বেনাপোল পৌর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে মৃত্যুদূত পার্থেনিয়াম গাছ

যশোরের শার্শা উপজেলাব্যাপী ও বেনাপোল পৌরএলাকায় ছেয়ে গেছে মৃত্যুদূত বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছ। দেখতে ঠিক যেন ধনিয়া ও চন্দ্রমল্লিকা গাছের পাতার মতো হলেও এটি একটি আগাছা। হঠাৎ দেখলে বড় আকারের ধনেগাছ বলে ভুল হতে পারে। চিকন সবুজ পাতার ফাঁকে ছোট ছোট সাদা ফুলে আকর্ষণীয় দেখায় গাছগুলোকে। ত্রিভুজের মতো ছড়িয়ে থাকে অসংখ্য শাখা। বাড়ির আঙিনা, রাস্তার দুই ধার কিংবা ফসলের মাঠে জন্মানো এই গাছ হতে পারে মৃত্যুর কারণ। অথচ এ ব্যাপারে জানেন না অধিকাংশ মানুষ। ছোট শিশুরা ফুল গাছ ভেবেও অনেকে পাতা ও ডাল ছিড়ে বাসায় নিয়ে আসে।
শার্শা উপজেলাব্যাপী ও বেনাপোল পৌরগেট সড়কের দু’পাশ,বাওরের রাস্তার দু’পাশ,ছোটআঁচড়ার ও ভবেরবেড় চোরের রাস্তার দু’পাশে ভয়ংকর এই আগাছাগুলো দিন দিন ছেয়ে ফেলেছে। কিন্তু এই আগাছা যে কতটা ভয়ংকর সেটা বলে শেষ করা যাবে না। এ সম্পর্কে না জানায় পৌর এলাকা সহ প্রায় সব রাস্তার দুই ধারে নির্বিঘ্নে বেড়ে উঠেছে মৃত্যুদূত পার্থেনিয়াম গাছ।
বেনাপোল ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আপেল মাহমুদ জানান, এই গাছ আমি মনে করেছিলাম ঘাসফুল। কিন্তু এটা যে এত ভয়ংকর গাছ জানতাম না। ইউটিউবে সার্স করে জানতে পারি এটা মরণঘ্যাতি গাছ আজ থেকে সাবধানে রাস্তার ধারে এই গাছ এড়িয়ে চলাফেরা করছি, অন্যকেও সচেতন করছি এই গাছে যাতে কেউ না ধরে। গরু-ছাগল যাতে না খায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলছি।
গ্রাম ডা: শাহাজালাল খাঁন মন্টু জানান, বেনাপোল পৌর এলাকায় রাস্তার দুই ধারে এ বছর ব্যাপক হারে পার্থেনিয়াম দেখা যাচ্ছে। পরিবেশ ও কৃষির নীরব ঘাতক পার্থেনিয়াম। এটি দ্রুত বংশ বিস্তার করে। প্রতিটি আগাছা থেকে বীজ জন্মে ১৫ থেকে ২০ হাজার। ফলে দ্রুতই কৃষিজমিতে এই আগাছা ছড়িয়ে পড়ে। আগে আমরা কোনোদিন এই গাছ দেখি নাই, ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারন সহ কৃষকদের সচেতন করতে এবং এর অপসারণ বিষয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। ফলে নির্বিঘ্নে বেড়ে উঠেছে এই ক্ষতিকর আগাছা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তপু কুমার সাহা জানান, পার্থেনিয়াম একজাতীয় ছোট উদ্ভিদ হলেও প্রাণিজগৎ ও মানবজীবনে এর রয়েছে নানান ক্ষতিকর প্রভাব। এই আগাছায় ‘সেসকুইটারপেন ল্যাকটেনস’ নামক টক্সিন বা বিষ থাকে। এই বিষ মানুষসহ অন্যান্য জীবের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এছাড়াও এই আগাছা এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে যা অন্যান্য ফসলের বৃদ্ধি হ্রাস করে। এই গাছ কারও শরীরে লাগলে এলার্জি হতে পারে। গরু এ গাছ নিয়মিত খাওয়ার পর দুধ তিতা হয়। ওই দুধ অনবরত কেউ খেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। মানুষ সংস্পর্শে এলে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, তীব্র জ্বর, বদহজমসহ নানা রোগ দেখা দিতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌফিক পারভেজ বলেন, পার্থেনিয়াম আমাদের শ্বাসনালী ও চর্মতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা কিছু চিকিৎসা দিয়ে থাকি। পার্থেনিয়ামের পার্শপ্রতিক্রিয়ায় চুলকানো বা এ্যালার্জি থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। প্রয়োজন সবার অংশগ্রহণে ব্যাপক জনসচেতনতা এবং পার্থেনিয়ামকে চিহ্নিত করে সঠিকভাবে ধ্বংস করা। অন্যথায় এর ভয়াবহ প্রভাব ব্যাক্তি,পরিবার ও সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে পড়বে।
যশোর জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম জানান, ‘পার্থেনিয়াম’ শুধু পরিবেশ নয়, মানুষ ও পশুর জীবনকেও বিপন্ন করে তোলে। এই গুল্মের বিরুদ্ধে রাষ্টীয়ভাবে ব্যাপক গবেষণা এবং সম্মিলিত পদক্ষেপ জরুরি। তিনি আরও জানান, এখন আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন পরিকল্পিতভাবে নিধন কার্যক্রম পরিচালনা। পার্থেনিয়ামের বিস্তার ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর সমন্বিতভাবে কাজ করছে। তবে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন জনগণের সচেতনতা।
এমএসএম / এমএসএম

নাগরপুর দপ্তিয়র ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ওষুধ খাওয়া হলোনা ছেলের, ওষুধ কিনতে গিয়ে নছিমনের ধাক্কায় কৃষক বাবার মৃত্যু

ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন

পটুয়াখালীতে ২০২৬ সালের জুলাই থেকে পূর্নোদ্যমে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করবে পায়রা বন্দর

চিলমারীতে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

মুরাদনগরে নারী উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কালিয়ার মাউলি পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় জরাজীর্ণ কক্ষে পর্দা টানিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

কুড়িগ্রামে গবাদিপশুর বীমা প্রকল্পের মাঠ কার্যক্রম সমাপ্তি ও ব্যবসা বৃদ্ধির পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

শান্তিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৬

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুদকের অভিযান

মান্দায় ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বিজয়র্যালি
