ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর
ভুয়া লাইসেন্সে হুন্ডি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন লেলিন মুন্সি

অবৈধ মানিএক্সচেঞ্জের দোকান খুলে এখনো হুন্ডির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন গোপালগঞ্জের লেলিন মুন্সী। বিগত ১৫ বছর ধরে গুলশান জব্বার টাওয়ারের ২য় তলায় রহমান মানিচেঞ্জার নামে ছোট একটি দোকান নিয়ে তিনি অন্য এক লোকের খুলনার মানিএক্সচেঞ্জের লাইসেন্স নিয়ে রাজধানী ঢাকাতে এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। মূলত তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ও গোপালগঞ্জের কিছু পুলিশের ক্ষমতায় ঢাকায় এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার সাহস পান, যা বর্তমানেও চালিয়ে যাচ্ছেন। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থানা এলাকার পদ্মবিলা সাহেবের চর গ্রামের চুন্নু মুন্সীর পুত্র লেলিন মুন্সী বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর। গোপালগঞ্জের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সঙ্গী করে চালিয়ে গেছেন তাঁর হুন্ডির ব্যবসা। আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন লেলিন মুন্সীর কোনো অসুবিধা হয়নি হুন্ডি ব্যবসায়, কারণ আওয়ামী লীগের অনেক নেতার সাথে ব্যবসা করেছেন তিনি। আওয়ামী নেতাদের বিদেশে টাকা পাচারের একমাত্র আস্থার স্থল ছিল এই লেলিন মুন্সি। গুঞ্জন আছে, তিনি আওয়ামী নেতাদের শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন। এর জন্য তিনি একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে একচেটিয়া টাকা কামিয়েছেন।
বিশেষ করে পুলিশে ছিল তার বিশেষ আধিপত্য; এখানে লেলিন মুন্সীর গডফাদার হিসেবে ছায়ার মতো পাহারা দিয়ে রাখতেন কাশিয়ানির সন্তান এন্টি টেররিজম ইউনিটের এসপি মাহাফুজুল আলম রাসেল। এই এসপি মাহাফুজুল আলম রাসেলের সহযোগিতায় নানা দুর্নীতি, অনিয়ম, অবৈধভাবে পুলিশের মধ্যে বিভিন্ন কন্ট্রাক্টরির কাজ করে বিপুল অবৈধ সম্পদসহ নগদ টাকার পাহাড় গড়েছেন। জুলাই আন্দোলনের সময় লেলিন মুন্সি মরিয়া হয়ে বাড্ডা এলাকায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের মোটা অংকের আর্থিক সহায়তা করেছেন। এখানে প্রতিটি হত্যার পেছনে হন্তারকদের উদ্দীপনা হিসেবে লেলিন মুন্সির হাত ছিল প্রসারিত। গোপালগঞ্জের সরকারকে টিকিয়ে রাখতে অনেক টাকা জোগাড় করে খরচ করেছেন। জানা যায়, গোপালগঞ্জের এমপি কর্নেল (অব.) ফারুক খানের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা পেয়েছেন বাড্ডা, রামপুরা ও গুলশান এলাকায় আন্দোলনরত ছাত্রদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের বাহিনীকে সচল রাখতে। এই সময় এখানে আন্দোলনও হয়েছে জবরদস্ত।
ভুয়া লাইসেন্স দিয়ে রহমান মানিএক্সচেঞ্জ সাইনবোর্ডের আড়ালে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন করেছেন। বিপুল সম্পদের মালিক এই লেলিন মুন্সীর রাজধানীর পূর্বাঞ্চলে দুটি প্লট করেছেন, এই প্লট শ্বশুরের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন, শ্বশুর মশাই পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল ছিলেন। লেলিন মুন্সি নগদ টাকায় জমি ক্রয় করেছেন গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী সাহেবচর বাথানডাংগা পদ্মবিলা এলাকায়। সাথে ঢাকায় মাওয়া রোডে জায়গা আছে এবং বাড্ডা এলাকায় অ্যাপার্টমেন্ট করেছেন। এসপি মাহাফুজুল আলম রাসেলের সহযোগিতায় বিগত কয়েক বছর বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং এসপি রাসেল হুন্ডির মাধ্যমে লেলিনের হাত ধরে পাচার করেছেন কোটি কোটি টাকা। সাথে মাহাফুজুল আলম রাসেলের বেনামের অধিকাংশ সম্পত্তি লেলিনের নামে রয়েছে, যা এসপি রাসেল অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। গোপালগঞ্জ কাশিয়ানি সাহেবের চর বাথান ডাঙ্গা মৌজায় নামে বেনামে ২০ বিঘা সম্পত্তি রয়েছে; লেলিন মুন্সি এই সম্পত্তি গত দুই বছরে ক্রয় করেছেন। সাথে ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি সিআরভি জিপ গাড়ি ক্রয় করেছেন। এর পিছনেও রয়েছে অবৈধ টাকার ব্যবহার।
বর্তমানে এসপি রাসেল বিভিন্ন মামলায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে গা ঢাকা দিয়েছেন এবং লেলিন তার কন্ট্রাক্টরি ব্যবসা গুটিয়ে গুলশান জব্বার টাওয়ারে অবৈধ হুন্ডির ব্যবসা দেদারসে করে যাচ্ছেন। এই ব্যবসায় নগদ ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, মাহাফুজ আলম রাসেল-এর বাড়ি গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী থানায়, যিনি বিপুল পরিমাণ কালো টাকার মালিক, তার সম্পত্তির কালো টাকা সব দেখাশোনা করেন লেলিন মুন্সি, যিনি তাঁর কথিত বন্ধু। বিগত কোরবানির ঈদে এই এসপি রাসেল লেলিনদের বাড়িতে অবৈধ ৫ লক্ষ টাকায় গরু কিনে কোরবানি করেছেন। এই এসপি রাসেল জঙ্গি নাটক সাজিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা উপার্জন করেছেন, এই জঙ্গি নাটক সাজানোর পিছনে লেলিন মুন্সিও গুলশান, বাড্ডা, বারিধারা ও রামপুরা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে জানা যায়। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় এমন কোনো অবৈধ কাজ নেই যা লেলিন মুন্সি করেননি। সম্প্রতি গোপালগঞ্জে এনসিপি’র উপর হামলার বিষয়ে স্থানীয়দের সহায়তা করার অভিযোগ আছে। এলাকাবাসী মনে করেন, এই লেলিন মুন্সিকে আটক করে রিমান্ডে নিলে আরো সব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে। তবে লেলিন মুন্সি জানান, এন্টি টেররিজম ইউনিটের এসপি মাহাফুজুল আলম রাসেল তাঁর এলাকার লোক এবং তাঁর সাথে অন্য কোনো সম্পর্ক নেই, এমনকি ব্যবসায়িক কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে জুলাই যোদ্ধা পরিচয় দিয়ে ‘শুভ’ নামে এক ব্যক্তি তার ০১৯৭৯২১৬৪৪১ মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে হোয়াটস অ্যাপে এই প্রতিবেদক ও সম্পাদককে প্রাণনাশের ইঙ্গিত দিয়ে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করেন। এইসব অপরাধী তথা লেলিন মুন্সির পক্ষে দালালি করতে যেয়ে তিনি নিজেকে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিয়ে এই প্রতিবেদক ও সম্পাদককে প্রাণনাশের ইঙ্গিত দিয়ে বিভিন্ন হুমকি দেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ও আইনজ্ঞদের সাথে কথা বলে জুলাই যোদ্ধার নাম বিক্রি করা ওই ‘শুভ’ নামের গুন্ডার বিরুদ্ধে দ্রুতই আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম

ভুয়া লাইসেন্সে হুন্ডি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন লেলিন মুন্সি

গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইউসুফের দুর্নীতির রাজত্ব

দুর্নীতিতে পিছিয়ে নেই এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীগন

‘এনবিআর’এ স্বৈরাচার সরকারের পালিয়ে থাকা চক্রের চক্রান্ত

প্রাণ ধ্বংসকারী কোম্পানি প্রাণ

বিসিএসআইআরের ৬ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনায় ভাগ বাটোয়ারা

কোতোয়ালীতে অপহৃত ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

রেজিস্ট্রি অফিসের প্রভাবশালী নকলনবিশের কাণ্ডঃ মন্ত্রীদের প্রভাবে চাঁদাবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান!

কেরানীগঞ্জ উপজেলার রাজাবাড়ী রোডে অবৈধ এলপিজি বটলিং প্লান্ট এর সন্ধান

গডফাদার মুরাদ জং-এর বোন পরিচয়ে দলিল দাতা-গ্রহীতাদের জিম্মি করার অভিযোগ

গাজীপুরের কাশিমপুরে সরকারি খাস জমি ভূমিদস্যুদের দখলে
