ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

ভক্ত-দর্শনার্থীদের আবেগে মুখরিত উত্তরা সার্বজনীন মন্দির প্রাঙ্গণ


নারগিস পারভীন photo নারগিস পারভীন
প্রকাশিত: ১-১০-২০২৫ দুপুর ১:১৪

শারদীয় দুর্গাপূজা—বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীর উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত উত্তরা সার্বজনীন মন্দিরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। ভক্ত ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে পূজা প্রাঙ্গণ এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। পূজার ঐতিহ্য নিয়ে উত্তরা সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বারোয়ারি বা কমিউনিটি পূজা বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেই ধারা অব্যাহত রেখে আজও সার্বজনীন দুর্গোৎসব কেবল ধর্মীয় আচার নয়, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্তদের ঢল নামে। ধূপের ধোঁয়া, ঢাক-ঢোল, কাঁসর-মন্দিরার নিনাদ আর পুরোহিতদের মন্ত্রোচ্চারণে এক অনন্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মন্ত্রোচ্চারণে উচ্চারিত হয়—"যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা, নমস্তস্যে নমস্তস্যে নমস্তস্যে নমো নমঃ।" দেবীর আগমন ও ধর্মীয় তাৎপর্য নিয়ে তারা আরও বলেন, সনাতন বিশ্বাস অনুযায়ী, দেবী দুর্গা কৈলাস ছেড়ে এ বছর ঘোটকে (ঘোড়ায়) আগমন করেছেন। সুদর্শন পঞ্জিকা মতে, ঘোটক আগমন অস্থিরতার প্রতীক, যা সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবনে নানা অশান্তির ইঙ্গিত বহন করে। তবুও ভক্তরা বিশ্বাস করেন, মায়ের আগমনে সকল অশুভ শক্তি বিনাশ হয়ে শান্তি ও সমৃদ্ধি নেমে আসবে। এবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গাপূজার সূচনা হয়। দেবীর অধিষ্ঠান থেকে শুরু করে আরাধনা, ভক্তদের শ্রদ্ধা আর নিষ্ঠায় মণ্ডপ এক উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত হয়। ক্ষণে ক্ষণে উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাদ্যি জানিয়ে দেয় দেবীর উপস্থিতি। এছাড়াও উক্ত উৎসবের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জামান এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক এম কফিল উদ্দিন আহম্মেদ সহ স্থানীয় বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। তাঁরা পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন, আয়োজকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পূজার সার্বিক সফলতা কামনা করেন। উক্ত আয়োজনে বক্তব্যকালে তাঁরা বলেন, দুর্গাপূজা কেবল হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, এটি সার্বজনীন উৎসব। তাঁরা প্রত্যাশা ব্যক্ত করে জানান, "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" এবং এই মিলনমেলার মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও দৃঢ় হোক। মণ্ডপে নানা বয়সী নারী-পুরুষের ঢল নামে। কেউ ফুল, কেউ ফল, কেউ বা প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবীর উদ্দেশে প্রার্থনা করেছেন। অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন প্রতিমা দর্শনে। শিশুদের কোলাহল, নারীদের উলুধ্বনি আর যুবকদের ঢাকের বাদ্যি—সব মিলিয়ে উৎসবকে করেছে আরও প্রাণবন্ত। পূজা আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুর্গোৎসবের মূল দিকগুলো হলো—ভক্তি ও আরাধনা, দেবীর অধিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য, উৎসবের পরিবেশ, সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ, নবপত্রিকা ও বলিদান। শুধু আনন্দ নয়, ভক্তি ও আরাধনার মধ্য দিয়েই দুর্গোৎসব এক সার্বজনীন ও আধ্যাত্মিক উৎসবে রূপ নেয়। এখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সমানভাবে অংশগ্রহণ করে। পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ বিশ্বাস করেন, এই উৎসব সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এমএসএম / এমএসএম

ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে

উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ

হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার

ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা

গণধোলাইয়ে মারা গেলো চোর, হত্যা মামলায় ফাঁসলো নারী সাংবাদিক

আত্মনিবেদিত রাজনীতিবিদ শেখ ফজলে বারী মাসউদ

যুবদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত

গেমপ্লিফাই সফলভাবে আয়োজন করল অনসাইট স্পোর্টস কুইজ প্রতিযোগিতা

মাদক সন্ত্রাস প্রতিরোধে ঐক্যের ডাক, পরিবর্তনের অঙ্গীকার কামাল হোসেনের

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউকের জরুরি তৎপরতা