ঢাকা বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

উল্লাপাড়া উপজেলা প্রসাশকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ


কাইয়ুম মাহমুূদ, উল্লাপাড়া  photo কাইয়ুম মাহমুূদ, উল্লাপাড়া
প্রকাশিত: ১০-৯-২০২৫ দুপুর ৩:৮

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার( ইউএনও) আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাতের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার উল্লাপাড়া উপজেলার ওমর ফারুক নামে এক স্থানীয়  বাসিন্দা বিভিন্ন স্থানে অনুলিপি প্রধান করে (ইউএনও) আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাতের  বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ পত্রটিতে উল্লেখ করা হয়েছে এডিপি, এলটিএম, পিআইসি প্রকল্পের নামে-বেনামে প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ পত্রটিতে উল্লেখ করেন  ।জানা যায়,  ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় গৃহীত ১১৮টি প্রকল্প অনুমোদন করে বাস্তবায়ন করা হয়। এর অনেকগুলোই উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন তহবিল ব্যবহার নির্দেশিকা ও বিধিমালার পরিপন্থি বলে জানা গেছে।

এর মধ্যে পিআইসি কর্তৃক বাস্তবায়িত বেশ কিছু প্রকল্প নামমাত্র দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘উল্লারপাড়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচু নিচু বেঞ্চ সরবরাহ’ একই নামে ছয় লাখ টাকার তিনটি প্রকল্প পিআইসি’র বাস্তবায়নে দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ ছয় লাখ টাকার একটি প্রকল্প ভেঙে তিন ভাগ করা হয়েছে। যা পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ এর লঙ্ঘন বলে জানা গেছে। এতে পিআইসি পদ্ধতিকে অপব্যবহার করে বড় বড় প্রকল্প টুকরো টুকরো করে বাস্তবায়ন দেখিয়ে করা হয়েছে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ। তাছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চল্লিশ লাখ টাকার বিশেষ বরাদ্দ এনেও খরচ করেছেন নিজের ইচ্ছমত প্রকল্প তৈরি করে।

অভিযোগ পত্রটিতে দেখা গেছে, এই অর্থ বছরের মোট প্রকল্প ১১৮টি। যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৯৪ লক্ষ ৫৩১ টাকা। 
এর মধ্যে টেন্ডার পদ্ধতিতে (এলটিএম) ৪ কোটি ৮৬ লক্ষ ৫৩১ টাকা এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) পদ্ধতিতে ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও এডিপির বিশেষ বরাদ্দের আরো ৪০ লক্ষ টাকার ১০টি  প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
এই নথিতে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ  বৎসরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (বিশেষ) এর আওতায় থোক বরাদ্দ হিসেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যেখানে তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি অফিস মেরামত বাবদ ব্যয় করেছেন ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এএসপি সার্কেল অফিস ভবন মেরামত বাবদ ব্যয় করেছেন তিন লাখ টাকা।
গেজেটেড ডরমেটরি ভবন মেরামত ববাদ ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা, নন-গেজেটেড ডরমেটরি ভবন মেরামত ববাদ ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়াও এই বরাদ্দ থেকে পিআইসি’র মাধ্যমে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় মেরামত বাবদ দুই লাখ টাকা, আনসার ভিডিপি অফিস ও আইসিটি অফিস মেরামত বাবদ দুই লাখ, পাম্প হাউজ মেরামত দুই লাখ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনের অভ্যন্তরে পেভড টাইলস দ্বারা রাস্তা নির্মাণ বাবদ দুই লাখ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ীর গ্যারেজ মেরামত দুই লাখসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করেন।
অথচ উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন তহবিল নির্দেশিকা ২০১৪ এর সংযোজনী-১ এর ক্রমিক নং ৭ স্পষ্ট বলা রয়েছে উপজেলা উন্নয়ন তহবিলের অর্থ দ্বারা ব্যাংক বা অন্য কোন সরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য কোন ইমারত নির্মাণ/ মেরামত বা সম্প্রসারণ করা যাবে না।
দেখা যায়, এডিপির রাজস্ব উদ্ধৃত্ত অর্থ দিয়ে নীতিমালা উপেক্ষা করে উপজেলা পরিষদ চত্বর কেন্দ্রিক নেওয়া হয়েছে ১৪ লাখ টাকার প্রকল্প। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা পরিষদের সুনির্দিষ্ট গ্যারেজ না থাকা স্বত্ত্বেও ভিন্ন ভিন্ন কর্মকর্তার নামে গ্যারেজ দেখিয়ে দশ লাখ টাকার বিল তুলে নিয়েছেন ইউএনও আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত।
গ্যারেজ নির্মাণে দুই লাখ টাকা, উপজেলা পরিষদের গ্যারেজ নির্মাণে দুই লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। তাছাড়া উপজেলা প্রকৌশলীর গ্যারেজের ইটের গাথুঁনি ও মেঝের সিসি ঢালাই বাবদ দুই লাখ, একই গ্যারেজের প্লাস্টার, রং করণ ও টিনের চালা নির্মাণ বাবদ আরও দুই লাখ টাকা প্রকল্প ব্যয় দেখানো হয়েছে। 
এই প্রকল্প এলটিএম এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন না করে কেন তা ভেঙে পিআইসির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার অনুমোদন দিলেন এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, পিআইসি কর্তৃক বাস্তবায়িত এসব প্রকল্পের অধিকাংশই নামকাস্তে ও অর্থ জন্য করা হয়েছে। 

