ঢাকা শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে ২৫ হাজার টাকা ঘুস দাবি, ৫ হাজারে সেবা


আরাফাত হাসান, মাদারীপুর photo আরাফাত হাসান, মাদারীপুর
প্রকাশিত: ২৪-৭-২০২৫ দুপুর ১২:১৪

উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেতে বা অনেক কোম্পানীতে চাকুরি কিংবা ভিসা ও ইমিগ্রেশনের জন্য প্রয়োজন হয় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। মূলত একটি সরকারি নথি যা প্রমাণ করে, কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত নয় এবং তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। কিন্তু পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে পদে পদে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এমনকি মোটা অংকের ঘুস দাবি করা হয়। পরে টাকা দিলে পাওয়া যায় এই সার্টিফিকেট।
এমন ঘটনার শিকার মাদারীপুরের বালিগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা শফিক মুন্সি (ছদ্মনাম) কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, পাসপোর্টে তার থানার ঠিকানা কালকিনি আর ভোটার আইডি কার্ডে থানা দেয়া ডাসার। অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন তিনি। কয়েক দফা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ও ডাসার থানায় গিয়েও পাননি সেবা। শেষমেষ চলে আসেন কালকিনি থানায়। সেখানে যোগাযোগ করেন কালকিনি থানার কম্পিউটার অপারেটর মো. সোহেল খানের সাথে। গ্যারান্টি দেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেয়ার। এজন্য পুলিশের এই সদস্যকে দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা। টাকা না দিলে কোন অবস্থাতেই মিলবে না এই সার্টিফিকেট। এমন কি অন্যকেউ শফিক মুন্সিকে সহযোগিতাও করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন পুলিশ সদস্য। শেষমেষ ৫ হাজার টাকা নগদ সোহেলের হাতে তুলে দিলে পহেলা জুলাই অনলাইনে আবেদন করিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেয়ার প্রতিশ্রুত দেন থানার এই কম্পিউটার অপারেটর। গত ২০ জুলাই জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন এই ভুক্তভোগী।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মো. সোহেল খান বলেন, ‘আমি কার কাছ থেকে কোন টাকা নেয়নি। আপনার কোন কথা থাকলে থানার ওসি স্যারের সাথে থানায় এসে কথা বলেন।’
কালকিনির থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, ‘যে ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তাকে থানায় আসতে বলেন। আমি তার সাথে কথা বলি, বিষয়টি কি হয়েছে জানার চেষ্টা করি। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে কোন টাকা লাগার কথা নয়।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘অভিযোগের বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ওই পুলিশ সদস্য কোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, কালকিনি উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় ডাসার থানা। পরে ঘোষণা হয় ডাসার উপজেলারও। জক্কিঝামেলা এড়াতে ডাসার থানার অনেক পাসপোর্টধারী পুরনো ঠিকানা অর্থাৎ কালকিন থানা ব্যবহার করছেন। এতেই পড়তে হচ্ছে নানাবিধ সমস্যায়। এক বছর ধরে কালকিনি থানার কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে আছেন পুলিশ সদস্য মো. সোহেল খান।

এমএসএম / এমএসএম

কুমিল্লার চাঞ্চল্যকর আমিনুল হত্যায় জড়িত সজিবকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১

টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপি নেতা শওকত হোসেন দিদার স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল

মুকসুদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারকে প্রেসক্লাবের ত্রুেস্ট প্রদান

সাতক্ষীরায় সাংবাদিকের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপি নেতা এ্যাড. আব্দুস সালাম খান

জাউয়া বাজারে হবে দৃষ্টিনন্দন যাত্রী ছাউনি, জায়গা নির্ধারণ

কুড়িগ্রামে জুলাই শহীদ নুর আলম স্মৃতি দাবা প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

প্রাণ ফিরে পেতে চায় পাবনা'র বাদ্যযন্ত্র তৈরির কারিগরেরা

ন্যায় বিচার চেয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামির পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় জামায়াত ইসলামের নীতি-আদর্শ অপরিহার্য

রায়গঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতার মৃত্যু : প্রশাসনের অবহেলাকে দায়ী সচেতন মহলের

ধামরাইয়ে অন্যের জমিতে জবরদখলে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা,বাধা দেওয়ায় মারধরও হত্যাচেষ্টা

সীতাকুণ্ডে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা হাক্কে মন্ডল ও তার ছেলের বিরুদ্ধে আরামবাড়িয়ায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত