ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

জয়তু শেখ হাসিনা


অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া photo অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া
প্রকাশিত: ৩০-৯-২০২১ দুপুর ১:২৯

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ, রাখাল রাজা, একটি অবিনশ্বর নাম, বাঙ্গালীর ভালবাসার কাঙাল, স্বদেশ প্রেমের উজ্জ্বল নক্ষত্র, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের আপোষহীন নেতা। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক, পরম দয়ালু, প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত, ধীর শান্ত, অসীম ধৈর্যশীল, সাহসী, দানশীল, মমতাময়ী, পরিস্থিতি মোকাবিলায় পারদর্শী, আদর্শময়ী একজন বাঙ্গালী মায়ের প্রতিচ্ছবি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও মহিয়সী রমনী বঙ্গমাতার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা, যার ধমনীতে বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গমাতার রক্ত প্রবাহিত। যিনি দুই মহান ব্যক্তির রক্তের উত্তরাধিকার। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর ঘর আলো করে প্রথম সন্তান ছোট শিশু শেখ হাসিনা মমতাময়ী বঙ্গমাতার কোলে এসেছিলেন। সেদিন দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদী শেখ সায়েরা খাতুন আনন্দের বন্যায় ভেসেছিল। সেদিন ঘর আলোকিত করা আনন্দের জোয়ারে ভাসিয়ে আসা ছোট্ট শেখ হাসিনা জীবনের অধিকাংশ সময়ই দুঃখ বেদনা অনিশ্চয়তা আর আতংকে কাটিয়েছেন। টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকায়, বঙ্গবন্ধুর ছোট্ট সংসারে, বাবা কারগার আর কারাগার, মায়ের নিত্যসঙ্গী ছিলেন শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ রেহানা, শেখ জামাল, শেখ রাসেল তাদের শিক্ষা ভরণ-পোষণের সবই বঙ্গমাতার দায়িত্ব। ১৯৭৫ সালে সবাইকে হারিয়ে শেখ হাসিনা ও ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে বড় অসহায় এতিম হয়ে গেলেন। কখনো বৃষ্টিতে ভেজা, কখনো রোদে পুড়ে, বুকে এক সাগর বেদনা নিয়ে খাঁটি সোনা হয়ে আজকের বিশ্বনেত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা হলেন। আজ সতেরো কোটি মানুষ এক বাক্যে শিকার করেন। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ মানেই শেখ হাসিনা। আবেগ অনুভূতিতে, মমত্ববোধে, ভালবাসায়, হাসি-কান্না-বেদনায়, সরলতায়, দেশত্ববোধে, জ্ঞান-গরিমায়, প্রজ্ঞা-মেধায়, সাহসিকতায়, আপোষহীনতায়, একজন পরিপূর্ণ বাঙ্গালী রমনী, যিনি কাঁদতে জানেন, হাসতে জানেন, চুল বাধতে জানেন, ধান বানতে জানেন, রান্না করতে জানেন, গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের পরম বন্ধু, আস্থার একমাত্র ঠিকানা বিশ্ব নেত্রী শেখ হাসিনা।

মাদকমুক্ত সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনের রূপকার, যার মেধা-মননে এদেশের সতেরো কোটি মানুষের হাসি কান্না, অসাম্প্রদায়িক চেতনার একমাত্র বাতিঘর, বিশ্ব মানবতার নেত্রী, Mother of Humanity স্থুল-আকাশ-সমুদ্র ত্রিভুবন বিজয়ী। বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে সম্মাণিত রাষ্ট্রনায়ক, গণতন্ত্র, মানবতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায়, নারীর ক্ষমতায়নে, বিশ্ব পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বের অন্যতম নেত্রী হিসেবে ভূষিত, জাতিসংঘ কর্তৃক ভ্যাকসিন হিরো সহ মানবতাবাদী নেত্রী হিসাবে বহু আন্তর্জাতিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মমতাময়ী মা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতি তাঁর মমত্ববোধ ভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ, যে ভূমির আলো-বাতাস, নদী, পানি, মাটি ও প্রকৃতিতে বড় হয়েছেন। সেই মাতৃতা ও জন্মভূমির প্রতি গভীর নাড়ীর টানে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে এদেশের মানুষের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন।

বঙ্গবন্ধুর দুই উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ১৯৭৫ এর কালোরাত্রি এই দুই বোনের যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা সারাজীবন সারবার নয়। তবুও থেমে নেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে। যে দলের নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে সে দল যখন ভাঙনের কবলে পড়ে তখন ১৭ মে ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে সেই ঐতিহ্যবাহী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব নিয়ে শক্ত হাতে হাল ধরেন। তারপর দল গঠন, ঐক্য প্রক্রিয়া স্বৈরাচার এরশাদের রোষানল, বার বার কারাবরণ (১৯৮৩, ১৯৮৪, ১৯৮৬, ১৯৮৭, ২০০৭), গৃহবন্দী (১৯৮৯, ১৯৯০), আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার করেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলণের আপোষহীন নেত্রী হয়েও নির্বাচনে কারচুপির কারনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য আবার রাজপথে, সংসদে বিরোধী দলের নেত্রী হিসাবে লড়াই সংগ্রাম। অবশেষে ১৯৭৫ এর পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে সরকার গঠন করেন। আবার ষড়যন্ত্র, বিএনপি জামাত জোট ক্ষমতা মসনদে বসে দখল, সন্ত্রাস, জঙ্গির-উত্থান, ধর্ষন, হত্যা ও দুর্নীতির রাজনীতি কায়েম করে। ১/১১ মাইনাস টু ফর্মূলা, চিকিৎসার জন্য অ্যামেরিকা গঠন, অ্যামেরিকা থেকে আসতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্র, সকল বাঁধা উপেক্ষা করে স্বদেশে আগমণ, মানুষের স্বতস্ফূর্ত জোয়াড়, অস্থায়ী জেলে এক বছর কারাবরণ। আপোষহীন নেত্রী, গণতন্ত্রপ্রেমী শেখ হাসিনা সামরিক সরকারকে পিছু হটিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে নিরঙ্কুশ সংসদ সদস্য নিয়ে আবারো গণতন্ত্র উদ্ধার করে সরকার গঠন করেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাসে দীর্ঘ টানা ৪০ বছর সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধু এই দলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে মাত্র ২০ বছর দায়িত্ব পালনের সুযোগ হয়েছে। ২০ বছরেই এ দলের নেতৃত্বে থেকে বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ, বিশ্ব মানচিত্রে একটি লাল সবুজের পতাকা, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি-জাতীয় সঙ্গীত, বিশ্বসেরা পবিত্র সংবিধান দিয়েছেন। শেখ হাসিনা ৪০ বছরে দলের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে দলের অনেক পুর্নবিন্যাস করেছেন। অঙ্গ সংগঠন বৃদ্ধি করেছেন। এই সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চার বার জনগণের ভোটে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এই চার বারই শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর দায়িত্বকালীন সময়ে সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন। টানা তিনবার সহ চার বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। টানা ৪০ বছর দলের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিন সংসদের প্রায় পনেরো বছর বিরোধীর দলীয় নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন, টানা এক যুগ সরকার গঠন করে দেশের হাল ধরেছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তিনশত সংসদ সদস্যের মধ্যে ২৫৭ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বিগত দিনের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন (১৯৭০ এর নির্বাচন ব্যতিরেকে)। তিনি সাত বারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। শেখ হাসিনা এখন বিশ্বের ‘এলিট ক্লাব’ এর সদস্য, বিশ্বে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়তম নারী প্রধানমন্ত্রী, উইকিলিকসের জরীপ অনুসারে, সেন্ট লুসিয়ার গভর্নর জেনারেল ডেম পারলেট লুইজি ২০ বছর ১০৫ দিন দেশ শাসন করেন, তিনিই ১ম নারী সরকার প্রধান। উইকিলিকস তাদের জরিপে শেখ হাসিনাকে বর্তমান সময়ের নারীদের পূনর্জাগরণের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

বিশ্বের সেরা তিনজন রাষ্ট্রপ্রধানের একজন শেখ হাসিনা। বিশ্ব নেতৃত্বে ‘ফরচুন’ সাময়িকীতে ২০১৬ সালে বিশ্বের ৫০ জন প্রভাবশালী নেতৃত্বের মধ্যে শেখ হাসিনা ১০ম। নারী সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্বের চতুর্থ মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ‘ফোবাস’ সাময়িকী প্রতি বছর বিশ্বের শীর্ষ ১০০ জন ক্ষমতাধর নারী নেতৃত্বের মধ্যে ২০২০ সালে শেখ হাসিনাকে ৩৯তম ক্ষমতাধর নারী হিসেবে স্থান পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ‘ফরেন পলিসি’ শেখ হাসিনাকে Decision Maker  ক্যাটাগরীতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ রাখার জন্য বিশ্বের শীর্ষ ১৩ বুদ্ধিজীবীর বা চিন্তাবিদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন। ২০১০ সালে ‘নিউইর্ক টাইমস’ সাময়িকীর অনলাইন জরিপে তিনি বিশ্বের সেরা দশ ক্ষমতাধর নারীর মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করেন। আগামীতে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এলে বিশ্বের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে তিনিই হবেন প্রথম মহিলা নারী যিনি দীর্ঘদিন সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এদেশের মানুষ সেদিনের প্রতীক্ষায় আছে। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা এক এক করে সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে বাঙ্গালী জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে শেখ হাসিনাকে ‘বিশ্ময়কর’ নেতা বলে আখ্যায়িত করা হয়। এ বিশ্ময়কর নেতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের মানচিত্রে মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছে। তিনি নিজে নেত্রী হিসেবে মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছেন। সতেরো কোটি মানুষকে মাথা উঁচু করে মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন। 

এই নেত্রীর একটিই স্বপ্ন ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা’, মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, মানুষের মুখে হাসি ফুটানো। শেখ হাসিনার সকল সফলতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন। তাঁর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে ‘সমুদ্র বিজয়’ এর মাধ্যমে আমাদের ন্যায্য হিস্যা পেয়েছি, তারপর গড়ে উঠছে ‘নীল অর্থনীতি’ বিশ্ব ব্যাংকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে স্বপ্নের সেতু- ‘পদ্মা সেতু’ বাস্তবায়নের শেষ প্রান্তে, ‘রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র’ - আত্মমর্যাদার বিষয়, বঙ্গবন্ধু সেটালাইট-১ উৎক্ষেপণ উন্নত বিশ্বে শেখ হাসিনার বিস্ময়কর ভিশন এর বাস্তবায়ন, মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পন, ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ রূপান্তরে ভিশন আজ সকলের আত্মপ্রত্যয়ে দেশ গঠনের অঙ্গীকার, ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যা সিট মহল চুক্তির পরিসমাপ্তি টেনেছেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সমাধান করেছেন, আইপিইউ, , Inter Parliamentary Union, সিপিএ Common Wealth Parliamentary Association  এ বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সায়েমা ওয়াজেদ অটিজমে এশিয়া সহ জাতিসংঘে নেতৃত্ব প্রদান করছেন।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে তৎকালীন মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশকে ‘উন্নয়নের মডেল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ। বাংলাদেশের আজ উন্নয়নে কোন কোন ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারী ক্ষমতায় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কর্ণফুলী নদীতে টানেল নির্মাণ দেশের অর্থনীতি আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। একটি খামার একটি বাড়ি, গৃহহীনদের জন্য আশ্রায়ণ প্রকল্প, স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা, প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য, মাতার বাড়ী মেগা প্রকল্প, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, মনোরেল, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেস লাইন, উড়াল সেতু, পাতাল সেতু সবই বাস্তাবায়নের পথে, একশত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি অর্জনে এগিয়ে থাকা, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সর্বকালের রের্কড গড়েছে, মানব সূচকে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে আছে। শিশু মৃত্যু হার ও মাতৃ মৃত্যু হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, মাথাপিছু জাতীয় আয়- ২০২৭ ডলার, রাজস্ব আয়- ৩,৪৮,০৫৯ কোটি টাকা (২০১৯-২০), রপ্তানি আয়- ৪০.৫০ মিলিয়ন ডলার (২০১৯-২০), আমদানি আয় ৫৯.৯০ বিলিয়ন ডলার (২০১৯-২০), প্রবাসী আয়- ১৮.২০ বিলিয়ন ডলার (২০১৯-২০)। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ- ৩৬ বিলিয়ন ডলার, খাদ্যে আজ আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ, মাছ, মাংস, সবজি উৎপাদনে অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে। শিক্ষা খাতে প্রায় শতভাগ ফ্রি বই উপকরণ প্রদান করা হচ্ছে। সুপেয় পানি, সৌচাগার এখন মানসম্মত, স্বাস্থ্যখাতে অভূতপূর্ব সাফল্য, ভ্যাকসিনে সাফল্য, ভারতও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বিশ্বের নেতারা আজ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সফলতার দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘের (ইকোসফ) মানদন্ড অনুযায়ী মানব সম্পদ সূচক অর্জনে অনেক এগিয়ে আছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে সাফল্য, তথ্য প্রযুক্তিতে অভূতপূর্ব অগ্রসরতা মানবাধিকার ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়, অভিবাসী ও শরণার্থী সমস্যা মোকাবিলায়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়, ভূমিকা শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশ, উন্নয়নশীল দেশের নেতৃত্বে বাংলাদেশ, আত্মমর্যাদাশীল দেশ আজ বাংলাদেশ, সবই সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের একজন ভিশনারী সাহসী বাঙ্গালী রমনী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তিনি নিজে স্বপ্ন দেখেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, বাঙ্গালী জাতিকে স্বপ্ন দেখান এবং এক এক করে স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেন। তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনের অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। একজন বাঙ্গালী রমনীর পক্ষে এক হাতে কিভাবে এতগুলো ইস্যুর সমাধান সম্ভব, অবিশ্বাস্য হলেও আজ সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের অশান্ত রাজনীতি আর নেই, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নেই, ধর্মঘট নেই, গাড়ি ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন সন্ত্রাস এখন নেই, ছিনতাই, চাঁদাবাজি নেই, মংগা নেই, বাংলাদেশের সকল সূচক সকল রেকর্ড ভেঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে, আত্মমর্যাদাশীল মধ্যম আয়ের দেশ, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধুর স্ব-পরিবারে হত্যার বিচার, জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচার সম্পন্ন করেছে। মৌলবাদীদের দমন করেছে। পররাষ্ট্র নীতিতে সফলতা, বিশ্ব ও ভৌগলিক রাজনীতি, আঞ্চলিক জোট এবং রাজনীতি সবই এক হাতে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা মোকাবিলা ও সমাধান করে যাচ্ছেন।

দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ রাজনীতিতে শিষ্টাচার ফিরিয়ে এনেছেন। গত নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে যখন বিএনপি-গণফোরাম জোট রাজনীতিতে নতুন কেমিষ্ট্রি মুজিব কোট আর ধানের শীষ এক করে ফেলার পরিকল্পনা করেছেন। ঠিক তখনই ঐতিহাসিক ও সাহসী নেতৃত্বে শেখ হাসিনা গণভবনে সকল দলকে এনে সফল পরিকল্পনা ব্যর্থতায় পর্যবশিত হলো। শুধু তাই নয় যেটা এখন বাংলাদেশের রাজনীতির সংস্কৃতিতে নেই তিনি তা করলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তিনি বাংলাদেশ সরকার প্রধান হয়েও বিনয়ের সাথে কথা বলেছেন। বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের মৃত্যু হলে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে খালেদার বাসায় গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ফোন ও বাসা যাওয়ার শিষ্টাচারের বিপরীতে বেগম খালেদা জিয়ার আচরণ দেশবাসী সেদিন অবলোকন করেছে।

জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ ধন্য। কিন্তু নিশ্চয় এটাও আমরা জানি বঙ্গবন্ধুর সর্বশেষ দুই কন্যার জ্যেষ্ঠ কন্যাকে হত্যার জন্য অন্তত ২২ (বাইশ) বার চেষ্টা করেছে। সর্বশেষ ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে আমাদের প্রিয় নেতৃ শেখ হাসিনাকে চেষ্টা করা হয়েছিল। তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিদেশে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আমরা একটি উদাহরণ কি দিতে পারব- বেগম খালেদা জিয়া বা তার পুত্র তারেক রহমানকে আওয়ামীলীগ পরিবারের কেউ একটিবার হত্যার পরিকল্পনা করেছে। 

প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার ২৮ শে সেপ্টেম্বর ৭৫তম জন্মবার্ষিকী। সতেরো কোটি মানুষ এই দিনে প্রাণ ভরে দোয়া করে যেন শেখ হাসিনা আরো দীর্ঘজীবী হন। শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র বাঁচবে, সংবিধান বাঁচবে, দেশ বাঁচবে। বাংলাদেশের মানুষের একমাত্র ঠিকানা জননেত্রী শেখ হাসিনা। দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনাই। শুভ হোক শেখ হাসিনার আত্মমর্যাদাশীল সোনার বাংলা বিনির্মাণের অভিযাত্রা। জয় বাংলা।

এমএসএম / এমএসএম

চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে তিস্তা পাড় বাসীর প্রত্যাশা

বিশ্ববাণিজ্যে বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাম্পের শুল্কনীতি

রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রমী নেত্রী খালেদা জিয়া

সমুদ্রসীমা রক্ষা এবং কৌশলগত অংশীদারত্ব

ইউরোপ, আমেরিকার ফাটল এখন কাঠামোবদ্ধ রূপ পাচ্ছে

কর্মসংস্থানের বিষয়টি দেশের সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত

গত ২৫ বছরে বাংলাদেশে বেকারত্বের তথ্যচিত্র এবং পরিসংখ্যানগত তুলনামূলক বিশ্লেষণ!

শুভ নববর্ষ ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর ও আমাদের প্রত্যাশা

আর কত রক্ত, আর কত সময় দিলে সুন্দর হবে বাংলাদেশ?

বিশ্ব নেতৃত্বের পালাবদল ও গণতন্ত্রের অবনমন

নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হোক ঈদযাত্রা

বাঙালি সংস্কৃতিতে দোল উৎসব সার্বজনীনতা লাভ করে কবিগুরুর কল্যাণে