ঢাকা সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

ভুয়া ডাক্তার আলমগীর হোসেন সিদ্দিকীর প্রতারণার ফাঁদে অসংখ্য রোগী


বজলুর রহমান‍ photo বজলুর রহমান‍
প্রকাশিত: ৩১-৫-২০২৫ দুপুর ২:৮

রাজধানীর ডেমরা থানাধীন ডগাইর এলাকায় চিকিৎসার নামে দীর্ঘদিন ধরে ভয়ংকর প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আলমগীর হোসেন সিদ্দিকী নামের এক ব্যক্তি। নিজেকে ‘ডাক্তার’ দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট। তবে নামের আগে ‘ডা.’ উপাধি ব্যবহার করে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

আলমগীর হোসেন নিজেকে “শিফা গ্লোবাল ট্যুরিজম লিমিটেড” এবং “শিফা হাসপাতাল”-এর চেয়ারম্যান দাবি করে ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছেন। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডগাইর মিলন রোড হোল্ডিং নং ১৮৬/১/এ উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোনো বৈধ সাইনবোর্ড নেই। একটি জরাজীর্ণ কক্ষে বসে বিভিন্ন অখ্যাত কোম্পানির ওষুধ মজুদ করে সেখানে তিনি রোগী দেখছেন।

ভিজিটিং কার্ডে উল্লেখিত ঠিকানা “১৫৩ ক্রিসেন্ট ইনক্লেভ, গ্রীন রোড, কলাবাগান, ঢাকা ১২০৫” কিংবা থাইল্যান্ডের “১৭১ এম্বাসেডর হোটেল, সুকুমভিত সোই ১১, ব্যাংকক”—কোনোটিই বাস্তবে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অথচ তিনি রোগীদের বলেন, ব্যাংককে চিকিৎসা নিতে পাঠানো হবে, কিন্তু পরে বলেন এখানেই চিকিৎসা সম্ভব। এতে রোগীরা প্রতারিত হয়ে লাখ লাখ টাকা। 

 তথাকথিত এই ডাক্তার নিজেই আল্ট্রাসাউন্ড, ইউআরও পরীক্ষা ও গর্ভপাত (MR) করে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, অ্যানেসথেশিয়া বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের উপস্থিতি ছাড়াই তিনি অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটান, যা নারীদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। পাশের একটি কক্ষে কোনো অনুমোদন ছাড়াই অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশনও চালান বলে জানা যায়।

 অনুসন্ধান করতে সংবাদকর্মী চেম্বারে উপস্থিত হয়ে তথ্য চাইলে আলমগীর হোসেন উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং এক রোগীর আত্মীয়কে মারতে উদ্যত হন। সাংবাদিকরা তার বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি সরাসরি তা দেখাতে অস্বীকৃতি জানান।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (BMDC) এর তথ্য অনুযায়ী, তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ডি-১৩৭৬৯ এবং তিনি একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট মাত্র। তবুও তিনি নিজের পরিচয়ে ডাক্তার ও সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে দাবি করে আসছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে তার এই অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, “এই ব্যক্তি নিজেই রোগ নির্ণয় করেন, নিজেই পরীক্ষা করেন, নিজেই ওষুধ লেখেন এবং বিক্রিও করেন। এত বড় প্রতারণা দিনের পর দিন চলে যাচ্ছে, অথচ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

একজন রোগীর স্বজন বলেন, “উনি যদি আসল ডাক্তার হন, তাহলে তার বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন দেখাতে সমস্যা কোথায়?”একজন ভুয়া ডাক্তার কীভাবে বছরের পর বছর এমন ভয়ঙ্কর প্রতারণা করে চলেছেন তা এখন প্রশাসনের জন্য বড় প্রশ্ন। জনস্বাস্থ্য ও রোগীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ মানুষ এবং এই ধরনের ভুয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে জনজীবন রক্ষার পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডাক্তার মো. রিজওয়ানুর রহমান এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি  জানান,  এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমএসএম / এমএসএম

ছাত্রদলের সমাবেশে পরিপূর্ণ শাহবাগ

৩৭তম বিসিএস পুলিশ ব্যাচের নতুন কমিটি গঠিত

মাদক ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ে র‍্যাবের সেমিনার অনুষ্ঠিত

পিআইবি’র গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

উত্তরার বিদ্যাপিট নওয়াব হাবিবুল্লাহ এর এসএসসি উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

শুধু নির্বাচনের জন্য জুলাই অভ্যুত্থান- ছাত্রনেতা মাইদুল হাসান সিয়াম

সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে

রাজধানীর গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে আগুন

স্টেডিয়াম এলাকায় সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান

তুরাগে রাজউকের খালি প্লট দখলের অভিযোগ সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে

ই-কমার্স খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বাফেসাপ আইকনিক অ্যাওয়ার্ড পেল ই-ক্রয় ডটকম

পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশগ্রহণ শীর্ষক আলোচনা সভা

জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের আলোচনা সভা