সাতক্ষীরায় ১০ ভোটে নৌকার পরাজয়, দুই কেন্দ্রের ভোট পুনঃগণনার দাবি

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ৯নং খলিষথালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪নং কৈখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট পুনঃগণনাসহ বাতিলকৃত ৩২৭ ভোট পুনঃনিরীক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত গেটেজ স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাফ্ফর রহমান। এ দাবিতে জেলা প্রশাসক, উপজেলা বিটার্নিং অফিসারসহ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ২০ সেপ্টম্বর ভোটের দিন ভোট গ্রহন শেষে ৮টি কেন্দ্রের ফলাফল সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে প্রকাশ করা হয়। ফলাফলে নৌকার প্রার্থী মোজাফ্ফর রহমান এগিয়ে থাকেন। এরই মধ্যে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৪নং কৈখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ফলাফল বন্ধ রাখা হয়। ওই কেন্দ্রে শান্তিপূর্নভাবে ভোটগ্রহণের পর প্রিসাইটিং অফিসার ভোটের বাক্সগুলি একটি রুমে নিয়ে যান। সেখানে ওয়ার্কার্স পার্টির কয়েকজন সশস্ত্র ক্যাডার ওই রুমে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় নৌকার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। ৮টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়ার পর কৈখালী ভোট কেন্দ্রের ফলাফল না পাওয়ায় নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাফ্ফর রহমান রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেখানে পৌঁছান। কিন্ত কেন্দ্রের গেটে সশস্ত্র অবস্থায় পাহারায় থাকা রাজু সরদার, খলিল সরদার, আজিজ মোড়ল, সুলতান সরদারসহ হাতুড়ি মার্কার সশস্ত্র ক্যাডাররা নৌকার প্রার্থী মোজাফ্ফর রহমানকে সেখানে বাধা দেন।
ফলাফল দিতে বলম্ব হচ্ছে কেন- বিষয়টি নিয়ে প্রিসাইটিং অফিসাসের সাথে কথা বলার চেষ্ট করেও নৌকার প্রার্থী ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে হাতুড়ি মার্কার ক্যাডাররা নৌকার কর্মীদের ওপর হামলা শুরু করে। এ সময় রণজিৎ নামে নৌকার এক কর্মী মারাত্মক আহত হন। তাকে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এর এক ঘণ্টা পর কেন্দ্রের ভেতর থেকে প্রিসাইটিং অসিসারসহ হাতুড়ি মার্কার পক্ষে থাকা ক্যাডাররা ব্যালট কেটে হাতুড়ি মার্কাার ভোট বেশি দেখিয়ে রাত ৯টার দিকে একটি রেজল্ট শিট রেডি করে ওই ক্যাডারদের নিয়ে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান। ওই রেজান্ট শিটে নৌকার এজেন্টদের কোনো স্বাক্ষর নেই।
অভিযোগ উঠেছে, ভোট গ্রহণের শুরুতেই প্রিসাইডিং অফিসার সকল এজেন্টকে ফলাফল শিটে আগে থেকে জোর করে আরেক ফরমে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। স্থানীয় ওয়ার্কার্স পার্টির দলীয় সংসদ সদস্যের প্রভাবে প্রিসাইডিং অফিসারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে একপ্রকার ব্যধ্য হন।
নৌকার প্রার্থী মোজাফ্ফর রহমান অভিযোগ করেন, সন্ধার আগেই ০৮টি কেন্দ্রের ফলাফলে আমি মোট ৫৪৩২ ভোট পেয়ে ১৪২ ভোটে এগিয়েছিলাম। কিন্ত পরবর্তীতে রাত ৮টার দিকে ০৬ নং কাশিয়াডাঙ্গা কেন্দ্রে ফলাফল পরিবর্তন করে নৌকা প্রতীকের ১১৭২ ভোট এরপরিবর্তে ১১০২ ভোট এবং হাতুড়ি প্রতীকে ৭০২ ভোট এরপরিবর্তে ৭৭২ ভোট দেখানো হয়। এই কেন্দ্রের প্রথম প্রকাশিত ভোট গণনার বিবরণী শিটে নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্টের স্বাক্ষর থাকলেও পরবর্তীতে প্রকাশিত ভোট গণনার বিবরণী শিটে নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্টের কোনো স্বাক্ষর নেই। এখানে মোট ১৪০ ভোটের গরমিল পাওয়া যায়।
অপরদিকে ৪নং কৈখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ শেষে প্রিজাইডিং অফিসার নৌকা ও আনারস প্রতীকের সকল পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেন এবং হাতুড়ি প্রতীকের পোলিং এজেন্ট ও বেশকিছু নেতা-কর্মী সহব্যালট বক্স নিয়ে পাশের একটি রুমে প্রবেশ করে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ রাখেন। এ সময় ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকের ১০০-১৫০ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কেন্দ্রটি ঘিরে রাখে।
যেখানে বাকি কেন্দ্রগুলোর ফলাফল সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৭.৩০ মিনিটের ভেতরে প্রকাশ করা হয়, সেখানে মাত্র ১৭৩৭ টি ভোট গণনা করতে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা সময় নিয়ে রাত ৯.৩০ মিনিট ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। উক্ত সময়ের মধ্যে হাতুড়ি প্রতীককে পরিকল্পিত ভাবে বিজয়ী করার লক্ষ্যে নৌকা প্রতীকের কিছু ভোটকে বাতিল এবং অনুপস্থিত ভোটারদের ব্যালট ব্যবহার করে হাতুড়ি প্রতীকের সিল মেরে ব্যালট বাক্সে প্রবেশ করানো হয়। খবর পেয়ে আমি ঐ কেন্দ্রে গেলে হাতুড়ি প্রতীকের সন্ত্রসীরা আমাকে গালিগালাজ করে এবং ধাক্কাধাক্কি করে উক্ত স্থান থেকে বের করে দেয় এবং আমার কর্মীদের উপরে হামলা করে। এখানে আরও উল্লেখ থাকে যে, এই কে›েন্দ্র ভোট গণনা শীটেও নৌকা প্রতীকে পোলিং এজেন্টদের কোনো স্বাক্ষর নাই। কেন্দ্রের শীটে মোট গণনা অনুযায়ী ১৩ ভোট কিন্ত নির্বাচন কমিশন অফিসের গণনা অনুযায়ী ১০ ভোটে নৌকা প্রতীকের পরাজয় দেখানো হয়েছে। উক্ত হিসাবেও ০৩ ভোট গরমিল দেখা যায়।
হাতুড়ি প্রতিকের প্রাথীকে জেতাতে ভোট কেন্দ্রে দায়িত্প্রাপ্ত কর্মকর্তারা নানান ধরনের অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। এজন্য সকল কেন্দ্রের ব্যালট পেপার মুড়ি বইসহ ৪নং কৈখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ০৬ নং কাশিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কে›ন্দ্র দুটির ভোট পুনঃগণনা এবং সর্বমোট ৩২৭ টি বাতিলকৃত ভোট পুনঃনিরীক্ষণের জন্য নির্বাচন সংক্রান্ত সকল দপ্তরে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
এদিকে ভোটের পর থেকে হাতুড়ি লোকজনসহ বিএনপি ক্যাডাররা নৌকার কর্মীসমর্থকদের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাচ্ছে। সংখ্যালঘু গ্রাম গুলিতে ক্যাডাররা মহাড়া দিচ্ছে। বাগমারা গ্রামের নৌকার কর্মী আবুল কালামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় নাশকতা মামলার আসমীরা হাতুড়ির সমর্থক হওয়ায় তারা নৌকার কর্মী আবুল কালামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখন তালা মেরে দিয়ে তাকে খুজে বেড়াচ্ছেন।
কাশিয়াডাঙ্গা নৌকার কর্মী আওয়ামী লীগ নেতা অশোক লাহিড়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে দখল করে নিয়েছেন হাতুড়ি মার্কার লোকজন। হাতুড়ি মার্কার ক্যাডারদের আতংকে অনেক গ্রামে নৌকার কর্মীরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
পাটকেলঘাটা থানার ওসি নাজমুল হুদা জানান, কাদিকাটিতে গ্রামপুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আইনশৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ চেষ্টা করছে। তিনি জানান, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / জামান

রাজবাড়ীতে বাড়ি থেকে মাকে বের করে দিল ছেলে-পুত্রবধূ!

ডাকসুর নির্বাচনে শামসুন্নাহার হলের জিএস নির্বাচিত হয়েছেন নরসিংদীর সামিয়া

জুড়ীতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

জয়পুরহাটে কারাতে প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান

বাকেরগঞ্জে দূর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে ১৬০০ কেজি পলিথিন জব্দ

মাতৃভূমি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে বিজ্ঞান উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিজিবির অভিযান, সাত দিনে ২ কোটি ১১ লাখ টাকার মাদকসহ অবৈধ মালামাল জব্দ

ঢাকা ভাংঙা এক্সপ্রেসওয়েতে ২য় দিনের মতো যানবাহন চলাচল বন্ধ, বিকল্প পথে সড়কে বেড়েছে যানজট

চিতলমারীতে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল: সড়ক অবরোধে অচল জনজীবন

রায়পুরে নিরক্ষরদের হাতে কলম তুলে দিল শিবির

ঠাকুরগাঁওয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রামদাড়া সেতুতে জীবন বিপন্নের আশংকা
