প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ
গাজীপুরে আবাসিক এলাকায় গরুর খামার বর্জ্যের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এলাকাবাসী

গাজীপুর মহানগরীর আবসিক এলাকায় গরুর খামার স্থাপন ও বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। অনেকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার খামারের মালিকদের দারস্থ হয়েও কোনো ফল পাননি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মহানগরীর ৩১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ খান এলাকায় কাসেম আলীর দুই ছেলে মো: ইসমাইল ও মো: ওসমান ভুক্তভোগী মোঃ জামাল হোসেনের বাড়ির পাশে অবৈধভাবে গরুর খামার গড়ে তুলেছেন। খামারের বর্জ্য ও মলমূত্র প্রতিনিয়ত ভুক্তভোগীর বাসায় ঢুকে পড়ছে। এতে পরিবেশ দূষণ সহ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। দুর্গন্ধ ও বিভিন্ন পোকামাকড়ে বসবাস করার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে কয়েক দফায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ আশেপাশের এলাকাবাসী।
অভিযোগের বিষয়ে মো: জামাল হোসেন জানান, গত বছরের মার্চ মাস থেকে ধাপে ধাপে একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। এই বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আমাকে আদালতে মামলা করার জন্য বলেন তিনি ওই খামারের মালিকদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি এবং বলেছেন এখানে করলে কোন সমস্যা নেই। সে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে গত বছরের ২৪ নভেম্বরের এক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিবাদী কে খামার স্থাপনের অনুকূলে এন.ও.সি ট্রেড লাইসেন্স, প্রাণিসম্পদ বিভাগের লাইসেন্স প্রদর্শন করতে বললে কোন কিছুই দেখাতে পারেননি। খামারটি আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। সরেজমিনে বাদির আবেদনে বর্ণিত ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
সর্বোপরি, খামাটি স্থাপনের অনুকূলে কোন প্রকার অনুমোদন না থাকায় এবং খামারটি আবাসিক এলাকায় থাকায় খামাটি বন্ধ করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: নার্গিস খানম চরম দুর্নীতিগ্রস্ত একজন সরকারি কর্মকর্তা। না বিভিন্ন উপায় অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে বিভিন্ন এগ্রো ফার্ম ও খামারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। তার কাছে কোন বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ উপস্থাপন করা হলেও তিনি তা গুরুত্ব না নিয়ে অপর পক্ষের কাছ থেকে টাকা খেয়ে অনৈতিক সুবিধা দিচ্ছেন।
এছাড়াও তার এসব দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বরাবর একাধিক লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। সরকার পতনের পর তার এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে ভুক্তভোগী খামার মালিকেরা অফিস ঘেরাও করে আন্দোলন করেছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: নার্গিস খানমকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এমএসএম / এমএসএম

কবি নজরুল সকল ধর্মের বিষয় নিয়ে লিখেছেন : কবি নিজামী

রাণীশংকৈলে ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

গাজীপুরে আবাসিক এলাকায় গরুর খামার বর্জ্যের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এলাকাবাসী

রাণীশংকৈলে পূজা উদযাপন বিষয়ে পুলিশের মতবিনিময় সভা

যানজট নিরসনে চাটখিল পৌর প্রশাসকের পরিকল্পিত উদ্যোগ

মধুখালীতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে র্যালি ও আলোচনা সভা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও ম্যাগাজিন উদ্ধার

রাণীশংকৈলে ইয়াবা ও গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

লালমনিরহাটে মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মোহনগঞ্জ হাসপাতালে সেবা বঞ্চিত হাওরপাড়ের দুই লাখ মানুষ

রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবে আল আরাফাহ গ্রুপের অনুদান প্রদান

বগুড়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় ৭ জন গ্রেফতার
