তানোরে প্রশাসনের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় শুরু দুর্গোৎসব
নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে এবারের দুর্গোৎসব সম্পন্ন করা হবে। উদ্দেশ্য একটাই, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেন সুন্দর এবং সাবলীলভাবে এই পূজা উদযাপন করতে পারেন। রাজশাহীর তানোর সদরে অবস্থিত শিবতলা কেন্দ্রীয় মন্দির ও কামারগাঁ ইউপির দুর্গাপুর সার্বজনীন দুর্গামন্দির পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ এসব কথা বলেন। সময় পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি পঙ্কজ হালদার ও হিরেন প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও আরো বলেন, পুলিশ বাহিনী ও আনসার ভিডিপি দ্বারা আমরা সবধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রযুক্তির ব্যবহারে পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। তারই আলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুরো উপজেলার ৬০টি মন্দিরে আমরা আমাদের আচার উৎসব পালন করব। এছাড়া বিভিন্ন সোস্যাল অ্যাপের মাধ্যমে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দেরর সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এ সময় তিনি কোনো ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনার খবর পেলে তাৎক্ষণিক সেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর পরামর্শ দেন।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান সকালের সময়কে বলেন, শুধু পুলিশই নয়; অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সাদা পোশাকে রয়েছে। করোনাকালে আমরা অনেক সংকটপূর্ণ সময় পার করেছি। এরপরও এবার আয়োজনের ব্যাপকতা থাকছে অনেকটাই বেশি। জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন স্যার অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বিষয়টি পর্যবেক্ষন করছেন এবং আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। তারই আলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুরো উপজেলার ৬০টি মন্দিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
তানোর পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, দুর্গাপূজার উৎসব শুরু হয়েছে। আগামী শুক্রবার বিসর্জনের মধ্যদিয়ে পূজার উৎসব শেষ হবে। তানোর থানার ওসি তাদের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছে পূজা উদযাপন উপলক্ষে। তারা ওসি রাকিবুল হাসানের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
এমএসএম / জামান