তালায় সার সংকটে আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা কৃষকের
কৃষি প্রধান এ দেশে কৃষকরা বাঁচলেই তো বাচবে দেশ। অথচ সেই কৃষকের ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সার কীটনাশক সহ সকল মালামালের মূল্য নানান অজুহতে অবলীলাক্রমেই বেড়ে চলেছে। অপরদিকে অধিক মূল্যেও চাহিদা মত মালামাল না পাওয়ার কারণে কৃষককুল আজ ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রায় দ্বারপ্রান্ত পৌঁছে গেছে। অথচ অত্যন্ত জন গুরুত্বপূর্ণ এবিষয়টি দেখার জন্য কেউ নেই। সরোজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমান চলতি আমন ধান মৌসুমে অতীব প্রয়োজনীয় ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সারের তীব্র সংকটে পড়েছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আমন ধান চাষীরা। একই সাথে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন সবজি চাষীরাও। এতে করে বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল এই ফসলের উৎপাদন নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। কারণ চলতি বছর জুড়েই বিরাজমান অতি বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে এই অঞ্চলের সবজি চাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ফলে অপ্রতুল সবজির বাজারে সাধারণ ক্রেতারা পুড়ছে দরের আগুনে। বর্তমানেও চাষের উপযুক্ত সময়েও সার না পেয়ে ক্ষেতে যেতে পারছেন না অনেক কৃষক। এলাকার কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে গিয়ে ঘুরে ঘুরে সার পাচ্ছি না। যদি কোথাও পাইও, সেখানে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। সরকারি নির্ধারিত মূল্যে সার পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলা জুড়ে ১০ হাজার ১ শত ৭৫ হেক্টর হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সার সংকটে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। সারের তেমন ঘাটতি নেই স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে এমনটি দাবি করা হলেও বাস্তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেকটাই কম। গতকাল সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে তালা উপজেলার বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র পাটকেলঘাটা বাজারে ফসফেট সার কিনতে আসা পুটিয়াখালী গ্রামের কৃষক সুমন কুমার বিশ্বাস ক্ষোভের সাথে জানান, আজ তিন দিন ধরে পাটকেলঘাটা বিভিন্ন সারের দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছি, ২০ কেজি ফসফেট সারের জন্য। অথচ এখনো এক কেজি সার ও কিনে নিয়ে জমিতে দিতে পারলাম না। সারের অভাবে এ বছর ফসল উৎপাদন করা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। আর এ ধরনের অভিযোগ তালা উপজেলার প্রায় সকল কৃষকের বলে জানা যায়। এবিষয়ে তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজীরা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তালা উপজেলায় অসংখ্য মৎস্য ঘের রয়েছে,আর এসব ঘেরের জন্য আগে এক সময় সার বরাদ্দ ছিল, বর্তমানে সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। তারপরও মাছ চাষীদের সার কেন বা ব্যবহার তো বন্ধ নেই,এবং ঘেরে বেশ সার লাগে। যে কারণে সার সরবরাহে কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সমাধানের জন্য। কৃষকদের যেন ভোগান্তিতে না পড়তে হয়, সেজন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কৃষকরা কোন সাধারন দোকান নয় ডিলারদের কাছ থেকেই সার কিনবে। এদিকে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে সারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি বস্তায় ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি নিচ্ছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ফলনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে, যার প্রভাব পড়বে খাদ্য নিরাপত্তার ওপরও।সরকার কবে নাগাদ সংকট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে, তা নিয়ে কৃষকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ বিরাজ করছে। সঠিক সময়ে সার সরবরাহ নিশ্চিত না হলে এই মৌসুমে আমন উৎপাদন মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Aminur / Aminur
ড. মোশাররফ ফাউন্ডেশন কতৃক এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
সরিষাবাড়ীতে যমুনা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধে এলাকাবাসী প্রতিবাদ, আটক -৪
গোপালগঞ্জে নবযোগদানকৃত জেলা প্রশাসকের পরিদর্শন
হানিওয়েল কারখানা বন্ধ ঘোষণা,শ্রমিকদের বিক্ষোভ
মির্জা ফখরুলকে নিয়ে কন্যার হৃদয়স্পর্শী পোস্ট
পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তীব্র ক্ষোভে উত্তাল নেছারাবাদ উপজেলা
কুমিল্লায় মনিরুল হক চৌধুরীর সমর্থনে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
ধামইরহাটে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিশুদেরকে কোরআনের ছবক প্রদান
আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩দিন পর ডোবার থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
পাবনায় রেজিস্টারদের প্রাণনাশের হুমকি! সেই শাহীনসহ ৬ দলিল লেখকের সনদ বাতিল
হালদা নদী থেকে বালুভর্তি ড্রেজার জব্দ, চালককে জরিমানা
শাল্লার কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডব,নদীভাঙনের মুখে শত শত ঘরবাড়ি