ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

ব্রহ্মপুত্র নদেতে সেতুর দাবীতে রৌমারীতে গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত


রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি photo রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২-১১-২০২৫ দুপুর ৪:২৯

ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন রৌমারী-রাজিবপুর উপজেলা দুটিকে কুড়িগ্রাম জেলা শহরের সঙ্গে যুক্ত করতে রৌমারী- চিলমারী রুটে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর সেতু নির্মাণের দাবিতে জনমত ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার রৌমারী ফলুয়ারচর নৌ-ঘাট এলাকায় সকাল থেকে দিনব্যাপী চলে এ কর্মসূচি। এটি আয়োজন করে ব্রহ্মপুত্র সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ। জনমত ও গণস্বাক্ষরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
কুড়িগ্রামের রৌমারী টু চিলমারী ব্রহ্মপুত্র সেতু নির্মানে দেশের অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। সময় ও পথ কমে জ্বালানি তেলের আমদানি কমার পাশাপাশি দেশের পরিবেশ রক্ষায় ভারসাম্য রাখবে। ফলে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধি করতে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর একটি সেতুর নির্মাণে দাবি সর্বস্থরের মানুষের।
একটি সেতুর অভাবে মেলবন্ধন হচ্ছে না দেশের রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, চট্রগ্রাম এবং ঢাকা বিভাগসহ প্রায় ২০টি জেলার। কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী উপজেলা ঘেঁষা ব্রহ্মপুত্র নদের উপর একটি সেতু তৈরি হলে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবধান রাখবে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে ব্রহ্মপুত্র নদের সেতুটি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কষ্ট-যন্ত্রণা এবং দরিদ্রতা থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর সেতুর নির্মাণের দাবি করে আসছেন সুবিধাবঞ্চিত এ জনপদের মানুষ। জেলা শহরের সাথে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন রৌমারী-রাজিবপুর উপজেলা মানুষের দু:খ কষ্ট দীর্ঘদিনের। কয়েক লাখ মানুষের পারাপারে নৌকাই একমাত্র ভরসা। অফিস-আদালতে যাইতে পোহাতে হয় হাজারো বিড়ম্বনা। সময়-অর্থ দুটো নষ্ট হচ্ছে এই জনপদের মানুষের। বারবার দাবি উঠেছে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর একটি সেতু নির্মাণের। চিলমারী- রৌমীরী পর্যন্ত সেতুর দাবিতে আন্দোলন হয়েছে একাধিকবার । তারই ফলশ্রুতিতে কয়েক বছর পূর্বে পরিদর্শন করা হয় সেতু নির্মাণের সম্ভাবনা স্থান। এরপর থেকে মুখ থুবড়ে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র সেতু নির্মাণের অগ্রগতি। বর্তমানে কুড়িগ্রাম শহর থেকে ঢাকা-সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ যেতে হয় সিরাজগঞ্জ হয়ে যমুনা সেতু দিয়ে। ব্রহ্মপুত্র সেতু নির্মাণ হলে কুড়িগ্রাম শহর থেকে রৌমারী হয়ে জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ হয়ে সিলেটের দুরত্ব প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার এবং ঢাকার সাথে ১০০ কিলোমিটার পথ কমে আসবে। অপর দিকে গাইবান্ধার তিস্তা নদী উপর সদ্য নির্মিত মাওলানা ভাসানী সেতুটি কোন কাজে আসছে না। কিন্তু  ব্রহ্মপুত্র সেতু নির্মাণ হলে বগুড়া, জয়পুরহাট,নওগাঁ জেলার কানেক্টিভ সেতু হিসেবে কুড়িগ্রাম, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট যাতায়াত সহজ হয়ে আসবে।
সেতুর দাবীতে বক্তব্য রাখেন, ব্রহ্মপুত্র সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের এসএম মোমেন, নুর আলম খান হিরো, প্রধান সংগঠক মাজু ইব্রাহিম, মোস্তফা কামাল, মাহমুদুল হাসান মাসুদ, লিমন বাদশা, শওকত আলী মন্ডল, শফিকুল ইসলাম, আব্দুল কাইয়ুম,প্রভাষক ফরিদ উদ্দিন ও নাজমুল আলাম প্রমূখ। সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য মাজু ইব্রাহিম বলেন, এ জনমতকে কাজে লাগিয়ে সরকার প্রধানের কাছে আবেদন জানাব। এই সেতু হলে চার বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। ঢাকার সঙ্গেও দূরত্ব কমে যাবে। এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান পরিবর্তন হবে। গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অসংখ্য মানুষ স্বাক্ষর দিয়ে সেতু নির্মাণের দাবিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। স্থানীয়রা জানান, রৌমারী থেকে চিলমারী নৌপথে আসতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। বর্ষার সময় নদী উত্তাল থাকে, তখন পারাপারি ঝুঁকি থাকে। এ রুটে সেতু নির্মাণ হলে যাতায়াতে অনেক ভূমিকা রাখবে। তাই রৌমারী-চিলমারী সেতু বাস্তবায়ন দাবি জানাচ্ছি।
বক্তারা আরোও বলেন, রৌমারী থেকে কুড়িগ্রাম নৌপথে নারী যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ব্রহ্মপুত্র সেতু হলে অনেক গরীব মেধাবী শিক্ষার্থী কুড়িগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী পড়ালেখার সুযোগ পাবে।
রৌমারী-রাজিবপুর উপজেলার সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী ও আদালতে বিচার প্রার্থীদের কুড়িগ্রামে অফিসিয়াল কাজ করতে হলে একদিন আগেই আসতে হয়। কেননা নৌকা ছাড়া এ দুটি উপজেলার কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এতে করে আমাদের সময় ও অর্থ দুটোই নষ্ট হচ্ছে। অথচ এই ব্রহ্মপুত্র সেতু করা গেলে আমাদের জেলার অভূতর্পব উন্নয়ন হতো। শুধু তাই নই ঢাকার উপর চাপও কমে আসবে। কেননা কুড়িগ্রাম থেকে রৌমারী হয়ে ঢাকা থেকে দিনে গিয়ে কাজ শেষ করে মানুষ চলে আসতে পারবে। তাই বর্তমান অন্তরর্বতী সরকার অথবা আগামীতে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তারা যেন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
দীর্ঘদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মিত সেতুর দাবি জানানো হচ্ছে। এই সেতু হলে আন্তঃ দেশীয় ও আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি বাড়বে এবং আর্ন্তজাতিক ব্যবসা, বাণিজ্য এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ ঘটবে। এতে করে কুড়িগ্রামে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

এমএসএম / এমএসএম

নবীনগরে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এম. এ. মান্নানের নির্বাচনী জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত

কুমিল্লায় ইমাম–খতীব সম্মেলন রোববার,প্রধান অতিথি ধর্ম উপদেষ্টা

নন্দীগ্রামে ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া প্রতিহতের আহ্বান সাংবাদিকদের

লাকসামে জামায়াত প্রার্থী সরওয়ারের বিশাল হোন্ডা র‌্যালী

মনপুরায় সফরকালে সুধীবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেন জেলা প্রশাসক

দুমকীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি-নেত্রকোনায়-জামায়াত নেতা মতিউর রহমান আকন্দ

ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক গ্রেপ্তার

বাস-ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ৪

নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিকিৎসাধীন সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু

কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, এমডি রাব্বিক হাসানের বিরুদ্ধে শ্রমিক নেতাদের সরব অভিযোগ

খুলনা বিভাগীয় প্রেসক্লাবের মেহেরপুর জেলা শাখার কমিটি গঠন সম্পন্ন