তরুণদের চোখে ‘৩৬ জুলাই’: জেন-জির প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির গ্রাফিতি প্রদর্শনীতে অভূতপূর্ব মতবিনিময়

জাতীয় প্রেস ক্লাবে আজ ১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী গ্রাফিতি প্রদর্শনী ও মতবিনিময় সভা—“জেন-জি’র প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি: গ্রাফিতির আল্পনায় ‘৩৬ জুলাই”। নীতি গবেষণা কেন্দ্র (এনজিকে) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যম, মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার শিক্ষার্থীরা, গবেষক, শিক্ষক, আইনজীবী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা।
শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও এনজিকে-র গবেষণা ফেলো ড. খান শরীফুজ্জামান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “এখানে যারা উপস্থিত, তারা কোনো দলের নয়, কোনো মতের নয়—তারা জাতির আনসাং হিরো। ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণআন্দোলনে তাদের আত্মত্যাগ ছিল অনন্য। তাদের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই বোঝা যায় জেন-জির স্বপ্ন ও বাস্তবতার ফারাক।”
প্রধান আলোচক এডভোকেট মানজুর আল মতিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, বলেন, “তরুণদের সক্রিয়তা গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য আলোর দিশা। রাষ্ট্র যদি এই কণ্ঠস্বর না শোনে, তবে নীতিনির্ধারণ হবে একচোখা, একমুখী।” তিনি আরো বলেন, “গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়নি—ভারতের সামনে আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান এখন সাহসী। তবে দুঃখজনকভাবে নারীরা ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের পর জাতীয় পর্যায়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।”
সাংবাদিক ও গবেষক মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান তার গ্রাফিতি প্রেজেন্টেশনে আন্দোলনের স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, “এই প্রজন্মের ভাষা রক্ত নয়, রং। দেয়ালের রেখায় তারা লিখেছে প্রতিবাদ ও প্রত্যয়ের কথা।”
আলোচনায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন—
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ভেবেছিলাম আন্দোলনের পরে প্রশাসন ও রাজনীতি আমাদের কণ্ঠ শুনবে। কিন্তু আজও দুর্নীতি, দলীয়করণ আর নিপীড়ন থেমে নেই।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বলেন, “আমরা চাই নিরাপদ, অংশগ্রহণমূলক, এবং শ্রদ্ধাপূর্ণ শিক্ষা পরিবেশ – যেখানে মত প্রকাশ অপরাধ নয়।
বাংলা মাধ্যমের এক শিক্ষার্থী বলেন, আন্দোলনে আমাদের রক্ত ঝরেছে, এখন চোখে পানি ঝরে যখন দেখি কিছুই বদলায়নি। আমরা শুধু নতুন সরকার চাই না, চাই নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি।
ইংরেজি মাধ্যমের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সবসময় রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছিল, কিন্তু ৩৬ জুলাই আমাদের বদলে দিয়েছে। আমরা বুঝেছি, রাজনীতি মানে আমাদের জীবন, মর্যাদা আর স্বাধীনতা। এখন আমরা এমন একটি দেশ চাই, যেখানে আমাদের মতামত লুকিয়ে রাখতে হবে না বা কথা বলার জন্য ভয় পেতে হবে না।
মাদ্রাসা শিক্ষার এক প্রতিনিধি বলেন, “আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে মূলধারায় নিতে হবে। আমরাও সমানভাবে রাষ্ট্রের নাগরিক। আন্দোলনে আমরা সবাই একসাথে ছিলাম, কিন্তু এখনও সমাজ আমাদের আলাদা চোখে দেখে, বৈষম্য বিদ্যমান, রাষ্ট্রের কাছে আমরা আবারও গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছি অথচ সকল আন্দোলন প্রতিবাদে আলেমরাই প্রথমে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং সামনে সারিতে থাকে।
সভাটি পরিচালনা করেন এনজিকে-র প্রধান নির্বাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাকিল আহম্মেদ। তিনি বলেন, “এই প্রজন্ম শুধু প্রতিবাদ করে না, নীতিও প্রস্তাব করে। আমাদের দায়িত্ব হলো তাদের সেই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেওয়া।”
নীতিনির্ধারণে তরুণদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা যেন গুরুত্ব পায়—এই প্রত্যাশা রেখে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। এই আয়োজন হয়ে উঠল এক নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক চেতনার প্রতিচ্ছবি।
এমএসএম / এমএসএম

স্টেডিয়াম এলাকায় সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান

তুরাগে রাজউকের খালি প্লট দখলের অভিযোগ সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে

ই-কমার্স খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বাফেসাপ আইকনিক অ্যাওয়ার্ড পেল ই-ক্রয় ডটকম

পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশগ্রহণ শীর্ষক আলোচনা সভা

জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের আলোচনা সভা

বাড়তি টাকা দিলে কাগজপত্র ছাড়াই বাসায় পৌঁছে যায় ট্রেড লাইসেন্স

অডিট আপত্তির ভিত্তিতে রেলওয়ে মহাপরিচালকের অপসারণ বেআইনি : রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি

জুলাই সনদের দাবি নিয়ে শাহবাগ অবরোধ

আড়াইহাজারে বিএনপি'র অফিসের ভাড়া চাওয়ায় ঘর মালিককে হত্যা

ডেমরায় জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কর্মসূচি

জুলাই গণঅভূখ্যান দিবস উপলক্ষে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সচেতনতা বৃদ্ধি

তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাসিনার পতন ত্বরান্বিত হয়
