ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫

স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে বসে মাদক সেবনের গুরুতর অভিযোগ


আসাদুজ্জামান, ঝিনাইদহ সদর প্রতিনিধি photo আসাদুজ্জামান, ঝিনাইদহ সদর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪-৮-২০২৫ দুপুর ৩:৮

ঝিনাইহ সদর উপজেলার কুমড়োবাড়িয়া ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর সরকাি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানে বসে ইয়াবা সেবনের গুরুতর অভিযোগে সরব এলাকাবাসী। একজন শিক্ষক হয়ে মাদক মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তিনি কীভাবে জড়িত থাকতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার সচেতন মহল। এলাকাবাসীর বক্তব্য, রফিকুল ইসলাম এমন শিষ্টাচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হয়ে শিক্ষকতার মতো একটি মহান পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন। তার কাছ থেকে আমাদের সন্তানেরা কী শিখবে!

প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের সত্যতা জানতে রাধাকান্তপুর প্রাইমারি স্কুলে দুই দিন গেলেও, তার সাক্ষাৎ মেলেনি। সর্বশেষ, সাক্ষাৎকার নিতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে পালিয়ে যান। পরে, তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে তিনি কোথায় আছেন জানতে চাইলে,  প্রধান শিক্ষক জানান, আমি শহরে শিক্ষা অফিসে আছি। তিনি বলেন, আমার যেতে দেরী হবে আপনারা স্কুল থেকে চলে আসেন। শহরে আসেন, কথা হবে। অতঃপর, শিক্ষা অফিসে এসে তাকে ফোন দিলে জানান তিনি স্কুলে আছেন! একজন প্রধান শিক্ষকের মুখে এরকম প্রতারণামূলক কথা বার্তায় কী প্রমাণ করে, তা নিয়েও সংশয়ের শেষ নেই! 

এর আগে এলাকাবাসীর অভিযোগে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা অফিসার ঐ এলাকায় গিয়ে প্রধান শিক্ষকের পক্ষে-বিপক্ষে গণ সাক্ষর নিয়েছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এতে করে অধিকাংশ মানুষ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও সুদ কারবারির সপক্ষে গণ সাক্ষর দিয়েছিলেন। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সেসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের মাদক সেবনের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলে স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিশ আসেন। তবে, প্রধান শিক্ষকের সাথে তিনি দেখা করে চলে গেলেও, কিন্তু তিনিও কোন প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এলাকাবাসীর বক্তব্য, শুধু টাকার জোরেই স্বপদে চাকরি করে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। 

এছাড়াও, অভিযুক্ত ঐ প্রধান শিক্ষক একজন সুদ-কারবারি বলেও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। রফিকুল ইসলাম অত্র  এলাকার প্রায় অর্ধশত অসহায় মানুষের সাথে সুদ কারবারি করে তাদেরকে সর্বশান্ত করেছেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।কুমড়োবাড়ি এলাকার একাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী তার সুদের ভার সইতে না পেরে, বসতবাড়ি ফেলে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলেও অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী নাটাবাড়িয়া গ্রামের দুইটি হিন্দু পরিবার শিক্ষকের কাছ থেকে সুদে করে টাকা নিয়ে সহায় সম্বল বিক্রি করে সুদের টাকা দিয়েছে। পরে বাকি টাকা দিতে না পেরে রাতের আঁধারে ভিটে-বাড়ি ফেলে ভারতে চলে গেছেন! 
অত্র এলাকার সেলিম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, "আমি  রাধাকান্তপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা সুদে করে ঋণ নিই। সেই টাকার পরিবর্তে ০৮ লক্ষ টাকা দিলেও, তিনি আমাকে ০৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।"

বিষয়টির বিস্তারিত জানতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব আক্তারুজ্জামান মিলনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি ঢাকাতে আছি। সামনের রবিবার আমি ঢাকা থেকে ফেরার পর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএসএম / এমএসএম

আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন এখন বিএনপি সভাপতি প্রার্থী

আপনার এসপি’ নামে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ সেবা চালু

ভূরুঙ্গামারীতে দুই মাদক সেবনকারীকে জেল ও জরিমানা ভ্রাম্যমান আদালতের

বরগুনায় সওজ’র সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরোতী

কুমিল্লায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ কিশোর গ্যাং সদস্য গ্রেফতার

ঝিনাইদহে বিশ্ব ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালিত

সিংড়ায় অনলাইন জুয়ায় বিরোধে প্রান গেলো ব্যবসায়ীর

মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর মাসুমের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

সাটুরিয়ায় ডোবা থেকে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার

'জুলাই বিপ্লব' শতাব্দীর পর শতাব্দী আলোচিত হবে, শহীদরাই আজকের মহানায়ক: মাহমুদুর রহমান

৫ হাজার টাকা চাদাঁ না দেওয়ায় সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা ও লুঠপাট থানায় মামলা দায়ের

বিয়ে বাড়িতে হামলা, আসামীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

সদরপুরে মমিন হোটেলে দুই লাখ টাকা জরিমানা