ঢাকা রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

৮ সাল থেকে ১৫-সাল পর্যন্ত ডিএনসিসির হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় আইনবহির্ভূত দাবি উত্তরা ১১-১৪ সেক্টরের বাসিন্দাদের


এইচ এম মাহমুদ হাসান photo এইচ এম মাহমুদ হাসান
প্রকাশিত: ১০-৭-২০২৫ বিকাল ৫:৪৯

রাজধানীর উত্তরা ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর সেক্টরের ফ্ল্যাট ও বাড়ির মালিকগণ ২০০৮ সাল হতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃক ধার্য করা হোল্ডিং ট্যাক্সকে সম্পূর্ণ ‘আইনবহির্ভূত ও অবৈধ’ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ডিএনসিসি ২০১৬ সালের ২৮ জুন এসব এলাকা কর্পোরেশনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করলেও, তার আট বছর আগে থেকেই কর আদায় করা হচ্ছে — যা নাগরিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন। বক্তারা অভিযোগ করেন, কর আরোপের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই পূর্ববর্তী ইউনিয়ন পরিষদভুক্ত এলাকা থেকে কর আদায় করে আসছে ডিএনসিসি।

সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত তথ্যমতে, উত্তরা ১১-১৪ নম্বর সেক্টর ২০১৬ সালের ২৮ জুন ডিএনসিসির অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর ২০১৭ সালের ২৩ জুলাই এসব এলাকা ডিএনসিসির ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে সংযুক্ত হয়। পূর্বে এলাকাগুলো হরিরামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অধিভুক্ত ছিল। ২০০৪ ও ২০১১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এখানকার বাসিন্দারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ২০১৪ সালে ডিএনসিসির মেয়র পদে মনোনয়ন দাখিলের সময় উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের এক বাসিন্দার সমর্থনপত্রের কারণে মনোনয়ন বাতিল হয়, কারণ এলাকাটি সিটি কর্পোরেশনভুক্ত ছিল না। এ বিষয়ে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রীট পিটিশন (নং ৯৭৭৯/২০১৮ এবং ৯৯৫১/২০১৯) দাখিল করা হয়। ২০১৯ সালের ২৮ মে ডিএনসিসির অঞ্চল-১-এর কর কর্মকর্তা এক পত্রের মাধ্যমে ২০১৬ সালের পূর্বের কর আদায়ের সব কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দেন। সর্বশেষ, ২০২৫ সালের ৮ জুলাই ডিএনসিসির প্রশাসক বরাবর বিষয়টি নিষ্পত্তির অনুরোধ জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়। বাসিন্দারা বলেন, ২০১৬ সাল থেকে কর নির্ধারণ করে দিলে তারা সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসির) কর পরিশোধ করতে বদ্ধপরিকর।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সেক্টর ১১-এর বাড়ির মালিকগণ: মো. আফাজ উদ্দীন, ফিরোজ জামান, ডা. মঈন উদ্দীন আহমদ, অধ্যক্ষ মো. সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, লে. কর্নেল (অব.) আ. ক. ম. জাহিদ হোসেন, মো. আব্দুর রহিম, হাজী আরব আলী ও শাহাদাৎ হোসেন। ১২ নং সেক্টরের বাড়ির মালিকদের মধ্যে ছিলেন শরীফ সান্টু, দেলোয়ার হোসেন। ১৪ নং সেক্টরের বাড়ির মালিক ছিলেন ড. আনিসুজ্জামান। ১৩ নং সেক্টরের মালিকদের মধ্যে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাহিদুল ইসলাম, রাসেল পারভেজ।

তারা বলেন, ‘‘আমরা কোনো অবস্থাতেই ২০১৬ সালের আগের হোল্ডিং ট্যাক্স বৈধ বলে মানি না। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি।’’ তারা দ্রুত এই কর নির্ধারণ সংক্রান্ত অনিয়মের বিচারিক নিষ্পত্তি দাবি করেন এবং প্রধান উপদেষ্টাসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ডিএনসিসি প্রশাসক ও উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এমএসএম / এমএসএম

ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি

জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত

কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত

পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম

ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে

উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ

হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার

ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা

গণধোলাইয়ে মারা গেলো চোর, হত্যা মামলায় ফাঁসলো নারী সাংবাদিক

আত্মনিবেদিত রাজনীতিবিদ শেখ ফজলে বারী মাসউদ