ঢাকা শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫

গাজায় যুদ্ধ বিরতি নাকি পশ্চিমাদের যুদ্ধের কৌশল


রায়হান আহমেদ তপাদার  photo রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশিত: ৮-১২-২০২৫ দুপুর ১১:৪৭

দখলদার ইসরাইলের ধারাবাহিক হামলার জেরে পর্যদুস্ত হয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনিদের জনজীবন। দুই বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধে ও পশ্চিম তীরে ইহুদিদের জোরজবরদস্তিতে অর্থনীতির চরম সংকটে পড়েছে ফিলিস্তিন। জাতিসংঘ বলছে, এটি দেশটির বহু দশকের অর্জন করা উন্নয়নকে মুছে দিয়েছে। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনসিটি এডি) জানিয়েছে, ২০২৪ সালে পশ্চিম তীর ও গাজার অর্থনীতি ২০২২ সালের তুলনায় ৩০% কমে গেছে। এটি ১৯৭২ সালে তথ্য সংগ্রহ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বড় পতন। এটি ২০০০ সালের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার মন্দার থেকেও বড়। বর্তমান অবস্থা থেকে ফিরতে ফিলিস্তিনের কয়েক দশক সময় লেগে যেতে পারে। ইউএনসিটিএডি-এর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল পেড্রো মানুয়েল মোরেনো বলেছেন, ‘আজ যা দেখছি তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। দীর্ঘস্থায়ী সামরিক অভিযান এবং দীর্ঘমেয়াদী সীমাবদ্ধতার সংমিশ্রণ ফিলিস্তিনি অর্থনীতিকে রেকর্ড বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার এক জনের আয় ২০০৩ সালের স্তরে ফিরে এসেছে। এটি ২২ বছরের উন্নয়ন অগ্রগতি মুছে দিয়েছে। গাজা পুনরায় স্বাভাবিক উৎপাদনে আসতে কয়েক দশক সময় নেবে। এমনকি দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল থাকবে।ইউএনসিটিএডি -এর অর্থনীতিবিদ রামি আল আজ্জেহ বলেছেন, ‘যুদ্ধের আগে গাজা যা উৎপাদন করত, তার চেয়ে বেশি উৎপাদন করতে এবং সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার করতে এতে দশক সময় লাগবে। যদি সব শর্ত ঠিক থাকে। বর্তমানে গাজায় একজনের বার্ষিক জিডিপি মাত্র ১৬১ ডলার, দিনে প্রায় ৪৪ সেন্ট। যা বর্তমান বিশ্বের সর্বনিম্ন। ফিলিস্তিন সরকারের অধীনে থাকা পশ্চিম তীরের অর্থনীতি সবচেয়ে মারাত্মক মন্দার মধ্যে রয়েছে। চলাচল ও প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধতা এবং অর্থনৈতিক সুযোগ হারানোর ফলে কৃষকরা তাদের ফসল ও পশুপাখি দেখতে পাচ্ছেন না।
ইউএনসিটিএডি-এর মুখপাত্র মুতাসিম এলগ্রা বলেছেন, ‘অনেক কারণে ফিলিস্তিনি অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সবকিছু মিলিয়ে অর্থনৈতিক সমস্যাকে আরও গভীর করছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবসকে কেন্দ্র করে ইউরোপের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়। যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকায় এই বিক্ষোভ হলো। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এ পর্যন্ত উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।২৯ নভেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে প্রধান সড়কগুলোতে আনুমানিক ৫০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিক্ষোভকারীরা ‘গাজা, গাজা; প্যারিস তোমার সঙ্গে আছে’ এবং ‘প্যারিস থেকে গাজা, প্রতিরোধ’ স্লোগান দেন। তাঁরা ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে ইসরায়েলি জাতিহত্যার নিন্দা জানান। বিক্ষোভকারীর অনেকেই বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারি, এটি খারাপ। কিন্তু ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরা কেন এটি বুঝতে পারেন না?’ ফ্রান্স প্যালেস্টাইন সলিডারিটি অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অ্যান তুয়াইলোঁ বলেন, গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সাত সপ্তাহ পরেও কোনো কিছুরই সমাধান হয়নি। প্রায় ৮০টি বেসরকারি সংস্থা, ইউনিয়ন ও রাজনৈতিক দল এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। এগুলোর একটি ফ্রান্স প্যালেস্টাইন সলিডারিটি অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির প্রধান তুয়াইলোঁ যুদ্ধবিরতিকে ‘শুভংকরের ফাঁকি’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল প্রতিদিনই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। মানবিক সহায়তা আটকে দিচ্ছে। যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে বিক্ষোভের আয়োজকেরা জানিয়েছেন, প্রায় এক লাখ মানুষ এই প্রতিবাদী কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি অপরাধের জবাবদিহি দাবি করেন। অবরুদ্ধ গাজার ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষার দাবি জানান। ইতালিতে গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে গণবিক্ষোভ হয়। 
পাশাপাশি ইউনিয়নের নেতাদের নেতৃত্বে ধর্মঘটসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়। দেশটির রাজধানী রোমে অনুষ্ঠিত মূল বিক্ষোভ সমাবেশে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড-বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র‍িপোর্টার ফ্রানচেসকা আলবানিজ ও জলবায়ু অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ অংশ নেন। আলবানিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, ইসরায়েল শুধু গাজায় নয়, অধিকৃত পশ্চিম তীরেও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিহত্যা চালাচ্ছে। এ ছাড়া জেনেভা, লিসবনসহ ইউরোপের অন্যান্য শহরেও বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকাটিতে ৩৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৮৯ জন। এই সময়ে ইসরায়েল প্রায় ৫০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেছেন, এত বিপুলসংখ্যক বেসামরিক মানুষকে হত্যা, পুরো জনগোষ্ঠীকে বারবার বাস্তুচ্যুত করা, মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সতর্ক করে বলেছে, ঘোষিত যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজায় এখনো জাতিহত্যা চালাচ্ছে। নতুন করে হামলা করছে। গুরুত্বপূর্ণ ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই বছরে ইসরাইল যেভাবে গ্রেফতার, জিজ্ঞাসাবাদ ও আটক প্রক্রিয়া চালিয়েছে, তা মিলিয়ে দেখলে বোঝা যায় দেশটিতে সংঘটিত ও ব্যাপক নির্যাতন যেন কার্যত রাষ্ট্রীয় নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেদনে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর যুদ্ধাপরাধের দায়মুক্তি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কমিটি বলেছে, তারা এমন বহু অভিযোগ পেয়েছে যেখানে বারবার মারধর, কুকুর দিয়ে আক্রমণ করানো, বৈদ্যুতিক শক, ওয়াটারবোর্ডিং, দীর্ঘ সময় চাপযুক্ত অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা এবং যৌন সহিংসতার মতো নির্যাতন নিয়মিত ঘটছে। 
মার্কিন সময়ে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি জাতিসংঘ নির্যাতনবিরোধী কনভেনশনের আওতায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিয়মিত পর্যবেক্ষণের অংশ। এতে বলা হয়, ফিলিস্তিনি বন্দিদের প্রায়ই প্রাণীর মতো আচরণ করতে বাধ্য করা হয়েছে, কারও ওপর প্রস্রাব করা হয়েছে, নিয়মিতভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত করা হয়েছে, আর অতিরিক্ত শেকল ব্যবহারের কারণে অনেকের অঙ্গচ্ছেদ পর্যন্ত হয়েছে। কমিটি আরও জানিয়েছে, ইসরাইলের ‘আন-ল-ফুল কমব্যাট্যান্টস ল’ নামের আইন ব্যবহার করে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পুরুষ, নারী ও শিশুকে বিচার ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে আটকে রাখা হচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থা বিটসেলেমের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুধু সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদই ৩ হাজার ৪৭৪ জন ফিলিস্তিনি বিচার ছাড়া অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিটেনশনে ছিলেন। