দূর্নীতির শীর্ষে সাতকানিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসের সেই মনোয়ারা বেগম

সাতকানিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসের মনোয়ারা বেগম অফিস সহকারি পদের তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী হলেও কাঁপাচ্ছে পুরো উপজেলা শিক্ষা অফিস, তার অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে জিম্মী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ উপজেলার প্রায় ১১০০ শিক্ষক।
শুধু তাই নয়, তার বেপরোয়া আচরণে আর দাপটের মুখ খুলতে পারেনা স্বয়ং উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধর ও সহকারি শিক্ষা অফিসার সামশুল আলম সহ সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারীরা।তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারীর গ্রেডে অফিস সহকারি পদে থেকেও এই মনোয়ারা বেগমের দৈনিক ইনকাম ১০,০০০ টাকা।
পূর্বের বদলী বানিজ্য, বকেয়া বিল ইস্যু, আর মাতৃত্বকালীন ছুটি, সার্ভিস বইয়ে সার্টিফিকেট এন্ট্রী, নতুন জিপিএফ খোলা, জিপিএফ থেকে লোন নেওয়া সহ বিভিন্ন কাজে সবকিছু মিলিয়ে ১১০০ শিক্ষকের কারো না কারো প্রতিদিন কিছু না কিছু কাজই থাকে আর সেই কাজগুলি অফিস সহকারি হিসেবে মনোয়ারা বেগমকে করতে হয়, আর সেই কাজ সম্পাদনগুলি করার পেছনেই মূলত আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী মনোয়ারা বেগম।
আর তার নিয়মিত জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে সাতকানিয়া উপজেলা শিক্ষক সমাজ প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয়ে এবং দূর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছেন লিখিত অভিযোগ।আর সেই অভিযোগের সুত্র ধরে গেলো মে মাসে গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তদন্তেও নেমেছিলো কিন্তু মনোয়ারার অদৃশ্য শক্তির কাছে সে তদন্ত থেমে যান বলেও জানান সাতকানিয়া উপজেলার শিক্ষক সমিতির নেতা মোঃ শাহ আলম।শুধু তাই নয়,জনারঁ কেওঁচিয়ার বহুল আলোচিত শিক্ষক নিয়োগে আশীষ চিরাণ কান্ডের অন্যতম আলোচিত সমালোচিত হোতা এই মনোয়ারা বেগম।
এদিকে এত অভিযোগের পাহাড় সংক্রান্ত বিষয়ে কল করা হয় অভিযুক্ত বহুল আলোচিত সেই তৃতীয় শ্রেনীর অফিস সহকারি মনোয়ারা বেগমকে, তিনি গনমাধ্যমকে বলেন আমি ৭/৮বছর ধরে এখানে আছি, আমি মানুষও একজন এবং সামলাতে হয় আমাকে পুরো উপজেলার ১১০০ জন শিক্ষককে সব কাজ আমাকে করতে হয় একাই।
এদিকে একাই কাজ সম্পাদন করতে হয় বলে কী আপনি নিয়মিত ভাবে একই রেটে অঘোষিত ভাবে অফিসিয়ালী ভাবেই দূর্নীতি করে যাবেন নাকি?
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা খুশি করে আমাকে টাকা ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেয় কিন্তু বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে, তবে তারা দিলে আমি কি করতে পারি?আমাকে বদলী করার একটা ব্যবস্থা করেন এই সাতকানিয়া আর ভাল লাগছেনা।আর আমার দূর্নীতির বিষয়ে আপনি আমার অফিসকেও প্রশ্ন করতে পারেন।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, মনোয়ারা বেগমের নেয়া ঘুষ থেকে অফিসকেও দেয় অতএব সাতকানিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিস তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিবেনা।এদিকে সাতকানিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধরকে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এদিকে সাতকানিয়ার শিক্ষক সমাজ গনমাধ্যমকে বলেন, আমরা একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারীর জ্বালায় অতিষ্ঠ। মহিলা হওয়ায় বারবার সে পারর পেয়ে যাচ্ছে। আমরা তার অপসারণপূর্বক শাস্তি চাই।
সে পুরো উপজেলার সকল দপ্তরের মধ্যে এখন দূর্নীতি তালিকায় সবার শীর্ষে বলে আমরা মনে করি।
এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখল, ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন

সান্তাহারে ইয়াবা ট্যাবলেট ও প্রাইভেট কারসহ দুইজন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গরুর গাড়ি মার্কা প্রার্থীর সমর্থনে সভা

কাউনিয়ায় এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে গাছের চারা বিতরণ

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করে চটের ব্যাগ ব্যবহার করুন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোনাগাজীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরু চোরসহ গ্রেফতার-০৪, চোরাই গরু উদ্ধার

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ

জয়পুরহাটে ব্র্যাকের উদ্যোগে ১৩৯ জন গ্রাহকের মাঝে তেলাপিয়া মাছের পোনা বিতরণ
Link Copied