ক্ষুধার্ত জেলেদের বিজিএফ চাল গেল কারপেটে ?

ভোলার মনপুরায় ‘মা ইলিশ ধরব না, দেশের ক্ষতি করব না’ এই স্লোগানে মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত কয়েকদিন যাবত মনপুরা উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে বিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় চাল বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পেশাজীবী বহু জেলে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলেরা অভিযোগের সঙ্গে বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় প্রতিজন দরিদ্র জেলের জন্য ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে এ চাল বিতরণে অনিয়ম, পক্ষপাতিত্ব এবং স্বজনপ্রীতি হয়েছে। প্রকৃত দরিদ্র জেলেদের নামের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। যারা জেলে নন ও স্বাবলম্বী পরিবার তাদের নাম তালিকায় উঠে এসেছে। এমনকি অনেকের ছেলে ডুবাই , সৌদি আরব, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে রয়েছে। এছাড়া, অনেকে আবার অন্য পেশায়ও নিয়োজিত হয়েছেন তাদের নামও এই তালিকায় রয়েছে। তবুও তারা পাচ্ছে ভিজিএফের চাল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে অভিযোগ করে বলেন, তালিকায় জেলেদের নাম আছে, কিন্তু চালের কার্ড দেওয়ার সময় কোনো প্রকার যাচাই-বাচাই না করেই কর্মকর্তার মনগড়া জেলেদের নাম দিয়েছেন। এতে করে সরকার নির্ধারিত সহায়তা থেকে প্রকৃত ও হতদরিদ্র জেলেরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানান তারা।
পচা কোড়ালিয়া এলাকার জেলে রফিক জানান , আমি সারা বছর মাছ ধরে সংসার চালাই। এখন মাছ ধরা বন্ধ আমি চলব কীভাবে। আমার মাথায় এনজিও এবং মহাজনের দাদনের টাকার প্রেশার। তিনি আরও জানান আমি ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদে গেলে আমাকে বলতেছে চাল দেবে না। তারা মানুষ দেখে দেখে নামের তালিকা করেছে। অন্য জেলেরা যদি চাল পায় তাহলে আমারও তো চাল দরকার। আমিও তো জেলে তাহলে আমাকে কেন চাল দেবে না।
এবিষয়ে ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আরেক জেলে জানান , আমি ছোট কাল থেকে এই পেশায় আছি। আমার সংসারের একমাত্র আয়ের উৎস নদী থেকে মাছ ধরেই। তবুও আমি কেন কোনো সহায়তা পাব না। আমাদের ইউনিয়নে জেলেদের বিজিএফ চাল বিতরণ করেছে সবাই পাইছে কিন্তু আমার জেলে কার্ড থাকা সত্ত্বেও নামের তালিকায় নাম না থাকায় চাল দেই নাই।’
৫ নং কলাতলী ইউনিয়ন জেলে পয়সাল জানান , অনেক জেলেদের ছেলেরা বিভিন্ন দেশে ভালো পজিশনে আছে। তাদের নাম তালিকায় রয়েছে। অনেকে এইবার চাল নিয়েছে । কিন্তু আমরা যারা প্রকৃত জেলে আমরা কেন চাল পাবোনা, যদি তারা চাল পায়!
এ বিষয়ে ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন এর প্রশাসক নাছির এর সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন এর প্রশাসক আফসার বলেন ,আমার ইউনিয়নে প্রায় ৪ হাজার ৫ শতজন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এরমধ্যে ১৮ শত ১৬ জন জেলের মাঝে এবার সরকারি বিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়েছে। এবং আমার ইউনিয়ন এর স স ওয়ার্ড এর মেম্বারের উপস্থিতে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
৫ নং কলাতলী ইউনিয়ন এর প্রশাসক মোস্তাফিজ জানান, আমার ইউনিয়নে ১৯ শত নিবন্ধিত জেলে তার মধ্য থেকে চাল বিতরণ করা হয়েছে ১৫ শত জেলেকে। স্লিপ গুলো কাদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিভিন্ন দলের নেতাদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। সামনের মাস থেকে মেম্বারদের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
এবিষয়ে ১ নং ইউনিয়ন এর প্রশাসক মো: আবদুল্লাহ আল নোমান এর সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসার উজ্জ্বল বনিক জানান , সারাদেশব্যাপী মা ইলিশ রক্ষাতে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ক্রয়, বিক্রয়, পরিবহন, আহরণ সকল কিছু নিষিদ্ধ। এই উপজেলায় যে সকল জেলেরা ইলিশ মাছ আহরণের সঙ্গে জড়িত তাদের সরকার মাসিক ভিত্তিতে মনপুরা উপজেলার ভেতরে জেলে কার্ড অনুযায়ী তালিকার ১১৪০৩ জন জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে। যেন তারা ইলিশ মাছ আহরণ থেকে বিরত থাকে।
এমএসএম / এমএসএম

ধামইরহাটে ওয়ার্ড কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে বিএনপির কর্মসূচিতে সাংবাদিক হেনস্তার শিকার

পটুয়াখালীতে আলোচি লামিয়া ধর্ষণ ও আত্মহত্যা মামলা: তিন আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড

দোহারে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৫ উদযাপন

হাটহাজারী মডেল থানা চত্বরে পুলিশের উপর আক্রমণ করে গ্রেফতার হল শিবির নেতা

তজুমদ্দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দুইজন আটক

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ব্রিজের ব্লক নির্মাণে এলজিইডির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

মাদারীপুরের কালকিনিতে যুবককে কুপিয়ে যখম

জয়পুরহাটে ফুটবল ও সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

সিরাজদিখানে ১২৮জন গ্রাম পুলিশের মাঝে পোশাক ও সরঞ্জাম বিতরণ

ঠাকুরগাঁওয়ে সার বিক্রেতাদের লাইসেন্স স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

বগুড়ায় বিষপানে স্ত্রীর আত্মহত্যা: স্বামীসহ পরিবারের সবাই পলাতক
