মধুখালীতে ওসি শহিদুল ইসলামের সহযোগিতায় ৯ বছর পর পরিবার ফিড়ে পেল ইমরান
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান খাগড়াছড়ি জেলা সদরের লক্ষীছড়ী- ময়ুরখালী মহিষকাটা গ্রামের মোঃ আলী আহম্মদ ও মোসাঃ অজিফা বেগমের সন্তান ইমরান ।
২০১১ সালে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা এলাকার মাওলানা মোঃ নুরুল ইসলামের বাড়ীতে প্রায় ৯ মাস মাদরাসায় পড়ালেখা করেন। পাশের বাজারে ,বাজার করতে গিয়ে মোঃ ইমরান নিখোজ হন। মাওলানা মোঃ নুরুল ইসলাম পূর্বধলা থানায় ইমরানের নিখোজ ডায়েরী করেন যার নম্বর ৬৮২ তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১২খ্রিঃ। ১০অক্টোবর ২০২১ খ্রিঃ উপজেলার কামালদিয়ার ইউনিয়নের ঝাউহাটির গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল শেখের স্ত্রী নুরজাহান বেগম(৫৫) সকালে মধুখালী থানার ভভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলামকে জানান উপজেলার রাযপুর ইউনিয়নের ব্রাক্ষণকান্দ বাজারে শিশু ইমরান হোসেনকে এলোমেলো ঘুরাফেরা আর কান্নাকাটি করছিল । সে সময় তার স্বামী তাকে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। ৯ টি বছর সে ঝাউহাটি গ্রামের নুরজাহান বেগমের কাছেই বড় হয়েছে। তখন সে বাবা মার নাম বলতে পরলেও বিস্তারিত কিছু আর বলতে পারে নাই। সে বর্তমানে পরিবারের কাছে ফিড়ে যেতে চাওয়ায় মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন লক্ষীছড়ি,জেলা রাঙ্গামাটি জানতে পেরে সেখানে যোগাযোগ করে মোঃ শহিদুল ইসলামের অন্তরিক প্রচেষ্টায় ১২ অক্টোবর সকালে মোঃ ইমরান হোসেনকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেন । দীর্ঘ ৯টির বছর পর মোঃ ইমরান হোসেন ফিড়ে পেলো তার পরিবার। পিতা-পুত্রের মিলনে আনন্দ অশ্রুজল উপস্থিত সবার। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নুরজাহান বেগম ও মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলামের কাছে মাঃ ইমরান হোসেনের পিতা।
এমএসএম / এমএসএম