যশোর-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হতে মাঠ প্রস্তুত করেছেন জহুরুল

দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে ত্রিয়দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ফের্রুয়ারীর শুরুতে হবে নির্বাচন এমনই জানিয়েছেন বর্তমান সরকার প্রধান। এবারের নির্বাচনে ৮৬-যশোর-২ চৌগাছা-ঝিকরগাছা আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন চৌগাছার কৃতিসন্তান প্রবীন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জহুরুল ইসলাম। তিনি যদি দলের প্রতীক পান তাহলে এই আসনটি দেশ নায়ক তারেক রহমানকে বিএনপি উপহার দিতে পারবেন এমনটিই জানিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীসহ তৃণমুলের কর্মীরা।
আগামী বছরের ফের্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহু কাংখিত ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলের সম্ভব্য প্রার্থীরা ছুটে বেড়াচ্ছেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। দিচ্ছেন নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি। সারা দেশের ন্যায় সীমান্তবর্তী উপজেলা চৌগাছার সম্ভব্য প্রার্থীরাও বসে নেই।
যশোর-২আসনটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। চৌগাছা ও ঝিকরগাছা উপজেলা নিয়ে এই আসনটির অবস্থান। দেশ বিভাগের পর যে ১২ টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে তাতে দুই বার জামায়াত প্রার্থী, একবার (১৫ ফের্রুয়ারী) বিএনপি প্রার্থী ও ৯ বার আওয়ামীলীগের প্রার্থী জয়লাভ করেন। দুই উপজেলার সমন্বয়ে গঠতি এই আসনটিতে প্রতিবারই পাশ্ববর্তী ঝিকরগাছা উপজেলা হতে এমপি হয়েছেন একটি বারের জন্যও চৌগাছা থেকে কোন প্রার্থী হয়নি তাই এমপি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তবে এবারের সংসদ নির্বাচনে চৌগাছা থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য বেশ আগে ভাগেই মাঠে নেমে পড়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি,যশোর জেলা বিএনপির সদস্য, সাবেক ছাত্র নেতা প্রবীন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যাকে চৌগাছা উপজেলাবাসি বিএনপির প্রাণ বলে চেনেন সেই জননেতা জহুরুল ইসলাম। নিজ দলের নেতাকর্মী তো বটেই অন্য সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা তাকে চৌগাছার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে চেনেন। সেই ব্যক্তি ১৩তম সংসদ নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যে মাঠ প্রস্তুত করে ফেলেছেন এমনকি পাশ্ববর্তী ঝিকরগাছা উপজেলাতেও তৈরী করেছেন শক্ত অবস্থান এমনটিই জানান দলের নেতাকর্মীরা। এখন শুধু দরকার কাংখিত সেই প্রতীক ধানের শীষ তাহলে চমক সৃষ্টি করে প্রথমবারের মত চৌগাছার মাটিতে হবেন একজন এমপি মনে করছেন এজনপদের মানুষ।
কে এই জহুরুল ইসলাম ? জহুরুল ইসলাম উপজেলার ৭নং পাতিবিলা ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের পিতা মৃত জোনাব আলী মা জাহানারা বেগমের বড় ছেলে। ১৯৬৩ সালের ৮ জানুয়ারী তিনি মা জাহানারা বেগমের কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে আসেন। বর্তমানে তিনি চৌগাছা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের পাচনামনা মহল্লার নিজ বাড়িতে স্ত্রী ও দুই কন্য সন্তান কানিজ ফাতেমা প্রত্যাশা ও সুরাইয়া ফাতেমা নাতাশাকে নিয়ে বসবাস করেন। ইসলামিক স্টাডিজের উপর এমএ কমপ্লিট করেছেন কিন্তু চাকরির জন্য কোনদিন চেষ্টাও করেননি। তার ধ্যান জ্ঞান সাধনা রাজনীতি, যা এখনও আগলে রেখেছেন।
