কিংবদন্তি সুরকার আলম খানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সুর ও সংগীত পরিচালক আলম খানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ, শনিবার (৮ জুলাই)। ২০২২ সালের এই দিনেই তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তার অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা আজও তার চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি, তাই আজকের দিনটি তাদের জন্য মন খারাপের। তিন বছর হয়ে গেলেও, কিংবদন্তি এই সুরস্রষ্টা গান, চলচ্চিত্র, মঞ্চ ও টেলিভিশনে তার কাজের মাধ্যমে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাকে "সুরের কারিগর" হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো।
কিংবদন্তি সুরস্রষ্টা আলম খানের চিরস্থায়ী ঠিকানা মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার মহাজেরাবাদ এলাকার পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত মসজিদুল আউলিয়া হযরত খাজা শাহ মোজাম্মেল হক (র:)-এর প্রাঙ্গণে জান্নাতুল ফেরদৌস কমপ্লেক্সে।
বাংলা সিনেমার গানে আলম খান এক অবিস্মরণীয় নাম। তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি অসংখ্য কালজয়ী গান সৃষ্টি করেছেন। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ছিলেন। ১৯৪৪ সালের ২২ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের বানিয়াগাতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আলম খান। তার বাবা আফতাবউদ্দিন খান ছিলেন সেক্রেটারিয়েট হোম ডিপার্টমেন্টের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার এবং মা জোবেদা খানম ছিলেন গৃহিণী।
গানের ভুবনে আলম খানের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৩ সালে। সুরকার ও সংগীত পরিচালক রবিন ঘোষের সহকারী হিসেবে তিনি ‘তালাশ’ সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেন। এরপর টানা সাত বছর তিনি সহকারী হিসেবেই কাজ করে যান। ১৯৭০ সালে আলম খান একক সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ‘কাচ কাটা হীরে’ সিনেমার মাধ্যমে। তবে শুরুতেই তিনি সাফল্যের দেখা পাননি। জনপ্রিয়তা পেতে তাকে আরও আট বছর অপেক্ষা করতে হয়। সালটা ১৯৭৮, যখন আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত ‘সারেং বৌ’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। এই সিনেমায় আলম খান সৃষ্টি করলেন এক অবিস্মরণীয় গান, যার শিরোনাম ছিল ‘ও রে নীল দরিয়া’। গানটি দেশজুড়ে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং কালের গণ্ডি পেরিয়ে এটি একটি ইতিহাসে পরিণত হয়। এরপর থেকে আলম খান একের পর এক কালজয়ী গান সৃষ্টি করে গেছেন। তার সুরে গান গেয়ে শ্রোতাদের আকাশছোঁয়া ভালোবাসা অর্জন করেছেন বহু শিল্পী।
আলম খানের সুর ও সংগীত পরিচালনায় অসংখ্য জনপ্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম হলো— ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘কি জাদু করিলা’, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘ভালোবেসে গেলাম শুধু’, ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘ও সাথীরে যেও না কখনো দূরে’, ‘কাল তো ছিলাম ভালো’, ‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘তেল গেলে ফুরাইয়া’ ইত্যাদি। দীর্ঘ কর্মজীবনে আলম খান শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে ১৯৮২ সালে মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘বড় ভালো লোক ছিল’ চলচ্চিত্রে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর তিনি ‘তিন কন্যা’ (১৯৮৫), ‘সারেন্ডার’ (১৯৮৭), ‘দিনকাল’ (১৯৯২), ‘বাঘের থাবা’ (১৯৯৯), এবং ‘এবাদত’ (২০০৯) সালে একই পুরস্কারে ভূষিত হন। শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে ২০০৮ সালে ‘কি জাদু করিলা’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
এমএসএম / এমএসএম

স্বাধীনতার পরে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বিএনপির জন্ম: ডা. মাজহার

বকশীগঞ্জে কৃষকের ৬১ শতক জমি ধান নষ্ট করে দিলো প্রভাবশালীরা

রায়গঞ্জে লাখো মানুষের ভরসা দড়িটানা নৌকা : জনপ্রতিনিধিদের কেউ কথা রাখেনি

দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে মেঘ ধরেছে: মো.শাহজাহান

ধামইরহাটে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বিজয়নগরে আসামী গ্রেফতার করায় অতর্কিত হামলায় এএসআই শেখ সাদী আহত

টেকনাফে মাদক সাম্রাজ্য: কাদের নিয়ন্ত্রণে ভয়ংকর চোরাচালান চক্র

হিট প্রজেক্ট প্রাপ্ত যবিপ্রবির জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের দুই শিক্ষককে সংবর্ধনা প্রদান

রাণীনগরের সেই শিক্ষক আনোয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত

মাদারীপুরে ১৮০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ১৬ জন

টাঙ্গাইলে ৩৩১২ প্রার্থী থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে ১২০ টাকায় ৫০ জনের পুলিশে চাকরি

উত্তরবঙ্গ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের অফিস উদ্বোধন
