এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মাণ হচ্ছে অর্ধকোটি টাকার ব্রিজ

দীর্ঘ ১৫ বছর এমপি, মন্ত্রী ও স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারসহ প্রশাসনের পিছনে ঘুরে কোন সুরাহা না পেয়ে নিজেদের অর্থায়নেই প্রায় অর্ধকোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে এলাকাবাসী। এলাকার প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সাহায্য তুলে জমা করেছেন প্রায় ২০ লাখ টাকা। সেই টাকা দিয়েই ব্রিজের কাজ প্রায় অর্ধেক শেষ হয়েছে। এদিকে তহবিলের টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় ব্রিজের বাকি কাজ নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছেন তারা। তবে এলাকাবাসীর জোরদাবী ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা হাল ছাড়বেন না। এদিকে এলাকাবাসীর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সচেতন মহল।
সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের একটি জনবহুল গ্রাম কান্নাপাড়া। এ গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গাজিখালী নদীতে ব্রিজ না থাকায় স্কুল, কলেজ, বাজার কিংবা হাসপাতালে পৌঁছানো ছিল সময়সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য। প্রায় ২০ বছর ধরে ১০ থেকে ১৫ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে স্থানীয় এমপিসহ চেয়ারম্যান মেম্বাররা আশ্বাস দিলেও নির্বাচনের পর আর কোন খবর রাখেন না। অবশেষে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে গ্রামের মানুষ নিজেরা টাকা তুলে ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৮ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শুরু করে। ব্রিজ না থাকায় প্রতিদিন ঝুকি নিয়ে নৌকায় চলাচল করে শতাধিক স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, তাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে কষ্ট না পায়, সেই চিন্তা থেকেই তাদের এই উদ্যোগ। ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হলে নদীর দুপাড়ের ১০ থেকে ১৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াত সহজ হবে। হাসি ফুটবে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষের মুখে। দেখবে নতুন দিনের আশার আলো। স্থাপিত হবে এক নতুন দৃষ্টান্ত।
স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুনাইদ বলেন, ব্রিজ না থাকায় প্রতিদিন আমার মতো আরো শতাধিক স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী ঝুকি নিয়ে নৌকায় চলাচল করে। এতে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
শিক্ষার্থী নাফিজ বলেন, প্রতিদিন পারাপারে আসতে যেতে ১০ টাকা লাগে। মাঝেমধ্যে নৌকা ডুবে যায়। এছাড়া ঘুরে আসতে হলে প্রায় দেড় থেকে দুই কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে তারপর স্কুলে আসতে হয়।
স্থানীয় কান্নাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন,আমি এখানে প্রায় ১৫ বছর ধরে চাকরি করতেছি এখানে বিভিন্ন সরকারের সময় এমপি-মন্ত্রী করে দেবে তবে কেউ করেনি। সরকারি সাহায্য না পেয়ে তারা হতাশ হলেও বসে থাকিনি। গ্রামের তরুণদের পাশাপাশি বৃদ্ধরাও শ্রম দিয়েছেন নির্মাণকাজে। এই ব্রিজ কেবল যোগাযোগের মাধ্যমই নয়, এটি এই এলাকার অর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা শিক্ষা প্রসার ও দুই পাড়ের মানুষের মাঝে আত্মিক সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছে।
ব্রিজ নির্মাণ তহবিলের ক্যাশিয়ার শরিফুল ইসলাম জানান, ব্রিজটি নির্মাণ করতে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। আমাদের ২০ লক্ষ টাকার মত কালেকশন হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজে সেই টাকা খরচ হয়েছে। তবে বাকি যে কাজটা রয়েছে সেটুকু নিয়ে একটু চিন্তা রয়েছে। যেহেতু আমাদের জমানো টাকা নেই। নতুন করে আবার কালেকশন করতে হবে। সবার সাহায্য সহযোগিতা পেলে কাজটি দ্রুত শেষ করতে পারবো।
ব্রিজের বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন,আমি সরেজমিনে গিয়ে নির্মাণস্থল পরিদর্শন করেছি। গ্রামবাসীর এমন উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এখানে একটি ব্রিজ অতি প্রয়োজন। আমি উপজেলায় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ব্রিজের বিষয়ে কেউ কোন আবেদন করেনি। তাই এ বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। যেহেতু ব্রিজের পিলারের কাজ শেষ হয়েছে,তাই বাকি কাজগুলো উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে ডিজাইন করে যাতে করা যায় সে বিষয়ে বিধি মোতাবেক সর্বোচ্চ আর্থিক সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করব।
এমএসএম / এমএসএম

চাহিদার তুলনায় বাজেট বরাদ্দ কম হওয়ায় প্রয়োজনীয় পরিমাণ সাপোর্ট দিতে পারছিনাঃ রেল সচিব

সুবর্ণচরে স্বেচ্ছাসেবকদল জাহাজমারা ইউনিয়ন কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নরসিংদীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি প্রতিবাদে প্রবাসীর সংবাদ সন্মেলন

জয়পুরহাটে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

১২-৩০ অক্টোবর ১ লাখ ৩৫ হাজার ১২৭ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেবে রাসিক

আটোয়ারীর সেই আলোচিত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি

কুড়িগ্রামে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

মুকসুদপুরে মৃত্যুপথযাত্রী বাবার চিকিৎসার সময় চাচার হুমকি

দোহারে বেগম আয়েশা স্কুলে ছাত্রীদের বিক্ষোভ: অনুপস্থিত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত দাবিতে উত্তাল বিদ্যালয়

পূর্বধলায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

বড়লেখায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

শিবালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আওয়াল গ্রেফতার
