ঢাকা শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলে বিলীন ১১ পরিবারের বসতভিটা: বিদ্যালয় ভবনে আশ্রয়


দেবাশীষ সাহা রায়, শেরপুর photo দেবাশীষ সাহা রায়, শেরপুর
প্রকাশিত: ২০-৯-২০২৫ দুপুর ১:১০

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ভারী বর্ষণ এবং সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে অন্তত ১১টি পরিবারের বসতভিটা সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো স্থানীয় একটি বিদ্যালয় ভবনে আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে, ঢলের পানিতে ডুবে মারা যাওয়া কিশোর ইসমাইল হোসেনের পরিবারের হাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পাহাড়ি ঢলের পানির প্রবল তোড়ে মহারশি নদীর ব্রিজপাড় সংলগ্ন খৈলকুড়া এলাকায় বাঁধ ভেঙে ১০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ঝিনাইগাতী সদর বাজারেও প্রবেশ করে। এতে মুহূর্তের মধ্যে অন্তত ১১টি পরিবারের বসতভিটা ভেসে যায়, ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি এবং ডুবে যায় ৫০টিরও বেশি মাছের ঘের। ঢলের পানিতে ৩৪৫ হেক্টর জমির আমন ধান ও ১০ হেক্টর জমির সবজি সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়, আর ৫৭৫ হেক্টর আমন ও ২৫ হেক্টর সবজি খেত আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত খৈলকুড়া এলাকার বিধবা নারী রহিমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, গত দুই বছরে তিনবার নদীর ভাঙনে তার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে শেষ সম্বলটুকুও পাহাড়ি ঢল কেড়ে নিয়েছে। তার দুটি ঘর, ফসলি জমি এবং আসবাবপত্র ভেসে গেছে। সরকারি সাহায্য ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই বলে তিনি জানান।

ঝিনাইগাতী বণিক সমিতির সভাপতি মো. মোখলেছুর রহমান খান বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে মহারশি নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে বাজারের কয়েক শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে মহারশি নদীর পাশে একটি স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ, দোকানঘরের মেঝে উঁচু করা এবং বাজারে টেকসই ড্রেন নির্মাণের জোর দাবি জানান। স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, ২০২২ সালের ভয়াবহ ঢলে ব্রিজের বাঁধ ভেঙে গেলেও তা সংস্কার করা হয়নি, যার কারণে এবারও একই জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামান জানান, মহারশি নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঝিনাইগাতীর ইউএনও মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, গত তিন দিন বৃষ্টি না হওয়ায় নদীর পানি কমেছে এবং বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে। তিনি আরও বলেন যে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

এমএসএম / এমএসএম

জয়পুরহাটে দূর্গাপূজা উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা

ঈশ্বরদীতে রাস্তা মেরামত না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে

গাইবান্ধায় বিএনপির বিক্ষোভ: পূণর্বাসন, পকেট কমিটি ও মেয়াদোত্তীর্ণ নেতৃত্বে স্থানীয় রাজনীতি সংকটে

সড়ক নয় যেনো মরণ ফাঁদ

সাটুরিয়ায় সেতুর মুখ বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

গোদাগাড়ীতে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময়

দুমকীতে স্কুলের মাঠ দখল ঘর নির্মাণ

শেরপুরে দুর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে: প্রতিমাশিল্পীদের চোখে ঘুম নেই

নবীনগরে ১৪ ড্রাম মদ তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার, এক যুবক আটক

নরসিংদীতে পদ্ম ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

শান্তিগঞ্জে ফ্রি চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত

পলাশবাড়ীতে সবজির দামে আগুন, বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা

কুমিল্লায় যুবককে কুকুর লেলিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা