লোকনাথ মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ভক্তদের

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন আসকার দীঘির পাড়স্থ শ্রীশ্রী লোকনাথ মন্দিরের ভক্তদের দেয়া দান-অনুদানের লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া নিয়ম মতে প্রতি দুই বছর পরপর নতুন কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান কমিটি অবৈধভাবে দেড় যুগ পদ ধরে রেখেছে। কমিটির অনিয়ম-দুর্নীতির কেউ প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও হামলা-মামলার ভয় দেখায় বিশেষ এক বাহিনী। এ বিষয়ে মন্দিরে সাধারণ ভক্ত ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে রবিবার (৬ জুন) নগরীর জামালখানস্থ কার্য়ালয় থেকে একটি বিবৃতি প্রদান করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শ্রীশ্রী ঠাকুর লোকনাথ ব্রহ্মচারীর নামে প্রতিষ্ঠিত মন্দিরটি কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটা ধর্মীয় উপাসনালয়। এই মন্দিরে ঠাকুরের অনুকম্পা লাভে অসংখ্য ভক্ত প্রতিদিন জড়ো হন। তারা তাদের প্রার্থনা সারেন এবং সাধ্যমতো দান-অনুদান প্রদান করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাকাল ১৮ বছর চলছে; অথচ আজ অবধি কার্যকরী পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একই ব্যক্তিগণ বহাল রয়েছেন। কোনো ধরনের নিয়মনীতি না মেনে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মন্দির পরিচালনা করে আসছেন। মন্দিরের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর পরপর এজিএমের (বার্ষিক সাধারণ সভা) মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার কথা থাকলেও অতি দুঃখের সহিত জানাচ্ছি যে, এই দুজন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো ধরনের সভা ছাড়া আজ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সাধারণ সদস্যরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে গেলে তাদের ওপর নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক উক্ত মন্দিরে তার পারিবারিক (ভাই-বোন) সদস্য দিয়ে অন্যায়ভাবে মন্দির পরিচালনা করে থাকেন। বিভিন্ন সরকারি এবং ভক্তবৃন্দের অনুদানসমূহ মন্দিরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে না রেখে নিজেরা লুটপাট করে যাচ্ছেন। কিছুদিন আগে এই মন্দিরে যে রহস্যজন অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল সে অগ্নিকাণ্ডে মন্দিরের পুরোহিত অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান এবং প্রায় ৯টি ঘরবাড়ি পুড়ে ধ্বংস হয়। এই অগ্নিকাণ্ড তাদের ইশারায় করা হয়েছিল বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সামান্য উন্নয়ন দেখিয়ে কমিটির অন্য সদস্যদের কোনো হিসাব-নিকাশ না দেখিয়ে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলছেন। নিয়ম অনুযায়ী মন্দিরের উন্নয়ন কিংবা কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য আয়-ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে সভার আয়োজন করে সকল সদস্যের মতামত নিতে হয়। কিন্তু বিগত ১৮ বছরে তারা সেই নিয়ম পালন করেননি। এলাকার ভক্তবৃন্দের সব সময় দাবি ছিল, অবিলম্বে পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত করে একটি নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠন করা এবং মন্দিরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ভক্তদের কাছে তুলে ধরা।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, ধর্মীয় উপাসনালয়ে দুর্বৃত্তরা প্রভাব খাটালে লোকনাথ ভক্তরা তা মেনে নেবে না। এ বিষয়ে সাধারণ ভক্তবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসনিক সহযোগিতা কামনা করছেন।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন- নিতাই মহাজন, গৌরাঙ্গ দাশ, প্রদীপ দাশ, সুকুমার মহাজন, অসীম হোড়, কাজল শীল, সমীরণ পাল, তাপস দত্ত, কানু দাশ, মণিরঞ্জন দাশ, বাবুল দাশ, অজয় পাল, অনুতোষ চোধুরী প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানার জন্য মন্দির কমিটির দায়িত্বরত কারো বক্তব্য এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
এমএসএম / জামান

মহেশখালীতে রাতে অপহরণের পর সকালে মিলল যুবকের লাশ

আবার রোহিঙ্গা ঢলের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

তানোরে চাষাবাদে গরুর বদলে বাড়ছে ঘোড়া দিয়ে মই চাষ

উল্লাপাড়ায় কষ্টি পাথরের মূর্তি পাচারকারী দুই জন গ্রেফতার

বরগুনায় তিন সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহী-১ আসনে শরিফ উদ্দিনের বিরোধিতা না বিএনপির বিরোধিতা

টেকনাফে মুক্তিপণে ফিরেছে অপহৃত ব্যবসায়ী

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

হাসিনা বাংলাদেশকে গুম-খুন আর লুটের রাজ্যে পরিণত করেছিল: আব্দুল খালেক

দাউদকান্দির ধারিবন গ্রামে একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ, পানিবন্দি কয়েকটি পরিবার

ভূরুঙ্গামারীতে ব্র্যাকের স্বপ্ন সারথি দলের জীবন দক্ষতা বিষয়ক ২৫তম সেশন অনুষ্ঠিত

রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার ডা:কে এম বাবর সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রীর অভিযোগ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পানিবন্দি ২ হাজার পরিবারকে যুবদলের ত্রাণ সহায়তা
Link Copied