বাংলাদেশে শিক্ষা ও ক্যারিয়ার নির্বাচন: বাস্তবতা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়
বাংলাদেশ-এ শিক্ষা ও ক্যারিয়ার নির্বাচন দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক রীতি, পারিবারিক প্রত্যাশা এবং পরীক্ষাভিত্তিক সাফল্যের ধারণার দ্বারা প্রভাবিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর আগ্রহ, দক্ষতা ও ব্যক্তিত্বের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় ভালো ফল, নামী প্রতিষ্ঠান এবং তথাকথিত “নিরাপদ” পেশা। এর ফলে শিক্ষা ও বাস্তব কর্মজীবনের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট ব্যবধান তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মূলত মুখস্থনির্ভর ও পরীক্ষাকেন্দ্রিক। ভালো ফল করাকে ভবিষ্যৎ সাফল্যের নিশ্চয়তা হিসেবে ধরা হয়। তাই বিজ্ঞান বিভাগ, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং বা সরকারি চাকরি—বিশেষ করে বিসিএস—এই কয়েকটি পথই সামাজিকভাবে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য। অনেক শিক্ষার্থী নিজের প্রকৃত আগ্রহ বা সক্ষমতা না বুঝেই এসব বিষয়ে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে বিষয়ভিত্তিক অস্বস্তি, মানসিক চাপ, পড়াশোনায় অনীহা এবং এমনকি ক্যারিয়ার পরিবর্তনের প্রবণতা দেখা যায়।
আরেকটি বড় সমস্যা হলো প্রাতিষ্ঠানিক ক্যারিয়ার গাইডেন্সের অভাব। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরিকল্পিত ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। ফলে তারা অভিভাবক, আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধবের পরামর্শের ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেয়, যা অনেক সময় বর্তমান শ্রমবাজারের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না। অথচ বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি, ফিনটেক, ডেটা অ্যানালিটিক্স, ডিজিটাল মার্কেটিং, সাপ্লাই চেইন, গবেষণা, শিক্ষা প্রযুক্তি এবং সৃজনশীল শিল্পের মতো বহু নতুন ও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র দ্রুত বিকশিত হচ্ছে।
শিক্ষা ও ক্যারিয়ারের ব্যবধানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো পাঠ্যক্রম ও কর্মবাজারের চাহিদার অসামঞ্জস্য। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জনের পরও অনেক গ্র্যাজুয়েট ব্যবহারিক দক্ষতা, যোগাযোগ সক্ষমতা, সমস্যা সমাধান ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাবে চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ে। শিল্প-একাডেমিয়া সংযোগ দুর্বল হওয়ায় ইন্টার্নশিপ, বাস্তব প্রকল্প ও হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের সুযোগ সীমিত থাকে।
তবে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিতও রয়েছে। কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা, ইন্ডাস্ট্রি-লিঙ্কড কারিকুলাম এবং ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং চালু করছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ফ্রিল্যান্সিং, উদ্যোক্তা হওয়া এবং বৈশ্বিক কর্মবাজারে কাজ করার আগ্রহ বাড়ছে।
ভবিষ্যতে এই ব্যবধান কমাতে হলে মাধ্যমিক স্তর থেকেই কাঠামোবদ্ধ ক্যারিয়ার গাইডেন্স চালু করা, পাঠ্যক্রমকে সময়োপযোগী ও দক্ষতাভিত্তিক করা, শিল্প-একাডেমিয়া সহযোগিতা বাড়ানো এবং সর্বোপরি অভিভাবকদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। তবেই শিক্ষা হবে ক্যারিয়ারমুখী, আর তরুণ সমাজ নিজের আগ্রহ ও সক্ষমতা অনুযায়ী সঠিক পথ বেছে নিতে পারবে।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ কীভাবে শিক্ষা ও ক্যারিয়ারের ব্যবধান কমাতে সহায়তা করছে
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষার সঙ্গে বাস্তব কর্মজীবনের সংযোগের অভাব। Asian University of Bangladesh এই ব্যবধান কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে শিক্ষাকে ক্যারিয়ারমুখী করে তোলার মাধ্যমে।
১. ক্যারিয়ারভিত্তিক একাডেমিক প্রোগ্রাম
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ তাদের একাডেমিক প্রোগ্রামগুলো এমনভাবে সাজিয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করতে পারে। ব্যবসা, ফাইন্যান্স, আইটি ও সামাজিক বিজ্ঞানভিত্তিক কোর্সগুলো কর্মবাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
২. ব্যবহারিক দক্ষতা উন্নয়ন
শুধু পাঠ্যবই নির্ভর শিক্ষার পরিবর্তে উপস্থাপনা, কেস স্টাডি, গ্রুপ ওয়ার্ক এবং গবেষণাভিত্তিক অ্যাসাইনমেন্টের ওপর জোর দেওয়া হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ দক্ষতা, নেতৃত্বগুণ, বিশ্লেষণী ক্ষমতা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
৩. ইন্টার্নশিপ ও শিল্পখাতের সংযোগ
বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে। বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, এনজিও ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তব কর্মপরিবেশ সম্পর্কে ধারণা লাভ করে, যা তাদের সঠিক ক্যারিয়ার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
৪. ক্যারিয়ার গাইডেন্স ও শিক্ষক মেন্টরশিপ
অভিজ্ঞ শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা, উচ্চশিক্ষা ও পেশাগত উন্নয়ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। পাশাপাশি সেমিনার, কর্মশালা ও গেস্ট লেকচারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পেশার বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারে।
৫. উচ্চশিক্ষা ও আজীবন শিক্ষার প্রস্তুতি
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ গবেষণা, একাডেমিক লেখা ও বিশ্লেষণী চিন্তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের দেশ-বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত করে।
উপসংহার
শিক্ষা, দক্ষতা, ক্যারিয়ার গাইডেন্স ও বাস্তব অভিজ্ঞতার সমন্বয়ের মাধ্যমে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ শিক্ষা ও ক্যারিয়ারের মধ্যকার ব্যবধান কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের আগ্রহ ও যোগ্যতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ টেকসই ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে।
Aminur / Aminur
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
*নিজ উদ্যোগে ড্রোন উদ্ভাবনে অনন্য আনসার সদস্য আবুল হোসেন, মিলছে মহাপরিচালকের পৃষ্ঠপোষকতা*
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২; চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ১ জন আটক
যশোরে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ বিষয়ক আইএফআইসি ব্যাংক এর দিনব্যাপী আয়োজন
অর্থনীতিতে অবদান রাখায় সিআইপি অ্যাওয়ার্ড পেলেন ফেনীর সোহেল ভূঁইয়া
"ইয়ার এন্ড সেলস- নিউ ইয়ার অফার" ক্যাম্পেইন এর আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করলো সনি-র্যাংগস"
অ্যারিস্টো সিরিজ এসডিবি বক্স বাজারে আনল এনার্জিপ্যাক ইলেক্ট্রনিকস লিমিটেড
ইউজিসি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নাজমুল, সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন
গো উইথ আশরাফুল আলম পেলেন পরিবেশ উদ্ভাবনী পদক
বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা স্পেশালাইজড হাসপাতালের বিশেষ ছাড়ে সুন্নতে খতনা ক্যাম্প
ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি এবং হেগুয়াং ইলেকট্রনিক ডিস্ট্রিবিউশন কো. লিমিটেড (OPPO বাংলাদেশ) এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর
টানা দ্বিতীয়বারের মতো দেশের নাম্বার ওয়ান মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেল শাওমি