চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ যানবাহনের ছড়াছড়ি

চট্রগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়েতে রাজত্ব করেছে নিষিদ্ধ তিন চাকার যানবাহন। লেগুনা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকসা, ট্রলি (নছিমন), ভটভটি। এসব যান চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের কোনো ভূমিকা নেই এ যানগুলোর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর চুনতি জাঙ্গালিয়া নামক স্থানে লেগুনার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হন। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর একই স্থানে যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী, শিশুসহ ৪ জন আহত হয়েছিল। গত ৮ আগস্ট আমিরাবাদ কিল্লার আন্দর এলাকায় মালবাহী ট্রাক ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ট্রলিচালক জসিম উদ্দিনের একটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গত ৩ আগস্ট গোলাম নবী হাজীপাড়ার এলাকায় মালবাহী ট্রাক একটি ব্যাটারিচালিত রিকসাকে বাঁচাতে গিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এভাবে প্রতিনিয়ত চলছে অবৈধ যানবাহন। লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভারদের কারণে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে খালি হচ্ছে অনেক মায়ের কোল, নিভে যাচ্ছে অনেক জীবনের আলো।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়েতে নিষিদ্ধ যানবাহন চালানোর বিষয়ে চালকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, তাদের কোনো অসুবিধা হয় না। আমাদের উপরের মহলের কিছু লোকের সাথে হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সংযোগ আছে। এরাই প্রশাসন ম্যানেজ করেন।
সিএনজি-লেগুনাচালকরা আরো বলেন, মাঝেমধ্যে লোহাগাড়া ট্রাফিক পুলিশ, কেরানীহাট ট্রাফিক পুলিশ ও দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশ সিএনজিসহ আমাদের আটক করে নিয়ে যায়। তখন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে আবার সিএনজি ছেড়ে দেয়। টাকা দিতে একটু দেরি হলে বিভিন্ন ধরনের মামলা দেয়ার ভয়ভীতি দেখায়।
লোহাগাড়া ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও সাতকানিয়া কেরানীহাট ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে সিএনজি অটোরিকসা চলাচল ও যাত্রী ওঠা-নামা হলেও লাইসেন্সবিহীন চালক ও গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না লোহাগাড়া ট্রাফিক পুলিশ ও সাতকানিয়া কেরানীহাট ট্রাফিক পুলিশের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সিএনজি ও লেগুনাচালক জানায়, হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর জন্য আমরা প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে দেই দালালদের। তাদের টাকা না দিলে হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ আমাদের নামে মামলা দেয়।
সরেজমিন দেখা যায়, লোহাগাড়া উপজেলায় ট্রাফিক পুলিশের বক্সের পাশে এবং অল্পকিছু দূরেই গড়ে উঠেছে তিন চাকার যানবাহন সিএনজি ও চার চাকার লেগুনা স্ট্যান্ড। ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ দেখেও যেন না দেখার ভান করে থাকে। এই স্ট্যান্ডের গাড়িগুলোর যেমন নেই কোনো নিবন্ধন, তেমনি চালকদেরও নেই কোনো লাইসেন্স।
হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে লোহাগাড়া স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন লেগুনা ও তিন চাকার যানবাহনগুলো চট্টগ্রামমুখী সড়কে লোহাগাড়া থেকে পদুয়া-ঠাকুরদীঘি-কেরানীহাট হয়ে দোহাজারী স্ট্যান্ড পর্যন্ত এবং কক্সবাজারমুখী সড়কের আধুনগর-চুনতি-আজিজনগর হয়ে চকরিয়া পর্যন্ত চলাচল করছে।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রব বলেন, টাকা নেয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার, চার চাকার লেগুনা, ট্রলি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকসা যানবাহন যাতে মহাসড়কে চলতে না পারে সেদিকে খেয়াল রেখে আমরা প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করছি।
লোহাগাড়া ট্রাফিক পুলিশ বক্সের টিআই স্নেহাংশু বিকাশের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাইওয়ের দায়িত্ব আমাদের নয়। এটা হাইওয়ের দায়িত্ব। অটোরিকসার কথা জানালে তিনি বলেন, এগুলোর কোনো কাগজপত্র নেই, আমরা কী করব?
এমএসএম / জামান

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখল, ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন

সান্তাহারে ইয়াবা ট্যাবলেট ও প্রাইভেট কারসহ দুইজন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গরুর গাড়ি মার্কা প্রার্থীর সমর্থনে সভা

কাউনিয়ায় এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে গাছের চারা বিতরণ

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করে চটের ব্যাগ ব্যবহার করুন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোনাগাজীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরু চোরসহ গ্রেফতার-০৪, চোরাই গরু উদ্ধার

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ
