পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ফকরুল আলম, জনগণের উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া, কাউখালী, নেছারাবাদ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন পিরোজপুরের জননন্দিত নেতা ফকরুল আলম।

নেছারাবাদ উপজেলার বালিহারী গ্রামের বাসিন্দা ফকরুল আলম রাজনীতির দীর্ঘ পথচলায় ছাত্রদল, বিএনপি ও কৃষক দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলীয় আন্দোলন, জেল-জুলুম ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েও টিকে থাকার ইতিহাস তাঁকে করেছেন সংগ্রামী ও নির্ভরযোগ্য নেতা।

তিনি বলেন, “ভান্ডারিয়া-কাউখালী-নেছারাবাদ বিএনপির ঘাঁটি। এই আসনে ৭০ শতাংশ ভোট ধানের শীষে পড়বে বলেই আমার বিশ্বাস।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর রাজপথে লড়াই করেছি। আজও আমাদের আন্দোলন চলছে। প্রতিশ্রুতি দিয়ে গা ঢাকা দেওয়াদের সময় শেষ। আমি জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে পিরোজপুরকে একটি মডেল জনপদে রূপান্তর করতে চাই।"

ফকরুল আলম ১৯৮০ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রদলে যোগ দেন। ১৯৮৬ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা কমিটির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে নানা দমন-পীড়নের মধ্যেও ফকরুল আলম রাজপথে সক্রিয় থেকে দলের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা ও নেতৃত্বগুণের প্রমাণ রেখেছেন। তিনি বলেন, "কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এসব চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে।"

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফকরুল আলম বলেন,"ঈদুল আজহা ত্যাগ ও সহমর্মিতার উৎসব। এই দিনে সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা যেন দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করি, এটাই হোক অঙ্গীকার।"

পিরোজপুর-২ আসনে ফকরুল আলম ছাড়াও বিএনপি ও জামায়াত থেকে আরও কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেও, জনসম্পৃক্ততা, দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সাংগঠনিক ত্যাগ-তিতিক্ষায় ফকরুল আলম এরইমধ্যে জনগণের 'জনতার এমপি' হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।