বগুড়া-৫ শেরপুর-ধুনটে কে হচ্ছেন আট দলের প্রার্থী
বগুড়া–৫ (শেরপুর–ধুনট) আসনটি এবার জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জন্য শুধু একটি নির্বাচনী এলাকা নয়, বরং আট দলের আসন সমঝোতার সক্ষমতা ও বাস্তবতা যাচাইয়ের বড় পরীক্ষাকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। একদিকে জামায়াতের প্রার্থী আলহাজ্ব মো. দবিবুর রহমান মাঠপর্যায়ে দৃশ্যমান প্রচারণায় এগিয়ে আছেন, অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী প্রভাষক মীর মাহমুদুর রহমান চুন্নু দাবি করছেন—এই আসনটি আট দলের পক্ষ থেকে তাকে দেওয়ার বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের সবুজ সংকেত মিলেছে। এই দুই অবস্থানের প্রেক্ষাপটেই আসনটি ঘিরে আট দলের মধ্যে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয় পেলেও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. মকবুল হোসেন পেয়েছিলেন মাত্র ১,২৩৫ ভোট। যা স্পষ্ট করে দেয়—দলটি ঐতিহাসিকভাবে এই আসনে শক্ত ভোটব্যাংক গড়ে তুলতে পারেনি। যদিও সময়ের ব্যবধানে দলটির কর্মী ও সমর্থকের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। তবে সরাসরি বিজয়ী হওয়ার মতো অবস্থানে কখনোই ছিল না। অর্থাৎ দুই দলের কেউই এককভাবে এখানে বিজয়ী হওয়ার মতো শক্ত অবস্থানে নেই। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে আওয়ামীলীগ না থাকা আর বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে জামায়াত আসনটিতে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী।
মাঠ পর্যায়ে সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আট দলের দুই প্রার্থীর মধ্যে জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা মো. দবিবুর রহমান তুলনামূলক এগিয়ে আছেন। তিনি শুধু দলীয় কর্মীদের মধ্যে নয়, স্থানীয় সামাজিক ও ধর্মীয় পরিমণ্ডলেও সক্রিয় উপস্থিতি দেখাতে পেরেছেন। মাঠে তার প্রচারণা দৃশ্যমান হওয়ায় সাধারণ ভোটারের মধ্যেও তিনি পরিচিত মুখ হয়ে উঠছেন। এছাড়াও শেরপুরে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচীতে বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে মিছিল-মিটিং-শোডাউন করে জনমনে একটা প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছেন।
অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী চুন্নুর বড় শক্তি হলো ‘আট দলের মনোনয়ন’ পাওয়ার দাবি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কেবল কেন্দ্রীয় সবুজ সংকেত ভোটের মাঠে তেমন প্রভাব ফেলে না। ইসলামী আন্দোলনের সাংগঠনিক শক্তি এই আসনে সীমিত, আর অতীত ভোটের পরিসংখ্যানও সেই দুর্বলতার দিকেই ইঙ্গিত করে। ফলে তাকে মনোনয়ন দিলে আট দলকে জামায়াতের সংগঠিত ভোট ও মাঠপর্যায়ের কর্মীসমর্থন পুরোপুরি সক্রিয় রাখতে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।
আট দলের লাভ–লোকসানের প্রশ্নে তাই হিসাবটা স্পষ্ট। যদি লক্ষ্য হয় সম্মানজনক ভোট পাওয়া এবং রাজনৈতিক উপস্থিতি জানান দেওয়া, তাহলে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী দিয়ে পরীক্ষামূলক রাজনীতি করা যায়। কিন্তু যদি লক্ষ্য হয় বাস্তব অর্থে বিজয়ের কাছাকাছি যাওয়া বা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা, তাহলে মাঠে এগিয়ে থাকা, পরিচিত এবং সংগঠিত কর্মীবাহিনী রয়েছে—এমন ব্যক্তিকে প্রার্থী করাই হবে যৌক্তিক।
সেই বিবেচনায় জামায়াতের প্রার্থী দবিবুর রহমানই তুলনামূলকভাবে আট দলের জন্য নিরাপদ বিকল্প বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনীতি পর্যবেক্ষকরা। তবে ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের দাবী, যদি জোটগতভাবে ভোট হয়, তাহলে জামায়াতের ভোটতো আর অন্য কোথাও পড়ছে না। সুতরাং শেরপুর-ধুনটে জামায়াতের শক্ত অবস্থান থাকলেও, সেটা আটদলের জন্য পজিটিভ কিছুই বয়ে আনবে।
যদিও স্থানীয় রাজনীতি বিশ্লেষকদরে মতে, বগুড়া-৫ আসনে বিএনপির শক্ত প্রার্থী জিএম সিরাজ। যিনি বারবার নির্বাচিত হয়ে এলাকার বহুবিধ উন্নয়ন করেছেন। আর্থিকসহ অন্যান্য সবদিক বিবেচনায় তিনি একজন হেভিওয়েট প্রার্থী। তাঁর বিপরীতে শুধু সমঝোতার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় বোর্ডরুমে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে তার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ভোটের মাঠে গিয়ে পড়বে। আর যদি ভোটের বাস্তবতা, অতীত ফলাফল ও বর্তমান প্রচারণার গতি বিবেচনায় নেওয়া হয়, তাহলে আট দলের জন্য লাভজনক সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এমএসএম / এমএসএম
জয়পুরহাটে এফএনবি এর পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ
উপকার করলে থাকে না পিঠের ছাল, বাস্তব প্রতিচ্ছবি অর্জুন গাছ
মহান বিজয় দিবসে আনোয়ারা প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন
লাকসামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী’র উদ্যোগে বিজয় দিবসে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
মনপুরায় চরে চরে চর ঘেরা জালের বিচরণ নেই মৎস্য অফিসের কার্যকর তদারকি
নালিতাবাড়ীতে মাদ্রাসায় নেই বিজ্ঞান শাখা, তবুও কম্পিউটার ল্যাব এসিস্ট্যান্ড ও সহকারী নিয়োগ
বগুড়া-৫ শেরপুর-ধুনটে কে হচ্ছেন আট দলের প্রার্থী
মাগুরায় রাজাকার ঘৃণা স্তম্ভে জুতা–স্যান্ডেল ও থুতু নিক্ষেপ,
মহান বিজয় দিবসে ইছানগর যুব সংঘের ফ্রি খতনা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
বিরামপুরে কারিতাসের এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত
মান্দায় বাসের চাপায় কারারক্ষী নিহত
রূপালী ব্যাংক আলফাডাঙ্গা শাখায় রাত ৮টায় উড়তে দেখা গেছে জাতীয় পতাকা