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দুই বছরের সময়কাল ধরে করা এই মূল্যায়নে বলা হয়, অস্বাভাবিক সংখ্যক শিশু বর্তমানে অভিযোগ ছাড়া বা রিমান্ডে আটক রয়েছে। ইসরাইলে ফৌজদারি দায়ের বয়সসীমা ১২ হলেও, তারচেয়েও কম বয়সি শিশুদেরও আটক করা হয়েছে। যেসব শিশুকে নিরাপত্তা বন্দি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে, তাদের পরিবার-যোগাযোগ কঠোরভাবে সীমিত, কেউ কেউ একাকী সেলে থাকে, আর অনেকেই নিয়মিত শিক্ষার সুযোগ পায় না-যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের স্পষ্ট লঙ্ঘন। কমিটি ইসরাইলকে শিশুদের ক্ষেত্রে একাকী আটক নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। কমিটির ভাষ্য অনুযায়ী, অধিকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে ইসরাইলের নিত্যদিনের নীতি ও আচরণসমষ্টি মিলে যে চিত্র তৈরি হয়, তা অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতনের শামিল হতে পারে। এমন অবস্থায় ফিলিস্তিনের বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় উচ্চ মাত্রার অপুষ্টি শিশুদের জীবন ও সুস্থতার জন্য বিপন্ন করে তুলছে। ইউনিসেফ সতর্ক করে বলেছে, শহরটিতে পাঁচ বছরের কম বয়সি প্রায় ৯ হাজার ৩০০ শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। 
জাতিসংঘের সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উচ্চমাত্রার অপুষ্টি শিশুদের জীবন ও সুস্থতার জন্য বিপন্ন করে তুলছে, শীতের আবহাওয়ার সূত্রপাত রোগের বিস্তারকে ত্বরান্বিত করছে এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল বলেন, অগ্রগতি সত্ত্বেও গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সি হাজার হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে এবং আরও অনেকেরই যথাযথ আশ্রয়, স্যানিটেশন ও শীতের বিরুদ্ধে সুরক্ষার অভাব রয়েছে। তিনি বলেন, গাজায় এখনও অনেক শিশু ক্ষুধা, অসুস্থতা এবং ঠান্ডা তাপমাত্রার সংস্পর্শে রয়েছে। এগুলো তাদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এই শিশুদের রক্ষা করার জন্য প্রতিটি মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যে ইসরায়েলের হামলা বিশ্ববাসীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আইন বা চুক্তিতে হামলা, নির্যাতন বন্ধের কথা বলা হলেও বাস্তবে এসব অপরাধ তারা কার্যকর রেখেছে। এ নিয়ে জাতিসংঘের নির্যাতন বিষয়ক কমিটি বলেছে, ইসরায়েল গাজাবাসীর ওপর নির্যাতন আইনগভাবে  নীতি নিয়েছে। এই অপরাধের স্পষ্ট প্রমাণও রয়েছে। বিবিসি জানায়, জাতিসংঘের এই কমিটি নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। কীভাবে বিভিন্ন দেশে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে তা নিয়মিত রেকর্ড ও পর্যালোচনা করা হয়। ইসরায়েলের ব্যাপারে পর্যালোচনায় ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মানবাধিকার গোষ্ঠী ইসরায়েলি আটক কেন্দ্রে নির্যাতনের ভয়াবহ বিবরণ তুলে ধরেছে। জাতিসংঘ কমিটিতে অভিযোগ উঠেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে। জাতিসংঘ কমিটির মতে, প্রশাসনিক আটক কিংবা বেআইনি যোদ্ধা বা সন্দেহভাজনদের যুদ্ধবন্দি হিসেবে ধরা যায় না। 
তবে ইসরায়েল আইনজীবীসহ অন্যান্য পেশাজীবীকে ধরে নিয়ে বন্দি করছে। এই আটক মূলত জোরপূর্বক অন্তর্ধান। কমিটির অভিযোগ, ইসরায়েল ফিলিস্তিনি শিশু, গর্ভবতী নারী ও বয়স্কদের আটকে বেআইনি যুদ্ধ আইন ব্যবহার করছে। আটকদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হচ্ছে। প্রমাণ হিসেবে জাতিসংঘ কমিটি উল্লেখ করেছে, ফিলিস্তিনিদের নিয়মিতভাবে খাবার ও পানি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাদের ওপর প্রচণ্ড মারধর করা হচ্ছে। এসব বন্দিদের ওপর কুকুরের আক্রমণ, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, পানি সরবরাহ বন্ধ এবং যৌন সহিংসতার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হতে বাধ্য করা হচ্ছে। কিছু বন্দিকে স্থায়ীভাবে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। অনেককে আবার টয়লেটে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি এবং ডায়াপার পরতে বাধ্য করা হয়েছে। জাতিসংঘ কমিটি মনে করে, এই ধরনের আচরণ মানবতাবিরোধী অপরাধ। একইভাবে ডি-ফ্যাক্টো নীতিতে গণহত্যাও চালানো হচ্ছে।
লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক, যুক্তরাজ্য 

Aminur / Aminur