মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী হয়েও প্রস্তুতি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার
নেত্রকোনার বারহাট্টায় এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থীর আগামী ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য মডেল টেস্ট পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শিক্ষা মহলে ও জনমনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম মাশরুর শারার মুনতাছিন (১২)। সে বারহাট্টা উপজেলার সাহতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত নিয়মিত ছাত্র। উপজেলার ‘ময়মনসিংহ ডহরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ থেকে ঐ ছাত্র গত বছর পঞ্চম শ্রেণি পাস করে। পরে ওই বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাসের প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করে ‘সাহতা উচ্চ বিদ্যালয়’ এ ভর্তি হয়। বর্তমানে সে ঐ উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাস করছে এবং আগামী ডিসেম্বরে ষষ্ঠ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে। অভিযোগ উঠেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনতাছিনকে এখনও ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে দেখানো হচ্ছে এবং বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ানো হচ্ছে। গত ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার মডেল টেস্টে কদলদেউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সেন্টারে সে অংশ নেয়। গতকাল মঙ্গলবার পরীক্ষা শেষ হয়। ওই সেন্টারের পরীক্ষার হাজিরা খাতায় তার নাম ও স্বাক্ষর রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত হল সুপার ও একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মামুন মিয়া। এছাড়া, গত এক বছর ধরে ময়মনসিংহ ডহরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উপবৃত্তিও গ্রহণ করেছে মুনতাছিন। জানা গেছে, শিক্ষার্থী মুনতাছিনের বাবা মো. মাজু মিয়া বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং একই ইউনিয়নের দত্তগ্রামের বাসিন্দা। পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ছেলেকে সাহতা উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করেন এবং পরে তিনি বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হন। এ ঘটনায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এবং ডহরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষক। শিক্ষকরা বলছেন, একজন মাধ্যমিক শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো শুধু অনৈতিক নয়, এটি পরীক্ষার নিয়ম ও শিক্ষা প্রশাসনের প্রতি অমান্যতার শামিল। সাহতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মুনতাছিন বর্তমানে আমাদের বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির নিয়মিত ছাত্র। তার ক্লাস রোল নম্বর-৪৪। সে গত বছর ডহরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে আমাদের স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। কুমার পাড়া হিলোচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও হল সুপার মো. মামুন মিয়া বলেন, মুনতাছিন নামের ওই ছাত্র বৃত্তি পরীক্ষার মডেল টেস্টে অংশ নিয়েছে এটা সত্য। সে অন্য একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে, আমাদের একজন শিক্ষক এসব ডকুমেন্টস বের করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিয়েছেন। আমিও বিষয়টা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। এ বিষয়ে জানতে শিক্ষার্থী মুনতাছিনের বাবা মাজু মিয়া ও ময়মনসিংহ ডহরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল মিয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউর রহমান বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে দিয়ে প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়ানো অনিয়ম। বিষয়টা শুনেছি, তবে এ বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি অবহিত করলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আজম বলেন, ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম
নড়াইলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে সড়ক অবরোধ
জুড়ীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্মৃতি কোয়াব ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
হাদি’র হত্যার প্রতিবাদে বেনাপোলে বিক্ষোভ মিছিল
শেরপুরে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: পাঁচ ভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ, জরিমানা ১৭ লাখ টাকা
চাঁদপুরে মাদকবিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু
রাঙ্গামাটিতে বিএনপি প্রার্থী দীপেন দেওয়ানের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
ওসমান হাদির মৃত্যুতে গোবিপ্রবি উপাচার্যের শোক
রাণীশংকৈলে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়
টিকটক ভিডিওকে কেন্দ্র করে গৃহবধূকে হত্যা, স্বামী আটক
হান্নান মাসউদের ৩ সমর্থককে কুপিয়ে জখম, মামলা দায়ের
সাতগাঁও হাইওয়ে থানা বাৎসরিক পরিদর্শন করেন সিলেট রিজিয়ন পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভুয়া চিকিৎসক আটক