অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন - ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের প্রতিবাদে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, "অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন। তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।" তিনি আরও বলেন, "অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার সাথে আমার ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই, তার সঙ্গে আমার মাত্র একবার দেখা হয়েছে। কেন তিনি এই ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন তা যাচাই করা দরকার। হতে পারে তিনি কারও প্ররোচনায় এমন কথা বলেছেন। এর মাধ্যমে তিনি দলের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করছেন।"
ব্যারিস্টার মামুন অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার বক্তব্য তুলে ধরে বলেন যে, গত সোমবার অনলাইনে খবর আসে যে, হোমনা এবং মেঘনা উপজেলার আসন পুনর্বিন্যাসের মামলার শুনানির সময় ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন নাকি ২০১৮ সালের নির্বাচনকে সুষ্ঠু নির্বাচন বলে দাবি করেছেন। এর প্রতিবাদে ব্যারিস্টার মামুন বলেন, "আমি কখনো বলিনি যে ২০১৮ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমি বলেছি, নির্বাচন কমিশন মেঘনা এবং দাউদকান্দি আসনে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে একই সীমানা রেখেছিল, কিন্তু ২০২৩ সালে তা পরিবর্তন করা হয়েছে। আমি আদালতে যুক্তি দিয়েছি যে, যদি পরিবর্তন করা হয়, তাহলে ২০২৩ সালের তারিখটি বিবেচনায় না নিয়ে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে আনা উচিত, কারণ দাউদকান্দি এবং হোমনার দূরত্ব বেশি।"
তিনি আরও বলেন, গত সোমবার কুমিল্লায় জনসভা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে, ব্যারিস্টার মামুন আওয়ামী লীগের দোসর, সুবিধাভোগী এবং সে বিএনপির কেউ নয়। এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে ব্যারিস্টার মামুন বলেন, " আপনারা জানেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকা অবস্থায় আমি শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করেছি। এছাড়াও, জাতীয় চার নেতার জেলহত্যার মামলা পরিচালনা করেছি এবং শেখ হাসিনার আমলে মাইলফুটেকের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ সবাইকে খালাস করিয়েছি।" তিনি আরও বলেন, "বর্তমানে যিনি প্রধান উপদেষ্টা, যার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার আমলে বস্তাবন্দী করে পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত হয়েছিল, সেই মামলাও আমি তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালনা করেছি।" তিনি বলেন, "যখন আমি মামলার বিষয়ে কথা বলেছি, তখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল বা ছাত্রদের কণ্ঠস্বরও জাগ্রত হয়নি। আমার উৎসাহ-উদ্দীপনায় এটি জাগ্রত হয়েছে বলে আমি মনে করি। সারা দেশের মানুষও এটি মনে করে। এই অবস্থায় আমাকে যদি বলা হয় আমি আওয়ামী লীগের দোসর বা সুবিধাবাদী, তা কতটুকু সত্য বা বিশ্বাসযোগ্য, তা আপনারা নিজেরাই বলতে পারেন।"
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি হুমায়ুন কবির খান, যুগ্ম আহ্বায়ক এনায়েত করিম ভুইয়া, সাহেবাবাদ কলেজের সাবেক জিএস মাহবুবুর রহমান দিদার, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. মোস্তফা কামাল সহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল এবং অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
এমএসএম / এমএসএম

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ

জয়পুরহাটে ব্র্যাকের উদ্যোগে ১৩৯ জন গ্রাহকের মাঝে তেলাপিয়া মাছের পোনা বিতরণ

নেছারাবাদে স্থানীয় চার যুবকের সাহসে টাওয়ার থেকে উদ্ধার মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক

তারাগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় গরুর মৃত্যু, খামারীর লিখিত অভিযোগ

টাঙ্গাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির মূলহোতা'সহ ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় ভন্ড রাজার বাগের আস্তানা বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

চট্টগ্রামে ছিনতাইয়ের ঘটনায় চুরি মামলা, উদ্ধারকৃত দুই সিএনজি গায়েব!

কোটালীপাড়ায় শ্রেণিকক্ষে দুর্গন্ধে ২০ শিক্ষার্থী অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি-৮

টাঙ্গাইলে দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত
