শেরপুরে সবজিতে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও ভোক্তা

বগুড়ার শেরপুরের পাইকারি হাট-বাজারে এখন প্রতিদিনই বাড়ছে সবজির আমদানি। তবে হাটে দাম সহনীয় থাকলেও স্থানীয় খুচরা বাজারের পরিস্থিতি একেবারেই বিপরীত। এছাড়া প্রচুর সরবরাহ থাকার পরও দাম বাণিজ্যে অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, হাট থেকে হাতবদল হয়ে পাশের বাজারে গেলেই সবজির দাম বেড়ে যায় কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এছাড়া একটু দূরের খুচরা বাজারে যেতেই দাম হয়ে যায় দুই থেকে তিনগুণ। এই দাম বাণিজ্যের কারণে হাটে কৃষকদের চেয়ে অনেক বেশি লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, মধ্যস্বত্বভোগীদের অতিরিক্ত লাভের কারণেই সবজি কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে তাদের। দেখা যায়, হাটে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। এর ১০০ গজ দূরে বাজারের আড়তেই সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। আর ১-২ কিলোমিটার দূরত্বের অন্যান্য বাজারে একই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। হাটে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, যা বাজারে ১২০ টাকায়।
ভালো দামের আশায় অনেক চাষি জমি থেকে আগাম জাতের শীতের সবজি নিয়ে এসেছেন। সোমবার এই হাটে শিম প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা, ফুলকপি ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা, পেঁপে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, বেগুন প্রতি মণ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মুলা ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, পটল ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা, করলা ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকা, লাউ প্রতি শ‘ ১৫০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা, মিষ্টি লাউ প্রতি শ’ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা।
হাটসহ আশপাশের অন্যান্য বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু (পাকরি ও হল্যান্ড) ১৫ থেকে ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই আলু পাশের বাজারে প্রতি কেজি ২২ থেকে ২৩ টাকা এবং শহরের রেজিস্ট্রি অফিস, সকাল বাজার, শেরুয়া বটতলা, মহিপুর বাজারসহ অন্যান্য বাজারে ২৪ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সোমবার সকালে ফুলবাড়ি বাজার ও নয়মাইল হাটে গিয়ে দেখা যায়, মৌসুমি সবজিতে ঠাসা। কৃষক অটোভ্যান, ভটভটি, অটেরিকশায় করে সবজি এনে হাটে নামাচ্ছেন। বস্তায় ভরে কাঁধে নিয়েও আসছেন কেউ কেউ। সাধারণ ক্রেতা ছাড়াও হাটে পাইকারদের ভিড়। ভালো মানের সবজি প্রথমেই কৃষকের কাছ থেকে কিনে পাইকাররা হাটের এক পাশে জড়ো করছেন। এরপর ট্রাকে সাজানো হচ্ছে থরে থরে। এরপর গন্তব্য রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ভরা মৌসুমে নয় মাইল থেকে প্রতিদিন সবজিবোঝাই অন্তত ৮-১০টি ট্রাক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, তারা হাট থেকে ভালো মানের সবজি কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। পরিবহন খরচ, শ্রমিক ও হাট-বাজারের খাজনার কারণে অন্য জেলায় সবজি পাঠাতে তাদের খরচ যোগ হয়। এ কারণে সেখানে দাম বেড়ে যায়।
শেরপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রকমারি শাকসহ প্রায় ২০-২২ প্রকারের সবজি উৎপাদন করেন শেরপুরের চাষিরা। সারাবছর এসব সবজি চাষ হলেও শীতকালে বাড়ে আবাদের গতি। চাহিদার কারণে কৃষকদের উন্নতজাতের সবজি চাষে পরামর্শ ও উৎসাহিত করা হয়। এসব সবজির একটি বড় বাজার হলো নয় মাইল হাট ও ফুলবাড়ি বাজার।
তাদের তথ্য অনুসারে, এ বছর ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এমএসএম / জামান

খালিয়াজুরীতে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার আওয়ামীলীগ নেতা, দাবী পরিবারের

টেকনাফ সদর ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কার্ড উদ্ভোদন

মহেশখালীতে ডাকাত সর্দার মঞ্জুর পুলিশের হাতে আটক

হাইব্রিডদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান শুরু হবে: শেখ সাদী

শ্রীপুরে মাদকমুক্ত যুব সমাজ গড়তে সপ্তাহব্যাপী ফুটবল উৎসব

পুকুর ও খালে ভেঙ্গে পড়েছে সড়ক, ১ লাখ মানুষের দুর্ভোগ

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখল, ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন

সান্তাহারে ইয়াবা ট্যাবলেট ও প্রাইভেট কারসহ দুইজন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গরুর গাড়ি মার্কা প্রার্থীর সমর্থনে সভা

কাউনিয়ায় এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে গাছের চারা বিতরণ

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত
