মুকসুদপুরে খ্রিস্টান ধর্মের বড়দিন শান্তিপূর্ণ ভাবে উদযাপন উপলক্ষে প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় খ্রিস্টান ধর্মের প্রায় ১০ হাজার মানুষ ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালন করছেন। বড়দিন শান্তিপূর্ণ ভাবে উদযাপন উপলক্ষে মুকসুদপুর প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর ১টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে মুকসুদপুর উপজেলা গঠিত। এই উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়ন,কাশালিয়া ইউনিয়ন ও ননিক্ষীর ইউনিয়ন মোট ৩টি ইউনিয়নে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করে থাকে। মুকসুদপুর উপজেলার অন্য ইউনিয়নগুলোতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস নেই বললেই চলে। জলিরপাড় ইউনিয়নে ১২টি চার্চ (গীর্জা) ও কাশালিয়া ইউনিয়নে ৪টি চার্চ (গীর্জা) মোট ১৬টি গীর্জা রয়েছে। এই উপজেলায় প্রায়-১০ হাজার খ্রিস্টান ধর্মের লোকের বসাবস করেন।
খ্রিস্টান ধর্মের অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব বানিয়ারচর গ্রামের বাসিন্দা বিভুদান বৈরাগী জানান- এই এলাকায় প্রথম পতূগীজ মিশনারিরা আনুমানিক প্রায় দুইশত বছর পূর্বে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের কাজে শুরু করে ছিলেন। এখানে ক্যাথলিক চার্চ,ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, অক্সফোর্ড চার্চ,এজি চার্জ,সেভেনথ ডে অ্যাডভান্টেজ চার্চ,হালেলূইয়া মিশন,তালিথা কূমি চার্চ সহ আরো কয়েক একটি ছোট ছোট মিশন রয়েছে। অত্র এলাকায় ক্যাথলিক চার্চ ও প্রটেস্ট্যান্ট চার্চ রয়েছে। ক্যাথলিক চার্চ পোপ মহোদয়ের নিয়ন্ত্রণে বা পরিচালনায় পরিচালিত হয়ে থাকে। ক্যাথলিক চার্চ বাদে অন্যান্য চার্চ এক কথায় বলা হয় প্রটেস্ট্যান্ট চার্চ অর্থাৎ এসব চার্চ পোপ মহোদয়ের নিয়ন্ত্রণে আওতায় নয়। ক্যাথলিক পুরোহিতগণ বিশপ মহোদয়ের অধিন। ক্যাথলিক পুরোহিতদের বলা যাজক বা ফাদার নামে পরিচিত। ক্যাথলিক ও প্রটেস্ট্যান্ট চার্চের ধর্ম শিক্ষা ভিন্ন। ক্যাথলিক ধর্মীয় ক্রিয়াকার্য অভিন্ন। প্রটেস্ট্যান্টদের ভিন্ন ভিন্ন ধর্মীয় ক্রিয়াকার্য।
জলিরপাড় ইউনিয়নের বানিয়ারচর গ্রামের প্রশান্ত কুমার বৈদ্য জানান,জলিরপাড়,কাশালিয়া ও ননিক্ষীর ইউনিয়নের মুসলিম,হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মের লোক দীর্ঘকাল হতে একত্রে মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করে আসছে। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন সহ প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান সকল ধর্মের লোকের সার্বিক সহযোগিতায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই প্রতি বছর পালিত হয়ে থাকে। এবছর বড়দিন শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠানের জন্য মুকসুদপুর থানা পুলিশ কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে ক্যাথলিক চার্চের ফাদার ডেবিড ঘরামী জানিয়েছেন।
মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ আশিক কবির ও মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল-মামুন খ্রিস্টান ধর্মের চার্চের (গীর্জা) ফাদার,পুরোহিত ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে বড়দিন শান্তিপূর্ণ ভাবে উদযাপনের লক্ষে ২৩ ডিসেম্বর আলোচনা সভা করেছেন। মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন,মুকসুদপুরে বড়দিনে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেক্ষেত্রে প্রতিটি চার্চে সিসি ক্যামেরা লাগানো,পর্যাপ্ত পুলিশ এবং স্থানীয় ভাবে স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া তিনি আরো বলেন, বড়দিন সহ এলাকায় বিশৃঙ্খলার চেস্টা কেউ করলে তাৎক্ষণিক ভাবে তার বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এমএসএম / এমএসএম
কক্সবাজার-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন আলহাজ্ব আলমগীর মোহাম্মদ মাহাফুজউল্লাহ ফরিদ
কাপ্তাই ১০ আর ই ব্যাটালিয়নের অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
মধুখালীতে মোটর বাইক চোরচক্রের সদস্য গ্রেফতার
কুমিল্লা-৬ আসনে জামায়াতের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন দ্বীন মোহাম্মদ
মাগুরা-১ আসনে ধানের শীষের চূড়ান্ত প্রার্থী হলেন মনোয়ার হোসেন খান
সিংড়ায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
শেরপুরের মেধাবী শিক্ষার্থী তাপস্বী: অর্থের টানাপোড়েনে মেডিকেলে চান্স পেলেও ভর্তি অনিশ্চিত
তারাগঞ্জে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
নাঙ্গলকোটে আগুনে পড়ে নিঃস্ব ইব্রাহীমের পরিবার
কোস্টগার্ডের অভিযানে মাদকসহ কারবারি আটক
কুমিল্লা-০৬ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী ইয়াছিনের পক্ষে মনোনয়নপত্র ক্রয়
ওসমান হাদিকে হত্যার পর গণমাধ্যমে হামলা করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হয়েছে: নাসির উদ্দিন নাছির