাকছেন । তখন আমি বললাম আগে যে আবেদন করেছে তারা এখানে মিটিং  করবে। যারা পরে দিয়েছে তারা পরে করবে এবং শ্রমিক ইউনিয়নে শ্রমিকরা মিটিং করবে এখানে কোন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে মিটিং হতে পারে না হলেও আগের শ্রমিকদের মিটিং হবে তারপরে রাজনৈতিক দলের। ২৯ তারিখ মিটিং এর জন্য আমরা শ্রমিকদের নিয়ে শ্রমিক সংঘের মাঠে স্টেজ করার জন্য ডেকোরেশন এর মাল নিলে জুলফিকারের লোকজন তারা আমাদের ডেকোরেশনের গাড়ি ভাঙচুর করে এবং আমি সহ আমার সাথে থাকা শ্রমিকদের মারধর করে এতে সাত জন শ্রমিক আহত হয়।আমি সহ  আহত হই। ২৯ তারিখ স্থলবি সভার জন্য ঢাকা থেকে আগত মেহমানদের নিয়ে শ্রমিকসহ তলবী সভাস্থলে যাওয়ার জন্য তৈরি হয় এবং মেহমানদের সাথে নিয়ে রওনা দেই। শ্রমিক সংঘের কাছে গেলে জুলফিকারের হুকুমে তার দালাল শাহ আলম ওরফে বোয়াইলা শাহ আলম মিছিলের সামনে এসে জিয়ার সৈনিক এক হও বলে আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে আমাদের মিছিলের উপরে মেহমানদের উপরে অতর্কিত হামলা করে যার ভিডিও ফুটেজ সবাই দেখেছে আমাকে কিভাবে মেরে আহত করেছে আমার লোকদেরকে কিভাবে মেরেছে এবং সিদ্দিক নামের এক শ্রমিক তার মাথায় রড দিয়ে বাড়ি দিয়ে চারটা সেলাই লাগছে ছগির আহত ইউনুস তাকে ধাওয়ায়ে মেরেছে। আনোয়ার আহত মোট ১৩ জন আহত এবং আমাদের মাইক ভাঙচুর করে ব্যাটারিসহ নিয়ে গেছে ভ্যান ভেঙে দিয়েছে এবং ছগিরের থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়েছে আমার পকেটে থাকা ১৩ ৭০০ টাকার নিয়ে গেছে।

 আমার মোবাইল নেওয়ার চেষ্টা করেছিল এই শাহ আলম নিতে পারে নাই। আমি থানায় গিয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরেও ওসি সাহেব বিভিন্ন ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছেন। পরিশেষে পরদিন ৩০শে এপ্রিল বাংলাদেশ হোটেলে নাস্তা খেতে যাই সেখানে আনোয়ার এবং দুলাল নামের দুই জন আগে নাস্তা খেয়ে হোটেলের বাহিরে দাঁড়ায় তখন এই শাহ আলম ও রশিদ নামে সাথে আরও সাত আট জন এসে দুলাল ও আনোয়ার কে মারে এবং বলে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে বলে তোরা এখনো পোটে কি চাস।  তোদের যেন না দেখি এই বলে দুলাল এবং আনোয়ারকে কিল ঘুষি মারতে থাকে পরে আমরা বেরোলে তাড়াতাড়ি সরে পড়ে।  আওয়ামী লীগের সময় শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই খোকন সেরনিয়াবাতের ছত্রছায়ায় জুলফিকার আলী সহ যারা আওয়ামী লীগ করতো তারাই এখন জুলফিকারের নেতৃত্বে বিএনপি'র পরিচয় দিয়ে সর্বজীবী মানুষের অধিকার বঞ্চিত করছে।

এমএসএম / এমএসএম

লাকসামে লুটপাট-সহিংসতার জুলুম নির্যাতনের বিপক্ষে ছাত্রদলের প্রতিবাদ মিছিল

নরসিংদীর শিবপুরে অফিস সহকারীর বাসা থেকে ৫২ লাখ টাকা উদ্ধার

অনলাইন প্রতারণা চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার, খালাস-২

দুমকীতে মুক্তিযোদ্ধার বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি

টাকার অভাবে অপারেশন করতে পারছেন না ঠাকুরগাঁওয়ের আখতারী বেগম: সহায়তার আবেদন

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষকদলের সভাপতি আনোয়ারুল হকের ইন্তেকাল

রাণীনগরে বিস্ফোরক মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার

সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতা মান্নানের সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত

শালিখায় ২৪টি চায়না দুয়ারী জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

বরগুনায় হাতুড়ে চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, অভিযানে ধরা পড়লেন ভুয়া চিকিৎসক

রায়গঞ্জে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমের মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে শহীদদের স্মরণে জামায়াতের দোয়া মাহফিল

মেহেরপুরের সন্তান ইমরান জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি উপ-কমিটির সদস্য