জননেতা জহুরুল ইসলামের রাজনৈকি পরিচয় সুদুর পরিসর। যশোর উন্নয়নের রুপকার সাবেক সফলমন্ত্রী বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য প্রায়াত নেতা তরিকুল ইসলামের হাত ধরেই তার বিএনপির রাজনীতিতে প্রবেশ। তিনি ছিলেন শহীদ জিয়ার হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদি ছাত্রদলের চৌগাছা উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ছাত্রদল থেকেই ১৯৮৩ সালের ২৭ মার্চ দায়িত্ব নেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের। অত্যান্ত দায়িত্বশীলতার সাথে ২০০৯ সালের ৩১ অক্টোবর দীর্ঘ ২৬ বছর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন এবং এই সময়ে চৌগাছার মাটি বিএনপির ঘাটিতে পরিনত করেন। এরপর ২০০৯ সাল থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহন করেন এবং ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সাল হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি উপজেলা বিএনপির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ সাল হতে অদ্যবদি তিনি যশোর জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
দীর্ঘ এই রাজনৈতিক জীবনে তিনি ইউনিয়নে একাধিকবার হয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান, চৌগাছা তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজসহ একাধিক স্কুল কলেজ, মসজিদ, মাদ্রসা মক্তব প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সাথে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজনৈতিক জীবদ্বশায় তিনি একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আটক হয়ে ৫১ দিন ডিটেনেশনে ছিলেন। ১৯৯৬ সাল হতে ২০০১ সাল পর্যন্ত ১৬টি মামলায় কয়েকবার কারাবরণ করেন। ২০০৮ সালে সেনাবাহিনীর হাতে তিনি আটক হন। ২০০৯ সাল হতে বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত তিনি ১২টি মামলার আসামি হন, ৮১ দিন ডিটেনশনসহ ১৮ বার কারাবরণ করেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালে তিনি আওয়ামী সরকারের রোসানলে পড়ে ২টি নাশকতা মামলায় ৫৫দিন কারাভোগ করেন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন জননেতা জহুরুল ইসলাম যদি ধানের শীষ প্রতীক পান তাহলে যশোর -২ আসনটি আমরা তারুন্যের অহংকার জনাব তারেক রহমানকে উপহার দিতে পারবো।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মৃত্যুঞ্জয়ি নেতা ইউনুচ আলী দফাদার বলেন, দল যাকেই ধানের শীষ প্রতীক দিবেন তাকে বিজয়ী করতে আমরা আপ্রান চেষ্টা করবো। চৌগাছার সন্তান হিসেবে আমি চাইবো অন্তত কেন্দ্র একটি বারের জন্য হলেও চৌগাছা থেকে প্রার্থী দিবে এবং সেটি হচ্ছে জহুরুল ইসলাম। চৌগাছা বিএনপির জন্য তার অবদান সকলের শীর্ষে।
প্রার্থী হতে ইচ্ছুক জননেতা জহুরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাকেই প্রতীক দিবেন আমরা প্রস্তুত সেই প্রার্থীকে বিজয়ী করতে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছি। ত্রিয়দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার মানষে বছরের পর বছর ধরে মাঠ প্রস্তুত করেছি শুধু চৌগাছা না ঝিকরগাছাতেও। এখন অপেক্ষার পালা, যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি দৃঢ় কন্ঠে বলতে পারি যশোর-২ আসনে আমি বিজয়ী হব ইনশাল্লাহ।
এমএসএম / এমএসএম

মধুখালীতে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অসহায় পঙ্গু চালকের ইজিবাইক চুরি

সিলেট জেলা তাঁতীদলের কমিটি গঠন

শালিখায় সিটি ব্যাংকের অর্থায়নে গাছের চারা বিতরণ

নড়াইল-১ আসনের তৃণমূলে কাজ করে জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন জিয়া পরিষদ নেতা অধ্যাপক বি.এম. নাগিব হোসেন

ভূরুঙ্গামারীতে জব্দকৃত ৮৫ বস্তা টিএসপি সার ধ্বংস করলো প্রসাশন

সিলেট-৬ আসনে বিএনপিতে নয়-জামায়াতে এক, প্রচারণায় আছেন অন্য দলের প্রার্থীরা

পাঁচ হাজার ইয়াবাসহ শীর্ষ মাদক ব্যাবসায়ী র্যাবের হাতে আটক

কুমিল্লায় ৮৭ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ

কুড়িগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভ

আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন আর সুদকে হারাম করেছেনঃ কর্ণেল অলি

যশোর-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হতে মাঠ প্রস্তুত করেছেন জহুরুল

হাতিয়ায় দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
