রৌমারীতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভূমিহীন, দুঃস্থ ও গরিব মানুষের আশ্রয়ের জন্য সরকারিভাবে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। বছরের পর বছর ধরে এ সব ঘর জীর্ণ হয়ে ঘরের চাল ফুটো হওয়া ও বেড়া খুলে পড়ায় অনেকে এখন আর এখানে থাকতে নিরাপদবোধ করছেন না। বারবার সরকারি কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সমাধান না পেয়ে অসহায় মানুষগুলো রয়েছে দুর্ভোগে। অনেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘর ছেড়ে চলে যাচ্ছে অন্যত্রে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জরাজীর্ণ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো মেরামতের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণের কাজ করা হবে।
সম্প্রতি কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নে অবস্থিত টাপুরচর আশ্রয়ন প্রকল্পে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন দুর্ভোগের চিত্র। ২০০১ সালে প্রায় সাড়ে ৩ একর জায়গার ওপরে ৪টি ব্যারাকে মোট ১৫০টি পরিবারের জন্য এখানে ঘর নির্মাণ করা হয়। এরপর দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাঠামোতে কোনও ধরনের সংস্কার করা হয়নি। ফলে ঘরের টিন পুরনো হয়ে মরিচা ধরে ফুটো হয়ে গেছে। বৃষ্টি আসলেই এসব টিনের ফুটো দিয়ে ঘরের ভিতর পানি পড়ে, বিছানা-বালিস ও আসবাবপত্র সব ভিজে যায়। এমন অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে তারা টিনের চালের ওপরে পলিথিন দিয়ে কোনোরকমে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। এমন দুর্ভোগের জীবন সহ্য করতে না পেরে ইতোমধ্যে কয়েকটি পরিবার অন্যত্র বসবাস করছে বলেও জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এখানে বসবাসকারী সূর্যভান বেওয়া বলেন, ‘ছাউনির টিন জালের মতো ছিদ্র হয়ে গেছে। বৃষ্টি আসলে ঘরের সব কাপড় ভিজে যায়। বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। আমাদের কেউ খোঁজখবর নেয়ও না।
জামিরন নামের এক নারী বলেন, ২০০১ সালে সরকার আমাদের ঘর দিয়েছে। চালের টিন নষ্ট হওয়ায় আমরা ঘরে থাকতে পারছি না। ঘরের মধ্যে পানি পড়ে, বাতাস ঢোকে। আমরা গরিব মানুষ, কাজ করে খাই। একটু যদি থাকার ব্যবস্থা ভালো করে দিতো, তাহলে আমাদের সুবিধা হতো।
টাপুরচর আশ্রয়ন প্রকল্পের সভাপতি মো. রহিম বাদশা বলেন, ‘আমরা এখানে ভালোভাবে বসবাস করছিলাম। ঘরের বয়স প্রায় ২৪ বছর হওয়ায় টিনগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ঘরে থাকতে পারছি না। আমরা প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবগত করেছি, বারবার আবেদন দিয়েছি। তারা আমাদের কথার গুরত্ব দিচ্ছে না।
স্থানীয় মো. নাজমুল হক নামের এক ব্যবসায়ী জানান, শ্রম, শক্তি, জীবন যাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটায়, তাই সরকারের কাছে আকুল আবেদন, তাদের জন্য কোন না কোন কুঠির শিল্পের সাথে সংযুক্ত করলে, তাদের জীবন যাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শাহ আলম জানান, ঘরগুলোর চাল নষ্ট হয়ে গেছে। আমি স্থানীয় প্রশাসনকে গরীব মানুষগুলোর দিকে সুনজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
বন্দবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. আব্দুল কাদের সরকার বলেন, নির্মাণের পর থেকে এখানকার কোনো ঘর সংস্কার করা হয়নি। এর আগে এ বিষয়ে আমি অনেকবার উপজেলা সমন্বয় সভায় আলোচনা করেছি। যদি সংস্কার করে না দেয়া হয়, টিনগুলো পরিবর্তন করে না দেয়া হয়, তাহলে মানুষ এখানে বসবাস করবে কিভাবে? সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে গরিব মানুষদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল কুমার হালদার বলেন, বন্দবেড় ইউনিয়নের টাপুরচর ও রৌমারী সদর ইউনিয়নের চর বামনের চর আশ্রয়ন প্রকল্পের চিত্র দেখেছি। বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। এই মুহুর্তে কোন বরাদ্দ না থাকায় সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথে ঘরগুলো দ্রুত সংস্কার করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম

ভারত থেকে আসা মরিচের ট্রাকে অস্ত্র-গুলি, ২ ভারতীয় আটক

পাবনায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে টেটা বিদ্ধ হয়ে যুবকের মৃত্যু

জুড়ীতে টিকটকে প্রেম, দেখা করতে গেলে মেয়ের স্বজনেরা দিলেন বাল্য বিয়ে: থানায় মামলা

বেনাপোলে এয়ার পিস্তল ও গুলি সহ আটক ২

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চাকরি করে জাহিদুল পেয়েছে আলাদিনের চেরাগ

সুবর্ণচরে স্বেচ্ছাসেবকদল চরক্লার্ক ইউনিয়ন কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

শ্রীনগরে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রচনা-ক্বেরাত প্রতিযোগিতা

ত্রিশালে উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধের ঘুষ বানিজ্যসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

নাঙ্গলকোটে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

দুমকীতে ধারের টাকা তুলে দিতে না পারায় স্ত্রীর আত্মহত্যা

সাঘাটায় এনসিপি নাম ভাঙিয়ে বাপ–ছেলের চাঁদাবাজির অভিযোগ

বালিয়াকান্দিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ নিহত ১ আহত