এজন্য এইউএনও টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে বড় প্রকল্প ভেঙে টুকরো টুকরো করে পিআইসির মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করেছেন। তাছাড়া উপজেলা প্রশাসকদের নীতিমালা সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ বাবদ দুই লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে একটি উপজেলায় কতজন প্রশাসক থাকেন যে প্রশিক্ষণের বিল এত টাকা হয়।
চার লাখ টাকা বরাদ্দের মধ্যে ইউএনও’র উপহার হিসেবে যে সংগঠনগুলো ফুটবল পেয়েছে সেই সংগঠনগুলোর ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা জানান তারা হাতে গোনা কয়েকটি ফুটবল পেয়েছেন।
খেলোয়াড় কল্যান সমিতির সভাপতি, ড. সামিউল ইসলাম রনি বলেন, আমি যে সংগঠনের দায়িত্বে আছি সেই সংগঠনকে চারটি ফুটবল দেয়া হয়েছে। রেজাউল নামে স্থানীয় ফুটবল কোচ বলেন, ছেলেদের ফুটবল ক্লাবের মধ্যে দুটিকে ডিআর ব্র্যান্ডের ৩টি করে ফুটবল দেয়া হয়েছে। আর বাদ বাকিগুলোকে কিভাবে দেয়া হয়েছে জানি না।
ইউএনও আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত সম্পর্কে খোঁজ নিলে জানা যায়, গত বছরের জুন মাসে পবার কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ছাড়াই ৯১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন তিনি। নওগাঁর আত্রাই থেকে নিজের চাচাতো ভাই রাজীব রনককে এনে তাঁকে দিয়েই কাজ করাচ্ছিলেন। রাজীব রনক পবায় ইউএনওর সরকারি বাসভবনেই থাকতেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০টি ঘর নির্মাণে ইটভাটা থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ওই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর বদলি করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে যানতে চাইলে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো. শহিদুল্লাহর জানান, এই অভিযোগের কোন ভিত্তি নাই আমরা যা করেছি সরকারী নিয়ম নিতির মধ্যে থেকেই করেছি। 
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাতের সরকারী নাম্বারে ফোন দিয়ে তার  অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিষয়ে অনিয়ম দুর্নীতি অভিযোগ হয়েছে, এবিষয় আমার কোন কিছু জানা নাই, কি অভিযোগ গেছে সেটা জেলা প্রশাসকেই জিজ্ঞেস করেন বলে ফোনের লাইন কেটে দেন। 

এমএসএম / এমএসএম

ডাকসুর নির্বাচনে শামসুন্নাহার হলের জিএস নির্বাচিত হয়েছেন নরসিংদীর সামিয়া

জুড়ীতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

জয়পুরহাটে কারাতে প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান

বাকেরগঞ্জে দূর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে ১৬০০ কেজি পলিথিন জব্দ

মাতৃভূমি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে বিজ্ঞান উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিজিবির অভিযান, সাত দিনে ২ কোটি ১১ লাখ টাকার মাদকসহ অবৈধ মালামাল জব্দ

ঢাকা ভাংঙা এক্সপ্রেসওয়েতে ২য় দিনের মতো যানবাহন চলাচল বন্ধ, বিকল্প পথে সড়কে বেড়েছে যানজট

চিতলমারীতে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল: সড়ক অবরোধে অচল জনজীবন

রায়পুরে নিরক্ষরদের হাতে কলম তুলে দিল শিবির

ঠাকুরগাঁওয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রামদাড়া সেতুতে জীবন বিপন্নের আশংকা

জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে সিএসও

ঝিনাইদহে ভাঙা রাস্তা মেরামতে বিএনপি নেতা আব্দুল মজিদ বিশ্বাসের বিশেষ উদ্যোগ