ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫

ফেনীতে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন


ওমর ফারুক photo ওমর ফারুক
প্রকাশিত: ২৩-৯-২০২১ দুপুর ৪:৩৫

ফেনীর বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী কায়সার মাহমুদ হত্যা মামলায় স্ত্রী শাহনাজ নাদিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। জেলা ও দায়রা জজ ড. জেবুন্নেসা এ রায় দেন। রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কাওসার মাহমুদের পরিবার। তারা উচ্চ আদালতে যাবেন বলে সাংবাদিকদের জানান। অপরদিকে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীও। তারা ন্যায়বিচার পাননি দাবি করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

এর আগে গত বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহম্মদ জানান, গতকাল এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। আসামীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসান কবির বেঙ্গল। গত ১৫ সেপ্টেম্বর কায়সার হত্যা মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলার দ্বিতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. কামরুল ইসলাম খান ও লাশ বহনকারী কনস্টেবল আবদুল মতিনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এ মামলার বাদী প্রফেসর আবুল খায়ের, ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। কায়সার হত্যা মামলায় ২৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রামপুর ভূঁইয়া বাড়ি সড়কস্থ নজির সওদাগর বাড়ির প্রফেসর আবুল খায়েরের ছেলে কায়সার মাহমুদের সাথে আনন্দপুর ইউনিয়নের বন্দুয়া দৌলতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে শাহনাজ নাদিয়ার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ শাহনাজ নাদিয়া কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন লতিফ টাওয়ারে তার বাবার বাসায় বেড়াতে যায়। ১১ এপ্রিল বিকেলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর জন্য কায়সারদের বাসায় আসে।

তিনি ‍আরো বলেন, কাওসারসহ নাদিয়া ডাক্তার দেখানোর জন্য বাসা থেকে বের হয়। পরে আর কাওসারের বাসায় ফেরা হয়নি। ওই দিন রাতে ফালাহিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন কবরস্থানের পাশে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাওসারকে দুর্বৃত্তরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তখন তার সাথে তার স্ত্রী নাদিয়াও ছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেও হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে ১২ এপ্রিল দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ওই দিন রাতে তার পিতা প্রফেসর আবুল খায়ের বাদী হয়ে শাহনাজ নাদিয়া ও তাদের বাড়ির মো. হারুনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আলমগীর হোসেন বাসা থেকে শাহনাজ নাদিয়াকে গ্রেফতার করে ১৩ এপ্রিল বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি নেয়। শাহনাজ নাদিয়া ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে কায়সারকে হত্যার কথা স্বীকার করে। সে কায়সারকে একাই হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আলমগীর হোসেন চাঁদপুর বদলি হওয়ায় ২০১৪ সালের ৭ জুন মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় এসআই কামরুল ইসলামকে। এ মামলার অপর আসামি বন্দুয়া দৌলতপুর গ্রামের মৃত মো. হাফেজের ছেলে মো. হারুন একই বছর আগস্ট মাসে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হারুনও নাদিয়াকে অভিযুক্ত করে ২০১৫ সালের ৩০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করে। বাদী প্রফেসর আবুল খায়ের আদালতে আপত্তি জানালে পুনঃতদন্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামরুল ইসলাম নাদিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আলতাফ হোসেন জানান, গত ২৪ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ হওয়ার তারিখ ধার্য করে আদালত। করোনার কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

এমএসএম / জামান

কুমিল্লা সীমান্তে সোয়া ১ কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ বাজি জব্দ

শান্তিগঞ্জে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সভা

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ওএমএসের চালে অনিয়ম, যৌথ বাহিনীর অভিযানে যুবদল নেতা আটক

নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে কুড়িগ্রামে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন

মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

মানিকগঞ্জে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ: গ্রেফতার ১

দাগনভূঞায় সৌদি আরবস্থ ফেনী প্রবাসী ফোরামের ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

গাজীপুরে হোটেল হ্যাঁভেনে পুলিশের অভিযানে ৮ জন আটক, গণবিক্ষোভে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

শ্রীপুরে টুরিস্ট পুলিশ কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের মতবিনিময় সভা

আক্কেলপুরে বাজার মনিটরিংয়ে ইউএনও

নবীনগর তিতাস নদীতে অজ্ঞাত ব্যাক্তির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৭ দফা দাবিতে সারাদেশে ইট বিক্রি বন্ধ ঘোষনা বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান

খালিয়াজুরীতে স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক ২