গাইবান্ধায় সাঘাটা থানায় ছাত্রের রহস্যময় মৃত্যু: পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ
গাইবান্ধার সাঘাটা থানা সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে কলেজছাত্র সিজু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। মোবাইল ফোন জব্দকে কেন্দ্র করে থানায় গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পরিবারের দাবি, এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
পুলিশ সূত্র জানায়, সাঘাটা উপজেলার একজন বাসিন্দা আরিফ হোসেন সম্প্রতি একটি আইটেল মোবাইল ফোন হারানোর অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই জিডির সূত্রে থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) রকিবুল ইসলামের নির্দেশে কনস্টেবল আজাদ কলেজছাত্র সিজু মিয়ার কাছ থেকে একটি রেডমি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন জব্দ করেন। তবে সিজুর পরিবার জানায়, সপ্তাহ দুয়েক আগেই শহরের একটি মোবাইল দোকান—জুনায়েদ টেলিকম থেকে ফোনটি কেনেন সিজু।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সিজু তার বন্ধু সোহেল ও মোবাইল ব্যবসায়ী জুনায়েদকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য রমজান আলীর পরামর্শে থানায় যান। এর কিছুক্ষণ পরই সিজু নিখোঁজ হন।
পরদিন শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সাঘাটা থানা সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করে। তার আগে বৃহস্পতিবার রাতের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, সিজু ওই পুকুরে লাফ দেওয়ার পর তাকে কয়েকজন ব্যক্তি লাঠি দিয়ে মারধর করছে।
পুলিশ বলছে, সিজু মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন এবং তিনি থানায় এসে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা করেন। পরে ধাওয়া খেয়ে থানার পেছনের পুকুরে ঝাঁপ দেন। তবে সিজুর পরিবার এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
নিহতের বড় বোন খুশি আক্তার বলেন, "আমার ভাই কোন মানসিক ভারসাম্যহীন নয় আমার ভাই ভালো একজন ছাত্র কারণ হতে পারে।"
শনিবার সকালে গোসল করানোর সময় সিজুর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান স্বজনরা। বিষয়টি আরও রহস্যজনক হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও বলছেন, ছোটবেলা থেকেই সাঁতার জানতেন সিজু। তাই পুকুরে ডুবে মৃত্যু বিশ্বাসযোগ্য নয়।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে—একটি থানায় আক্রমণের অভিযোগে এবং অন্যটি অপমৃত্যুর মামলা।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে এএসআই রকিবুল ইসলাম মোবাইল ফোন জব্দের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নিহত সিজু মিয়া গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাগুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও কঞ্চিপাড়া ডিগ্রী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র ছেলে।
শনিবার বিকেলে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এলাকাবাসী মানববন্ধন করে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত না হলে সঠিক সত্য জানা যাবে না। তাঁদের দাবি, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এমএসএম / এমএসএম
রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম তুললেন শরীফ উদ্দিন
রাণীনগরে প্রায় ৮০ লক্ষ্য টাকা ব্যয়ে নির্মান হলো বৌদ্ধভূমিতে স্মৃতিসৌধ
নাজিরপুরে নামওয়াস্তে কাজ করে ৪০ লক্ষ টাকার শিংহভাগ আত্মসাতের অভিযোগ
মধুখালীতে বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে জেলেদের বকনা বাছুর প্রদান
চট্টগ্রামে গিয়াস কাদের ও হুম্মাম কাদেরের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ
মুকসুদপুর পৌর আওয়ামী লীগের দুই নেতার দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ
এবারের নির্বাচন হবে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচন- মনিরুল হক চৌধুরী
শৃংখলার সাথে প্রত্যেক ভোটারের বাড়ি গিয়ে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করুন : মাহমুদ হাসান খান বাবু
তানোরে তিন ফসলি জমি নষ্ট করে হিমাগার নির্মাণ
যশোরে খেজুরের রস ও গুড় বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ১০০ কোটি টাকা
নোয়াখালীতে মাদক-সন্ত্রাস ও কিশোরগ্যাং রোধে ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্ট
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল