ঢাকা শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সাংবাদিকের ভাই পরিচয়ে সাংবাদিক কে বিএনপি নেতার হুমকি


আবুল হাশেম, বাঘা photo আবুল হাশেম, বাঘা
প্রকাশিত: ২০-৯-২০২৫ দুপুর ১:১২

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা বাজারের এক কিটনাশক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা আদায় ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এই নেতা। তিনি বলেন,চাঁদা নিয়েছি,আপনার কাছ থেকেও নিবো।

ভুক্তভোগীর নাম রবিউল হাসান। তিনি একই এলাকার ব্যবসায়ী। রবিউল অভিযোগ করে বলেন, আদালতের নির্দেশে পূর্বের একটি জের মামলা আপস-মীমাংসা হওয়ার পরও বিবাদী রেজাউল করিম পূর্ব শত্রুতার জেরে তার কাছ থেকে পুনরায় তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি বলেন, চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রেজাউল করিম একাধিকবার তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন, যার অডিও রেকর্ডও সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।


হুমকি দিয়ে তিনি ইতোমধ্যে তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে আদায় করেছেন বলেও জানান রবিউল। এছাড়াও দুই লাখ টাকা ক্যাশ নিয়েছেন। এই অর্থ তিনি রূপালী ব্যাংক বাউসা শাখার তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে একটি চেকের মাধ্যমে দিয়েছেন, যা নগদায়ন করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আখের আলী। তিনি আরও অভিযোগ করেন, রেজাউল করিম প্রকাশ্যে তাকে বলেন, এক লাখ পঁচাশি হাজার টাকা দিয়ে পিস্তল কিনেছি শুধু তোর জন্য। তার আশঙ্কা, অভিযুক্তের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে, যা তিনি ব্যবহার করতে পারেন।

ভুক্তভোগী বলেন, ‌‌‌বর্তমানে আমি দোকান খুলতে পারছি না, দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছি। রেজাউল করিম আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তার ভয়ে আমি ঘর থেকেও বের হতে পারি না।

তিনি অভিযোগ করেন, গত বছরের ৫ আগস্ট পর থেকে রেজাউল করিম ও তার অনুসারীরা বাউসা ইউনিয়নে চাঁদাবাজি,দখলবাজি,বাড়িঘর ভাঙচুরসহ নানা অপরাধে জড়িত। একবার তাকে গ্রেপ্তার করে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হলেও সে আবারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে।

ভুক্তভোগী রবিউল হাসান বলেন,আমার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছে। আমার দেওয়া চেক থেকে আখের মেম্বারের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা তিনি উঠিয়েছেন। বাকি দুইলাখ নগদে নিয়েছেন। এখন তারা আরও টাকা চাইছেন। কিন্তু আমার কাছে আর কোনো টাকা নেই যে, আমি দিতে পারি। আজ প্রায় ১৫ দিন ধরে আমি গৃহবন্দি, বের হতে পারছি না। ওই নেতা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন।’

বিষয়টি জানতে বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলো পত্রিকার সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ কে তার ভাই পরিচয়ে প্রতিবেদককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, ‘আমি চাঁদা নিয়েছি, প্রয়োজনে আপনার কাছ থেকেও নেবো।’ একইসঙ্গে তিনি প্রতিবেদকের আর্থিক অবস্থা, পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও কটূক্তি করেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়লে রেজাউল করিমের কথিত ভাই (সাংবাদিক) অস্বীকৃতি জানিয়ে তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছেন। পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো -দৃষ্টি আকর্ষণ : রাজশাহী জেলার বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম ‘আমার ভাই’ পরিচয় দিয়ে যদি কোনো গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ বা বক্তব্য দেন, তা একান্তই তার ব্যক্তিগত। তার দায় কোনভাবেই আমার ওপর বর্তাবে না।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মনে উকি দিচ্ছে নানা প্রশ্ন? তাহলে রেজাউলের উগ্রতার রাজত্বের নেপথ্যে কি তার ক্ষমতাধর সাংবাদিক ভাই! নাকি অন্য কেউ? কোন খুঁটির জোরে তার এমন বেপরোয়া হয়ে ওঠা। যেখানে রেজাউলের হুমকি থেকে বাদ পড়েনি গণমাধ্যম কর্মী, সেখানে কি হতে পারে সাধারণের পরিনতি?

এমএসএম / এমএসএম

জয়পুরহাটে দূর্গাপূজা উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা

ঈশ্বরদীতে রাস্তা মেরামত না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে

গাইবান্ধায় বিএনপির বিক্ষোভ: পূণর্বাসন, পকেট কমিটি ও মেয়াদোত্তীর্ণ নেতৃত্বে স্থানীয় রাজনীতি সংকটে

সড়ক নয় যেনো মরণ ফাঁদ

সাটুরিয়ায় সেতুর মুখ বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

গোদাগাড়ীতে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময়

দুমকীতে স্কুলের মাঠ দখল ঘর নির্মাণ

শেরপুরে দুর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে: প্রতিমাশিল্পীদের চোখে ঘুম নেই

নবীনগরে ১৪ ড্রাম মদ তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার, এক যুবক আটক

নরসিংদীতে পদ্ম ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

শান্তিগঞ্জে ফ্রি চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত

পলাশবাড়ীতে সবজির দামে আগুন, বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা

কুমিল্লায় যুবককে কুকুর লেলিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা